তুলসি পাতার উপকারিতা কি?-তুলসী পাতার ব্যবহার

 প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি? আজ আমরা বলব তুলসি পাতার উপকারিতা কি? এবং আরো তুলসী পাতার গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। যদি আপনি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে তুলসী পাতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি তুলসী পাতা একটি উপকারী উদ্ভিদ। তুলসী পাতাতে প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা আছে।

 তুলসী পাতা প্রধান উপকারিতা হলো যে ঠান্ডা,  সর্দি, কাসি., এগুলোতে তুলসী পাতা অত্যান্ত কার্যকারী। তুলসী পাতা সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় গ্রাম অঞ্চলে। তুলসী পাতার গুনাগুন অনেক থাকার কারণে এই তুলসী পাতা অনেক বিখ্যাত। এখন এই তুলসী পাতা এত বিখ্যাত যে তুলসী পাতার এখন কোম্পানি  থেকে সিরাপ তৈরি হয়। কিন্তু সিরাপ গুলো ্এত মূল্যবান না। এবং খাটি না। যদি আপনি খাঁটি তুলসী পাতার রস খাওয়ান তাহলে অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। এবং কাশি ঠান্ডা জ্বর এগুলো দূর হবে ।

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি আজ আমরা বলবো তুলসী পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে। তুলসী পাতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

তুলসী পাতার উপকারিতা কি

আপনারা জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি ?তো চলুন শুরু করা যাক। তুলসী পাতা আমরা দেখেছি ছোটবেলায় আমাদের মা তুলসী পাতার রস করে তার সাথে মধু দিয়ে আমাদেরকে খাওয়ায়ে দিত। যাদের ঠান্ডা কাশি এবং ভিতরে কফ জমে আছে তারা  প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেয়ে নিবেন। এবং যাদের ভিতরে কফ জমে আছে তারা যদি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি তুলসী পাতার রস খেতে পারে তাহলে তাদের ভিতরে কফ গুলো বাইরে বের করতে অনেক সাহায্য করে এই তুলসী পাতা।

এবং যাদের ব্রংকাইটিস,, হাঁপানি,, শ্বাস কষ্টের,, সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য এই তুলসী পাতা অত্যন্ত উপকারী। যাদের এই হাঁপানি শ্বাসকষ্ট এসব ধরনের সমস্যা আছে তারা যদি প্রতিদিন খালি পেটে তুলসী পাতা রস এবং মধু মিশিয়ে একসঙ্গে খায় তাহলে তারা এসব রোগ থেকে মুক্তি পাবে।

যারা অনেক বেশি টেনশন করেন তাদের জন্য একটি ভালো স্বাস্থ্যকর ওষুধ হচ্ছে তুলসী পাতা। আপনি যদি এই তুলসী পাতা প্রতিদিন সকালে খান তাহলে আপনার সারাদিন টেনশন এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই আপনি প্রতিদিন তুলসী পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আরো পড়ুন = নিসিন্দা গাছের উপকারীতা জেনে নিন।

তুলসী পাতা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে তুলসী পাতা যদি একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে খায় তাহলে তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এসব সমস্যা এবং চোখে এলার্জি চোখ চুলকানো চোখে অঞ্জনি বের হয় এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই তুলসী পাতা আপনি যদি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন এটি অবশ্যই খাবেন।

আপনারা একটা কথা শুনলে অবাক হবেন যে তুলসী পাতা ক্যান্সার রোধ করতে অনেক উপকারী। যদি আপনি তুলসী পাতা খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাবেন। কিন্তু তার সাথে একটা এক্সট্রা উপকার পাবেন সেটা হচ্ছে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা। তাই আপনি যদি প্রতিদিন তুলসী পাতা খান তাহলে অনেক ধরনের উপকার পাবেন। তার সাথে এই ক্যান্সার প্রতিরোধের উপকারিতা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

তুলসী পাতার আরেকটি ভালো উপকারিতা রয়েছে সেটি হল যে তুলসী পাতা লিভার কে সুস্থ রাখেতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন তুলসী পাতা খান তাহলে লিভার আপনার একদম পরিপূর্ণ সুস্থ থাকবে।

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজ আমরা বলব যে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে। আমরা আজ এই আর্টিকেলে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। যদি আপনি এই তুলসী পাতার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তুলসী পাতা এটি এমন একটি উপকারী গাছ যা ছোট বড় সকলেরই খাওয়া যায় ।

