খেজুরের রস খেলে কি হয়-খেজুরের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা

 আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছে? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা অনেক ভাল আছেন আজ আমরা বলব যে খেজুরের রস খেলে কি হয় খেজুরের রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো যদি আপনি খেজুরের রস খেলে কি হয় খেজুরের রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন কারণ আমরা এই প্রশ্নের মধ্যে আলোচনা করব যে খেজুরের রস খেলে কি হয় খেজুর রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক
শীতকাল এলেই মনে পড়ে যায় যে রসের কথা এ রাসটি আমাদের অনেকেরই প্রিয় কারণ এই খেজুরের রস ঠান্ডার সময় খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। এবং এ রসের উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে। এবং এর রস খেলে কি হয় এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। যদি আপনি খেজুর রস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

খেজুর রস খেলে কি হয়

শীতকাল এলেই মনে পড়ে যায় খেজুর রসের কথা। এই খেজুরের রস ছোট বড় সকলেরই পছন্দ করে। এই খেজুরের রস সাধারণত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে রসের পরিমাণ কমতে থাকে। শীতকালে হার কাপানো ঠান্ডার মধ্যে রস খেতে পছন্দ করে অনেকেই। 
এই রস বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।যেমন শীতের পিঠা পুরি এই রস দিয়ে বানাই যদি আপনি এই রস খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ এই খেজুর রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এই ভিটামিন মূলত মানুষের শরীরে জন্য একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি খেজুরের রস খেতে পারেন। এবং খেজুরের রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আগে জেনে নিন তারপর খাবেন।

খেজুর রস খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর আসে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ,পটাশিয়াম, ও পুষ্টিগুণ, রয়েছে। খেজুরের গুড়ে আছে প্রোটিন ফ্যাট মিনারেল এগুলো আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে ।খেজুর রস খেলে আমাদের শারীরিক সমস্যা দূর হয়। এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ আছে তারা যদি প্রতিদিন ফেস খেজুর রস খায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরাম পাবে। এই রসে রয়েছে আইরন ।

এই খেজুরের রস অনিন্দ্রা দূর করতে সাহায্য করে। খেজুরের রসে প্রচুর শক্তি থাকে। যাদের ঘুম কম হয় তাঁরা যদি প্রতিদিন খেজুরের রস খাই তাহলে তাদের ঘুম ভালো হবে। তাই আপনি প্রতিদিন খেজুরের রস খেতে পারেন। এখন আমরা জানবো যে খেজুরের রসের উপকারিতা সম্পর্কে। নিচের দিকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা আছে আপনি সেটি পড়ে জানতে পারবেন ্

খেজুর রসের জন্য কোন জেলা বিখ্যাত

আমরা এখন জানবো যে খেজুর আসার জন্য কোন জেলা বিখ্যাত চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায় বাংলাদেশের যশোর জেলার খাজুরা এলাকায় খেজুরের রস সব থেকে বিখ্যাত। তারা মূলত নভেম্বর মাস থেকে রস সংগ্রহের কাজে নেমে যান। যশোরে রয়েছে চার লক্ষ ৬২ হাজার ৫২৫টি খেজুরের গাছ। যশোরের খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু গুড় ।আমরা যারা খেজুরা এলাকায় গেছি তারা নিশ্চয়ই দেখেছি রাস্তার দুই পাশে সারি সারি খেজুরের গাছ। 

এই খেজুরের গাছ দেখে মন ভরে যাবে। এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিখ্যাত খাজুরা এলাকা। এবং দ্বিতীয় খেজুর রস হিসেবে বিখ্যাত হল যে রাজশাহী জেলা। এ রাজশাহী জেলাতে প্রচুর পরিমাণে খেজুর রস পাওয়া যায় ।এবং এই রাজশাহীতে প্রায় ৪৫ হাজারের অধিক খেজুরের গাছ রয়েছে। এবং এই খেজুরের গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে রস এবং খেজুরের গুড় উৎপন্ন করা হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

