তেলাকুচা পাতা ব্যবহারে নিয়ম -তেলাকুচা ফলের উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি তেলাকুচাপাতা একটি ঔষধি গাছ ।এই গাছের প্রতিটা অংশ ঔষুধি গুনাগুন রয়েছে। বিশেষ করে তেলাকুচার পাতার সবচাইতে বেশি ওষুধি গুনাগুন রয়েছে। তেলাকচার গাছ মূলত আমাদের বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে এবং বেড়ার ধারে দেখতে পাওয়া যায়।
এই গাছটি সারা বছরই দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের চাষ বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে। ওষুধি কাজের জন্য এই গাছ অত্যন্ত উপকারী। আমরা আজ জানব তেলাকুচা পাতার উপকারিতা। তেলাকুচা খাওয়ার উপকারিতা। সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমরা এই আর্টিকেলে আজ আলোচনা করব। আপনি যদি তেলাকুচা গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ্চলুন শুরু করা যাক।
আপনি জানতে চেয়েছেন যে তেলাকুচা গাছের পাতা ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন কিভাবে তেলাকুচ গাছের পাতা ব্যবহার করতে হয়? এবং এর গুনা গুণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
তেলাকুচা পাতা ব্যবহারের নিয়ম
তেলাকুচা পাতা একটি অত্যন্ত উপকারী ঔষধি পাতা। তেলাকুচার পাতা মূলত অনেক কাজে ব্যবহার হয়অ তা আমরা এখন আলোচনা করব। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তেলাকুচা পাতা অত্যন্ত উপকারী্। যদি কেউ প্রতিদিন তেলাকুচার পাতা খায় তাহলে তাদের ডায়াবেটিস কমে যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই তেলাকুচা পাতা অত্যন্ত উপকারী।তেলাকুচার পাতা ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে ।
আরো পড়ুন = তেতুল খাওয়ার উপকারীতা জেনে নিন।
গ্রামাঞ্চলে তেলাকুচার পাতা দিয়ে অনেক ওষুধ বানিয়ে থাকে। তার মধ্যে হল একটি যাদের শরীরে ফোড়া উঠে এবং যাদের তেল-বিশম লাগে এবং যাদের ঘা হয় এ সমস্ত কাজে তেলাকুচার পাতা রস করে লাগিয়ে দেয়। এই তেলাকচার পাতা লাগানোর ফলে তাদের ক্ষতস্থানে দ্রুত সেরে যায়।
রাজশাহী জেলার তানোর থানার বাসিন্দা শাহনাজ বেগম তিনি বলেন যে যখনই আমার মাথা ব্যথা করে তখন আমি তেলাকুচার পাতা মাথাতে লাগিয়ে দি। এই মাথায় লাগানোর ফলে আমার মাথা নিমিসে ঠান্ডা হয়ে যায়। এবং মাথা ব্যথা দূর হয়ে যায়। এবং এই তেলাকুচা পাতা আমরা ভাজি করে খাই। এবং তার ফল আমরা রান্না করে খাই ।
নাচোল থানার বাসিন্দা রহমান মিয়া তিনি বলেন প্রতিদিন সকালে আমি একগ্লাস পানির সঙ্গে তেলাকুচার পাতার রস মিশিয়ে খায়। এর ফলে আমার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিনি আরো বলেন এই পাতার রস খাওয়ার পর থেকে আমার ডায়াবেটিস আর বেশি হয় না। স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে।
তেলাকুচার পাতা এমন একটা ঔষধি গাছ যে তার উপকার অনেক। যেমন যাদের পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করে তারা যদি দুই থেকে তিন দিন তেলাকুচাপাতার রস করে পায়ের তালুতে লাগায় তাহলে তাদের পায়ের তালু জ্বলা পোড়া করা বন্ধ হয়ে যাবে।
তেলাকুচার পাতা একটি বিশেষ উপকারী গাছ। এই পাতার রস যদি পুরো শরীরে মাখা যায় তাহলে আপনার শরীরের সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ময়লা এগুলো দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকেণ আর যদি আপনার পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করে তাহলে তেলাকু চা পাতার রস দিবেন।
এলার্জির সমস্যার জন্য তেলাকুচার পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে তেলাকুচা পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
তেলাকুচা পাতা খাওয়ার নিয়ম
তেলাকুচা পাতা মানুষ বিভিন্নভাবে খায়। যেমন আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মানুষ তেলাকুচার পাতা এবং আলু দিয়ে একসাথে ভাজি করে খায়।
