দাঁত ব্যাথা করলে করনীয় কি-দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠাক আপনি জানতে চেয়েছেন যে দাঁতের ব্যথা হলে করণীয় কি? এ সম্পর্কে আমরা আজ আলোচনা করব। পৃথিবীতে যত ধরনের ব্যথা আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দাঁতের ব্যথা ।এটি এতই বেদনাদায়ক হয়ে পড়ে যা আমাদের পক্ষে এর কষ্ট সহ্য করা কঠিন হয়ে যায়। এবং দাঁতের ব্যাথার কারণে আমাদের মাথা ব্যথা মত সমস্যা দেখা দেয়। এই দাঁতের ব্যথা মূলত রাতের বেলায় বেশি হয় ।এ সময় ডেন্ডিস ,অথবা দাঁতের ডাক্তার, অথবা কোন ফার্মেসী,খোলা থাকে না। এ সময় আপনারা যা করবেন তা এখন আমরা আলোচনা করব। দাঁতের ব্যথা কিভাবে ভালো করতে হয়। যদি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন দাঁতের ব্যথা হলে করণীয় কি। এবং মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি। এ সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি পড়ুন।
দাঁতের ব্যথা হলে করণীয় কি
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন দাঁতে ব্যথা হলে করণীয় কি? দাঁতের ব্যথা কিভাবে ভালো করা যায়? কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। আপনার যেটা পছন্দ হবে সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথম নাম্বারে হলোঃ লবঙ্গ। লবঙ্গ কিন্তু দাঁতে ব্যথা দূর করতে অনেক কার্যকরী। এই লবঙ্গ এক নিমিষে মধ্যে দাঁতের ব্যথা দূর করে দিতে পারে। যদি আপনার প্রচন্ড দাঁতের ব্যথা শুরু হয় তাহলে আপনি দুইটি থেকে তিনটি লবঙ্গ গুড়া করে নিবেন। এবং তারপর তার মধ্যে কিছু জল দিয়ে দাঁতের যে জায়গায় ব্যাথা সেই জায়গায় লাগিয়ে দিবেন।তাহলে আপনার দাঁতের ব্যাথা কিছু সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।
দুই নাম্বার হলোঃ মরিচ আর লবণ। প্রিয় পাঠক যদি আপনার দাঁতের ব্যথা অনেক তীব্র হয় তাহলে এই লবণার মরিচ আপনার দাঁতের ব্যথার জন্য একদম পারফেক্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক লবন ও মরিচ কিভাবে ব্যবহার করে দাঁতের ব্যথা ভালো করা যায়।
আরো পড়ন = দাত ব্যথার ট্যাবলেটের নাম জেনে নিন।
কিছু মরিচের গুড়ো এবং কিছু লবণ নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে দাঁতের ব্যথা স্থানে লাগিয়ে দিন।কিছু সময়ের মধ্যে দেখবেন দাঁতের ব্যথা কমে গেছে। দাঁতের ব্যাথা বিষয় নিয়ে যদি আরো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তৃতীয় নাম্বার হলোঃ প্যারাসিটামল অথবা নাপা। যদি গভীর রাতে আপনার দাঁতের ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে আপনাকে প্যারাসিটামল এবং নাপা খেতে হবে। নাপা বা প্যারাসিটামল যদি খান তাহলে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যথা কমে যেতে লাগবে। তাই নাপা বা প্যারাসিটা মল বাসাই রাখবেন।
দাঁতের ব্যথা কিভাবে ভালো করতে হয় ?আমরা এতক্ষণ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য দাঁতের ব্যথা দূর করে। কিন্তু একদম পুরোপুরি দাঁতের ব্যথা ভালো করতে পারবে না। দাঁতের ব্যথা যদি আপনাকে ভালো করতে হয় তাহলে ভালো ডিনডিসের পরামর্শ নিবেন।দাঁতের মাড়ি ব্যথা করলে করণীয় কি এ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয় কেন?
