স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে, আজ আমরা বলব যে স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে, যদি আপনি স্থান ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

স্থান ক্যান্সার এটি অন্যান্য ক্যান্সারের থেকে একদম আলাদা। কারণ এই ক্যান্সার যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা যায় তাহলে একদম সম্পূর্ণরূপে ভালো করা যায়। এই স্তন ক্যান্সার মূলত প্রতিদিন দেশে ঘরে প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষের এই স্থান ক্যান্সার হচ্ছে। কিন্তু তারা কিছুই বুঝতে পারছে না। এর কারণ হলো প্রথমে এই ক্যান্সার কোন ধরনের ব্যথা করে না। এই ক্যান্সার পুরুষ অথবা মহিলা এই দুজনের ক্ষেত্রেই হতে পারে। স্তন ক্যান্সার মূলত প্রথমে ব্যথা না হলে পরে এটি মারাত্মকভাবে হয়ে দাঁড়ায়।যদি চিকিৎসা না করা হয় এই স্তন ক্যান্সার যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে এবং তার শিখর ছেড়ে দেয় তাহলে স্তন টাকে পুরোপুরি কেটে ফেলতে হবে। এটাই হচ্ছে এর চিকিৎসা। আর যদি লক্ষণ বোঝার সাথে সাথেই চিকিৎসা করতে পারেন তাহলে এটি সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাবে। এবং স্তন  কাটার কোন প্রয়োজন পড়বে না। স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা এখন জানব চলুন তাহলে শুরু করি।

স্তন ক্যান্সারের কারণ

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে আসি। স্তন ক্যান্সার হওয়ার কয়েকটি কারণ হলো যে যারা দেরিতে বিয়ে করে অর্থাৎ 3০ এর উপরে বাচ্চা নেয তাহলে তাদের স্তন  ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। স্তন ক্যান্সার হওয়ার আরেকটি সম্ভাবনা হলো বসে থাকা অর্থাৎ কোন লাফালাফি না করা কম্পিউটার বা মোবাইল গেম খেলা সব সময় এসব কারণে স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি একটু বেশি থাকে।

 স্তন  ক্যান্সারের আরেকটি কারণ হলো যাদের ৫০ বছরের  উপর  পিরিয়ড হয় তাদের স্তন  ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্তন ক্যান্সারের আরেকটি কারণ হচ্ছে যে যদি কোন মেয়ের বংশে স্থান ক্যান্সারের কারণে কেউ মারা যায় তাহলে তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। স্তন ক্যান্সারে কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। চলুন তাহলে স্তন  ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে যানা যাক।

স্তান ক্যান্সারের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন স্থান ক্যান্সারের লক্ষণ কি? স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ  প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুনা।

স্তন  ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে যে স্থানের উপর চাকা চাকা হয়ে যাওয়া। যদি স্তনর উপর চাকা চাকা টাইপের কিছু দেখতে পান তাহলে এটি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। স্তন  ক্যান্সার প্রথমে ব্যাথা মুক্ত হয়। অর্থাৎ কোন ধরনের ব্যথা যন্ত্রণা দেখা যায় না। স্তন ক্যান্সার হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল যে যদি দেখেন যে স্থানের উপর দাউদের মতো অথবা চুলকালে যেরকম লাল লাল হয়ে যায় সেরকম যদি হয় তাহলে বুঝবেন স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। যদি স্তনর বো্টার ভেতর দিয়ে কোন ধরনের রক্ত অথবা পানি অথবা বের হয় তাহলে বুঝবেন যে এটি স্থান ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

আরো পড়ন = সিজারের কত দিন পর জার্নি করা যায় জেনে নিণ।

স্তন  ক্যান্সারে আর একটি লক্ষণ হল যে স্থানের বোটা বেঁকে যাওয়া অথবা ভেতরে ঢুকে যাওয়া এসব স্তন  ক্যান্সারের লক্ষণ। স্তন ক্যান্সার যদি দীর্ঘদিনের হয়ে যায় অর্থাৎ অনেকদিনের হয়ে যায়, তাহলে এটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়ায় যেতে পারে। যেমন বগলে, লিভারে, ফুসফুসে, ব্রেনে, রক্তে, এসব জায়গায় স্তন ক্যান্সার ছড়িয়ে যেতে পারে। এই স্থান ক্যান্সার এটি যদি প্রথমে বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ যদি স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রথমেই করে তাহলে এটি ১০০% ভালো হওয়া সম্ভাবনা আছে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন স্তন ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? এর আগে আমরা জানলাম স্তন ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে এখন জানব। যে স্থান ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় চলুন তাহলে শুরু করি। স্তন ক্যান্সার এটি প্রায় বিশ্বের গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষকে হচ্ছে ।এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা একদম সহজ উপায় হল যদি কোন ধরনের স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় তাহলে এটি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ স্থান ক্যান্সার এটি একদম পরিপূর্ণভাবে নিরাময় করা যায়। অর্থাৎ ভালো করা যায়।

 যদি আপনি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেন তাহলে স্তন ক্যান্সার একদম সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাবে। আর যদি এটি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে যায় তাহলে স্থান ক্যান্সার থেকে অন্য জায়গায় ক্যান্সার ছড়িয়ে যেতে পারে। যেমন বগলে, ফুসফুসে, ব্রেনে ,অথবা হাড়ে  ছড়িয়ে যেতে পারে। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি উপাই যে অল্প বয়সে বিয়ে করা অর্থাৎ ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ত্রিশ বছর আগে বাচ্চা নেওয়া। এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। তাহলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। আর যদি 30 বছরের উপরে বিয়ে করে বাচ্চা নেন তাহলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

স্তন ক্যান্সার কি ভালো হয়

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন স্তন ক্যান্সার কি ভালো হয়? উত্তর হল হ্যাঁ। যদি আপনি সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাহলে স্থান ক্যান্সার ১০০% ভালো হয়ে যায়। স্তন ক্যান্সার মূলত এখন মেয়েদের অন্যতম প্রধান অসুখ। এই অসুখে প্রায় ৮ জনের মধ্যে একজন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। স্তন ক্যান্সার এটি যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরে বাসা বাঁধে তাহলে এটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পডরে। এবং যদি এই স্তন ক্যান্সার   শিকড় ছেড়ে দেয় তাহলে স্তন কাটা লাগে। অর্থাৎ স্তন কেটে ফেলে দিতে হয়। তাই দ্রুত সময়ে যদি বুঝতে পারেন স্তন ক্যান্সার সম্ভাবনা আছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ স্থান ক্যান্সার যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা যায় তাহলে একদম পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবে।

স্তন ক্যান্সার হলে করণীয় কি

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন স্তন ক্যান্সার হলে করণীয় কি? এর আগে আমরা বলেছি স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছিভ এখন আলোচনা করবো স্থান ক্যান্সার হলে করণীয় কিভ স্থান ক্যান্সার হলে প্রধান যে করনীয় সেটি হল চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেড়ে যাবে। কারণ যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে এটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়াবে। তাই যদি স্তন ক্যান্সার হয়েছে এমন কোন ধরনের আবহাওয়া পান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

শেষ কথাঃ স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার

প্রিয় পাঠক স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে উপর দিকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং তার সাথে আমরা স্থান ক্যান্সারের লক্ষণ, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ, স্তন ক্যান্সার কি ভালো হয়, এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ। আর সকল ধরনের হেলথ টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন। কারণ আমরা যখন নতুন পোস্ট করব তখন  আপনি তাড়াতাড়ি পান। এ আর্টিকেলটি  শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনার কোন ধরনের মতামত থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট বক্সে এসে জানাতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url