এই তুলসী পাতা মূলত সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডা কফ জমে থাকা এসব সমস্যার জন্যই তুলসী পাতা বিশেষভাবে খাওয়ানো হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চাদের এবং বড়দের জন্য এই তুলসী পাতা। ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর নিয়ম হলো যে তিন থেকে চারটি তুলসী পাতা নিয়ে তার রস করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে এটি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এভাবে যদি দুইদিন খান তাহলে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তুলসী পাতা কাদের খাওয়ানো যাবে না

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতা কাদেরকে খাওয়ানো যাবে না? আমরা আজ এই আর্টিকেলে বলবো যে তুলসী পাতা কাদেরকে খাওয়ানো যাবে না। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। যাদের মূলত লো প্রেসার রয়েছে তারা এ তুলসী পাতা কোন মতে খাবেন না। কারণ এই তুলসী পাতা যদি খান তাহলে আপনার প্রেসার আরো লো হয়ে যাবে। এবং যারা গর্ভবতী মহিলা তারা এই তুলসী পাতা অবশ্যই খাবেন না। কারণ আপনার কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে্ পারে ।তাই তুলসী পাতা থেকে আপনারা এড়িয়ে চলবেন  গর্ভবতী   মহিলা আছেন।

তুলসী পাতা মুখে দিলে কি হয়

তুলসী পাতা মুখে দিলে কি হয় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আমরা বলব বিশেষ উপকার আছে। উপকারটা হলো যে তুলসী পাতাতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আপনার ত্বক কে ফ্রেস  করতে সাহায্য করে। এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এবং এই তুলসী পাতা যদি প্রতিদিন মধুর সাথে মুখে মাখিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দেন। তাহলে আপনার ত্বকের দ্বিগুণ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এটি গবেষণা দারা প্রমাণিত।

তুলসী পাতায় কি কিভাবে খাওয়া যায়

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম আছে অনেক। আপনি চাইলে তুলসী পাতার রস করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে এটি আপনি খেতে পারেন। এবং আপনি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এবং তুলসী পাতা আরেকটি খাওয়ার নিয়ম হলো যে চা বানিয়ে আপনি তুলসী পাতা চা বানিয়ে খেতে পারেন। এবং তুলসী পাতা আরেকটা উপায় খেতে পারেন সেটি হল সবজির সঙ্গে মিশিয়ে আপনি সবজি যখন রান্না করবেন তার মধ্যে কিছু তুলসী পাতা কুচি কুচি করে দিয়ে দিবেন। তাহলে তুলসী পাতার উপকারিতা পাবেন।

তুলসী পাতা চা কিভাবে বানায়।

আপনি জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতার চা কিভাবে বানায়। তুলসী পাতা চা বানানো একদম সহজ। সেটি হল যে আপনি গরম পানিতে কিছু আদা এবং কিছু গরম মসলা এবং ঝাল পাত এরপর পানি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিবেন। ফোটানো হয়ে গেলে তার সঙ্গে কিছু চিনে দিতে পারেন এবং মধু দিতে পারেন ।মধু দিলে আপনি একটু ভালো উপকার পাবেন। এভাবে আপনি তুলসী পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন।

তুলসী পাতা চেনার উপায়

তুলসী পাতা মূলত তিন প্রজাতির রয়েছে। আমাদের এই বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়াতে তুলসী পাতা একটি  প্রজাতি হলো সবুজ পাতা। এই গাছের অনেকগুলো ডাল পালা আছে। এ গাছ দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার উঁচু হয়। এবং এই গাছ প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার মাথাতে একটি লম্বা ফুল ফুটে। এবং এই গাছের পাতা মুখে দিলে অনেক ঝাল অনুভব হয়। আমরা এই তুলসী পাতা দুইটি প্রজাতির ছবি নিচে দিয়ে দিলাম।

 এই হলো তুলসী পাতার ছবি




শেষ কথাঃ তুলসী পাতার উপকারিতা কি

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তুলসী পাতার উপকারিতা কি? আমরা যে আর্টিকেলে বললাম যে তুলসী পাতার উপকারিতা কি? তুলসী পাতা কিভাবে খায়? তুলসী পাতা শিশুদের খাওয়ানোর নিয়ম? তুলসী পাতা কিভাবে চা বানায়? এবং তুলসী পাতা ব্যবহারের নিয়ম? এবং তুলসী পাতা চেনার নিয়ম? এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে তুলসী পাতা সম্পর্কে আপনার অনেক ধারণা পেয়েছেন।

এ আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো এমন ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url