আমরা সকলে জানি যে মাড়িফুলার কারণ হলো যে মাড়ির আশপাশে ময়লা অথবা খাবার জমে থাকা কারণে সেখানে একটি ইনফেকশন তৈরি হয়। এই ইনফেকশন হওয়ার ফলে মাড়ি ফুলে যায়। এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। যদি দাঁতের মাড়ি সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে খাওয়া দাওয়ার পরই ব্রাশ ব্যবহার করবেন। এবং ছয় মাস অন্তর পর ডেনিসের কাছে যাবেন। ছয় মাস পর পর দাঁত স্কেলিং করা উচিত। কেউ কেউ মনে করেন যে দাঁত স্কেলিং করলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবে। এটা ভুল ধারণা। দাঁতের স্কেলিং করলে দাঁতের ভিতরে জমে থাকা জীবাণু সহজে পরিষ্কার করা যাবে। তাই আমরা প্রতি ছয় মাস বা এক বছর পর পর দাঁত স্কেলিং করব।
দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় কি
যদি দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় তাহলে আপনি লবণ পানি হালকা কুসুম গরম করে মুখের ভিতর নিয়ে কুলি করলে দাঁতের মাড়ির ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যেতে লাগে। আরেকটা উপায় হচ্ছে যে প্রতিদিন দুইবার করে ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। ব্রাশ ব্যবহার করার ফলে সাইডে যে খাদ্য কনা আছে এবং জীবাণু ব্যাকটেরিয়া আছে ওগুলো পরিষ্কার হয়। ডাক্তারেরা বলে থাকে যে বছরে একবার হলেও দাঁত করা উচিত। দাঁত স্কেলিং করার পরে আপনার মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার জন্য আছে এবং জীবাণু থাকে তাহলে স্কেলিং করলে দূর হয়ে যাবে।
কি সমস্যার জন্য দাঁত ব্যথা করে
দাঁত ব্যথার মেইন সমস্যাগুলো হল কেবেটি,, দাঁতে ছিদ্র,, দাঁতে ইনফেকশন,, দাঁতের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়া,, মাড়ির সমস্যা,, জয়েন্টের সমস্যা,,, নতুন দাঁত গজানো ,ইত্যাদি। জটিলতার জন্য এই দাঁতের ব্যথা সৃষ্টি হয়। আরো কয়েকটি কারণ হচ্ছে যে ভালোভাবে পরিষ্কার না করার কারণে দাঁতের আশপাশে যেসব ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে সেখান থেকেই দাত ব্যথা এবং মাড়ি ব্যথা সৃষ্টি হয়। তাই আমরা দাঁত প্রতিদিন দুই বার ব্রাশ করবো।
কি খেলে দাঁত ভালো থাকে
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে কি খেলে দাঁত ভালো থাকে? আমরা এখন আলোচনা করব দাঁত ভালো রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন রাত্রে শোয়ার সময় এক টুকরো আপেল খেতে হবে। আপেল খাওয়ার ফলে লালার পরিমাণ বাড়ে। লালার পরিমাণ বাড়লে আপনার দাঁতের যতগুলো ময়লা অথবা ব্যাকটেরিয়া সব পরিষ্কার হয়।
দ্বিতীয়ত হল ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম এগুলো দাতের জন্য বিশেষ উপকারী। দাঁত মজবুত রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে। দুদ্ধ জাত খাবার খেলে আপনার দাঁতের হাড় শক্ত হবে ।
তৃতীয় তো হল আপনি বেশি পরিমাণ সিভিট খাবেন। সিভিটে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের দাঁত কে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার দাঁত মজবুত ও শক্ত থাকবে। কিন্তু সিভিট ছোট বাচ্চাদের খাওয়াবেন না। যদি বেশি পরিমাণ সিভিট খেয়ে ফেলে ছোট বাচ্চারা তাহলে তাদের প্রসাবে ইনফেকশন দেখা দিবে। আর বিশেষ করে এটি মেয়েদের না খাওয়াই উচিত।
দাঁতের জন্য কোন পেস্ট ব্যবহার করব
আপনি জানতে চেয়েছেন যে তাদের জন্য কোন পেস্ট ব্যবহার করবেন? ডেনডিসরা বলে থাকে যে দাঁতের জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে যেমন আজ একরকম পেস্ট ব্যবহার করলেন। সামনে মাসে একরকম করবেন। তার সামনে মাসে এক রকম করবেন। তাহলে আপনার দাঁ ত ভালো থাকবে। কারণ সব পেস্টে দাঁতের জীবাণু ধ্বংস করার উপকরণ থাকে। তাই সব সময় একই রকম পেস্ট ব্যবহার করবেন না। আলাদা আলাদা পেস্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
শেষ কথাঃ দাঁত ব্যাথা হলে করনীয় কি- দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে করণীয় কি।
এ পাঠক আমি জানতে চেয়েছেন যে দাঁত ব্যাথা হলে করণীয় কি? এবং দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে করণীয় কি? এ সম্পর্কে জানতে চান এবং দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয় কেন? এবং কি খেলে দাঁতের সমস্যা দূর হয়? এবং কি সমস্যার জন্য দাঁত ব্যথা করে? এবং দাঁতের জন্য কোন পেস্ট ব্যবহার করা যাবে? এ সম্পর্কে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি মনোযোগ দিয়ে যদি পারেন তাহলে দাঁত সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন ধন্যবাদ।প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ।ধন্যবাদ