বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিটরুটের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে? বিটরুল একটি ফল। যা সবজি,, সালাত ,,,এবং জুস,,, হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি। বিটরুল একটি উপকারী ফল। এই বিরুলে চাহিদা বাজারে অনেক রয়েছে। বিট মূলত শীতকালের সবজি। একে দেখতে মূলত লাল টকটকে বড় পিয়াজের মতো।
এই বিট অনেকেই নানা রকম ভাবে খেয়ে থাকে। কেউ জুস করে খায় ।কেউ সালাত করে খায়। এবং কেউ গুড়ো করে খায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না যে বিট জিনিস কি? এবং তাদের কাছে বিট একটি অপরিচিত ফল। এই ফলটি এখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই ফলের উপকারিতা এই ফলের অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি বিট রুল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিট রুল খাওয়ার উপকারিতা. এবং অপকারিতা সম্পর্কে যদি যে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিট রুল এর উপকারিতা সম্পর্কে ।এখন আমরা বিট এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। বিট একটি পুষ্টিকর খাবার। এ বিটে রয়েছে ক্যালসিয়াম,, প্রোটিন,, ফাইবার,,, চিনি,, কোলেস্টেরল ,,পটাশিয়াম,, সোডিয়াম,, ইত্যাদি রয়েছে। এগুলা আপনার শরীরে পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
যদি বিটের জুস খাওয়া যায় তাহলে আপনারা অত্যন্ত উপকার পাবেন। যা আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি এমন একটি ফল যা আপনাকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা দিতে পারে। এবং ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায়্। তাই আপনি যদি প্রতিদিন বিটের জুস খান তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
আরো পড়ুন = ডুমুর ফলের উপকারীতা জেনে িনণ।
বিট হার মজবুত এর কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ বিট শরীর ের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে পারে। এই বিট যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে আপনার হাড়ের সমস্যা হবে না।
এ বিট খাওয়ার ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে,। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা যদি এই বি ট খায় তাহলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিটে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। কার্বোহাইড্রেট এর ফলে আপনার শরীরে অক্সিজেন গ্রহনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
এই বিট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যারা দীর্ঘদিন রক্ত চাপে ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন বিটের জুস খান তাহলে আপনাদের রক্ত চাপ দ্রুত কমে যাবে। এবং এই জুস খাওয়ার ফলে আপনার ব্রেন স্টার্ক করার ঝুঁকি কমে যায়।
যারা দীর্ঘদিন অনিয়মিত মাসি*কের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন বিটের রস খায় তাহলে তাদের তাদের এই অনিয়মিত মাসিকের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এবং এটি স্বাভাবিক করে দিবে। বিট একটি অত্যন্ত উপকারী। বিটে থাকা আইরন নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে।
বিট মূলত চুল পড়া এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী ।যাদের চুল পড়ে যায় তারা এই বিটরুল খেতে পারেন্। এবং যাদের রাত জাগা এবং অসুস্থতার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় তারা যদি বিটরুল খান তাহলে তাদের এই কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিট রোল কিভাবে খায়? বিটুরুল এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে জুস করে খেতে পারেন। এবং সালাত করে খেতে পারেন। এবং ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন। বিট রুল যদি আরো সুস্বাদু করে খেতে চান তাহলে তার মধ্যে আপনি যেকোনো জিনিস দিয়ে খেতে পারবেন। কমলার রস,, এবং বেদানার রস,, এবং ম্যাংগো জুস,, এগুলো মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন। তাহলে অনেক সুস্বাদু হবে। আর এটি মূলত শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি সাথে দিয়ে এটি রান্না করে খায়। কারণ এটি সবজি হিসেবে অত্যন্ত সুস্বাদু।
বিটরুট কি কাঁচা খাওয়া যায়