এবং আমাদের পাশের বাড়িতে একজনরে দেখছি যে তারা তেলাকুচার পাতা আলুর মতো করে ভর্তা বানিয়ে খাচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে দেখতে পাওয়া যায় যে তেলাকুচা পাতার বড়া। তেলাকুচার পাতার বড়া অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। সেইখানে তেলাকুচা পাতার বড়া খাওয়ার জন্য অনেক অনেক লোক দেখা যায়। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এটি অনেক সুস্বাদু। এবং এটি ক্ষতিকর নয়। এজন্য তারা খায় এটি খেলে তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না।
তেলাকুচা পাতার শরব ত করে আপনি খেতে পারেন। যদি আপনি প্রতিদিন বাঁশি পেটে সকালে তেলাকুচার পাতা শরবত খেতে পারেন তাহলে আপনার অ্যালার্জি এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। তাই আপনারা প্রতিদিন সকালে তেলাকুচা পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তেলাকুচা পাতার ঔষধি গুনাগুন
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তেলাকুচা পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক আপনারা সকলেই কম বেশি জানেন যে তেলাকুচ পাতা একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ ।এই গাছের অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। যেমন ডায়াবেটিস,, হাঁপানি,, হাত পা ফোলা,, ফোড়া ব্রণ ও মেস্তা,, জন্ডিস,, এগুলোর কাজে তেলাকুচার পাতা অত্যন্ত উপকারী। এবং তেলাকচার পাতা কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।
তেলাকুচা ফলের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তেলা কুচাফরের উপকারিতা সম্পর্কে। তেলাকুচার ফল মূলত পটলের মত দেখতে হয় কাঁচা অবস্থায়। সেটি পাকলে একটা লাল টুকটুকে হয়ে যায় ।এই ফল বিভিন্ন ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন ডায়াবেটিস,, জন্ডিস,, শ্বাসকষ্ট,, পা ফোলা,, কাশি,, আমাশা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
তেলাকুচার পাতা কিভাবে রান্না করে খায়
পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে তেলাকুচার পাতা কিভাবে রান্না করে খায়? তেলেকুচার পাতা মূলত অন্যান্য শাকের মতো করে রান্না করতে হয়। যদি তাতে অন্য ধরনের কিছু শাক দেওয়া হয় যেমন কুমড়ো শাক,, লাউ শাক,, এবং লাল শাক,, এ ধরনের শাক যদি আমরা এক সাথে রান্না করি তাহলে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনি চাইলে ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ভর্তা বানানো যায়।আপনাকে প্রথমে তেলাকুচার শাক ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে এবং সেটি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ধোয়া হয়ে গেলে তাকে ব্লেন্ডার অথবা পাঠাতে পিসে তাকে গলিয়ে নিতে হবে
এরপর আপনাকে যা করতে হবে তা হল্।
- পরিমাণ মতো লবণ দিতে হবে।
- পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিতে হবে।
- পরিমাণ মতো পিঁয়াজ দিতে হবে।
- পরিমাণ মতো রোশন দিতে হবে।
- পরিমাণ মতো মরিচ দিতে হবে।
- পরিমাণ মতো রসুন দিতে হবে।
এগুলো দেওয়া হয়ে গেলে আপনি অন্যান্য ভর্তার মত করে এটিও ভর্তা বানাতে পারবেন। এবং তা অত্যন্ত উপকারী আপনার শরীরে যেকোন রোগ সারাতে অত্যন্ত উপকারী।
শেষ কথাঃ তেলাকুচাপাতা ব্যবহার করার নিয়ম- তেলা কুচা ফলের উপকারিতা
পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন তেলাকুচার পাতা ব্যবহারের নিয়ম ?তেলাকুচা ফলের উপকারিতা? তেলাকুচা পাতা খাওয়ার নিয়ম? তেলা কুচা পাতার ঔষধি গুনাগুন? তেলাকুচা ফলের উপকারিতা? তেলা কোচা পাতা কিভাবে রান্না করে খায়? এ সম্পর্কে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন যে তেলাকচার পাতা কি কি কাজে ব্যবহার হয় এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।
তেলাকুচা গাছের ছবি
শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।