খেজুর রস থেকে কি কি তৈরী করা হয়

এখন আমরা জানবো যে খেজুরের রস খেলে কি হয় খেজুরের রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায় খাজুরের রস থেকে অনেক রকমের জিনিস তৈরি হয়। তার মধ্যে প্রথম হলো রস চিতায়, রস পিঠা ,রসের ক্ষীর ,রসের পায়ে ,রসের মুড়ির লাড়ু, আরো অনেক রকমের জিনিস বানিয়ে থাকে। আমরা সকলে মিষ্টি পছন্দ করি তার মধ্যে খেজুরের গুড়ের মিষ্টি অতুলনীয়। এই খেজুর ঘুরে যে কোন জিনিস বানিয়ে খেলে অনেক সুস্বাদু হয় এবং এটি সবাই পছন্দ করে এবং খেজুরের গুড় সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। 

এই খেজুরের মূলত এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। কারণ এখন এই খেজুরের গুড় ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। এবং যদি আপনি আসল গুড় নিতে চান তাহলে নিজে সেখানে উপস্থিত থেকে খেজুরের গুড় নিতে পারে। আশা করি এটা বুঝতে পেরেছেন ।এবং আপনি জানেন যে আজকে আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো যে খেজুর রস খেলে কি হয় খেজুরের রসের উপকারিতা ওঅপকারীতা।

খেজুর রসের অপকারিতা

আমরা এখন জানব খেজুর রসের উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি খেজুর রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্টটি পড়ুন তাহলে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন খেজুর রসের অপকারিতা হলো যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা সুগার সমস্যা আছে তারা এ রস খাবেন না। কারণ খেজুর রসের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণ সুগার রয়েছে ।

আর আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করবেন যে নিপা ভাইরাস, এই খেজুর রসের মধ্যে পাওয়া যায়। সব রসের মধ্যে থাকে না।খেজুরের রসে নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। ভাইরাস প্রাণীর কাছ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে।

বিশ্বে নিপা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ার শুকুর খামার থেকে ।পরবর্তীতে এই ভাইরাস ২০০১ সালে বাংলাদেশের শনাক্ত করা হয়।পরে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানঃ কিছু এলাকায় রসের নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত করে এটি বাদুড়ের মল থেকে সৃষ্টি হয় অথবা লালাতে থেকে।২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসে ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছে ।

এর মধ্যেও ২১৫ জন মারা গেছে।খেজুরের গাছ যখন কলসি ঝোলায় তখন বাদুর রস খেতে আসে। বাদুর যখন রস মুখে দেয় তাদের মুখে লালা রসের মধ্যে মিশে হাঁড়িতে পড়ে ।এ রস তখন যদি কাঁচা অবস্থায় খায় তাহলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

খেজুরের রস খাওয়ার নিয়ম

খেজুরের রস গাছ থেকে সংগ্রহের পর আমরা আগুনে জাল করব ।জাল করার পর যতখানি খাইতে পারবেন ততখানে পরিমাণ নিয়ে  তার মধ্যেও বরফ দিয়ে ঠান্ডা করে এটি খেতে পারেন। তাহলে তা আগের মত স্বাদ পাওয়া যাবে ।খেজুর রস আমরা কাঁচা অবস্থায় যদি খায় তাহলে খুব সতর্কভাবে দেখে খাবেন। কারণ এই খেজুর রসের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থাকতে পারে।

 এবং যদি আপনি খেজুর রস নিতে চান তাহলে সরাসরি আগে গাছে দেখে নিবেন। যে সেই গাছের রস ঢেকে রাখে না কি। এমনি ফাঁকায় করে রাখে, যদি আপনি এই খেজুরের রস কাঁচা অবস্থায় খান, এবং সেই খেজুরের রসের যদি কোন ধরনের বাদুড় মুখ দেয় তাহলে আপনার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ খেজুর রস খেলে কি হয় - খেজুর রসের উপকারিতা ও অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম যে খেজুর রস খেলে কি হয় - খেজুর রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। এবং খেজুর রসের জন্য কোন জেলা বিখ্যাত? এবং খেজুর গাছ থেকে কি কি তৈরি হয়? এবং খেজুর রসের উপকারিতা? এবং খেজুর রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই খেজুরের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

 আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো দিয়ে রাখুন। কারন আমরা যখনই নতুন আর্টিকেল পোস্ট করব তখন যেন সবার আগে আপনি পেয়ে যান। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url