বিট একটি সবজি। এটি আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। বিট কাঁচা খেলে কোন সমস্যা নেই। বিট সিদ্ধ করে খেলেও কোন সমস্যা নেই। আপনার ইচ্ছা আপনি যেরকম ভাবে খেতে পারেন। মন চাইলে আপনি জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এবং জুস টেস্টি না সুস্বাদু করার জন্য আপনি অন্য কিছু ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু বিট এর উপকারিতা অনেক।
বিটরুট ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন বিট ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী? চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি ত্বকের জন্য কতখানি উপকারি এই বিট। যাদের পোড়া দাগ,,, ব্রণ,,,, মেস্তা,,, কালচে,, তার বিভিন্ন ধরনের দাগ যদি থাকে তাহলে বিট ব্যবহার করলে এসব দাগ দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের জন্য বিট ব্যবহারের নিয়ম
আমরা এখন জানব যে বিট কিভাবে ত্বকের জন্য ব্যবহার করা হয়? প্রথমে একটা বিট নিয়ে নিবেন। এরপর বিটের রস নিয়ে একটি বাটিতে রাখবেন। এবং তুলোতে করে মুখে মাখিয়ে নিবেন। তারপর পনেরো থেকে বিশ মিনিট রেখে দিবেন। এভাবে যদি আপনি 10 থেকে 12 দিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের যত ধরনের দাগ আছে সব দাগ দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
বিটরুটের অপকারিতা
আপনি জানতে চেয়েছেন বিটরুলের অপকারিতা সম্পর্কে যাদের রক্তচাপ কম তারা বিট খাবেন না। কারণ বিট খেলে আরো রক্তচাপ কমে যাবে।
এবং যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা বিট খাবেন না কারণ বিটে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে। বিট খাওয়ার ফলে যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের ফুসকুড়ির মত বের হতে পারে।
এবং যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা বিট খাবেন না কারণ বিট খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। কারণ বিটে প্রচুর পরিমাণ শর্করা রয়েছে। এজন্য বিট খাওয়া অবশ্যই বন্ধ করবেন যদি ডায়াবেটিস থাকে। আর যদি এসব সমস্যা না থাকে তাহলে অনায়াসে খেতে পারে।
বিটরুল যদি প্রতিদিন বেশি পরিমাণ করে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার কিডনিতে পাথর জামার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই স্বাভাবিক মাত্রায় বিট খাবেন।
শিশুদের বিট খাওয়ানো যাবে কি? উত্তর হল আপনার শিশুর বয়স যদি দুই বছরের উপর হয় তাহলে আপনার শিশুকে বিট খাওয়ান যেতে পারে। শিশুকে বিট খাওয়ানোর নিয়ম হলো এক থেকে দুই চামচ এর বেশি খাওয়াবেন না। এর বেশি যদি খান তাহলে আপনার শিসুর বদহজমের মত সমস্যা দেখা দিবে।
বিটরুট কোথায় পাওয়া যায়
বিট বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় সবজি বাজারে পাওয়া যায়। এবং এই বিট রুল অনেক উপকারী হওয়ার জন্য এর চাহিদা অনেক বেশি।
বিটের দাম কত
আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিট এর দাম কত? আমাদের বাংলাদেশে বিট ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। আমার মতে আপনি নিজের বাড়িতেই চাষ করবেন ।
বিট চাষ করার পদ্ধতি
ঘরোয়া চাষঃ
আপনি জানতে চেয়েছেন যে বিট চাষ করার পদ্ধতি? বিট বিভিন্নভাবে চাষ করা যায়। যদি আপনার জাগা না থাকে তাহলে আপনি বাড়ির ছাদে টবে অথবা বস্তায় মাটি দিয়ে বিট চাষ করতে পারেন। এতে ভালো ফলন পাবে।
বাণিজ্যিক চাষঃ
এবং যারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাচ্ছে তাদের জন্য বলছি প্রথমে পাঁচ থেকে ছয়টি চাষ করবেন। চাষ করা হয়ে গেলে আপনি অনেক পরিমান জৈব সার ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনি ভাল ফলন পাবেন। এরপর জমিকে আগাছা মুক্ত করবেন। বীজ ভবনের পর থেকে শুরু করে তিন মাস পর্যন্ত আপনি জমিকে আগাছা মুক্ত রাখবেন। তাহলে আপনি ভালো ফলন পাবেন ।যদি কোন ভাবে আগাছা বেশি পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন আগাছা মুক্ত করার। এবং পরিমাণ মতো সেচ ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথাঃ বিট রুটের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে পেরেছেন যে বিটরুল খাওয়ার উপকারিতা ??বিট খাওয়ার নিয়ম?/ ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী?? ত্বকের জন্য বিট কিভাবে ব্যবহার করবেন?? বিটের অপকারিতা?? বিট কোথায় পাওয়া যায়?? বিটের দাম কত?? বিট চাষের পদ্ধতি?/ এ সম্পর্কে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনি বীট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিটরুটের ছবি
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।