হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে, আজ আমরা এই আর্টিকেলে বলবো যে হারানোর দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে, এ সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারন আমরা আজ এই আর্টিকেলে হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রিয় পাঠক আমাদের কোন ভুলবশত দলিল যদি হারিয়ে যায় তাহলে করণীয় কি? চলুন জেনে নিন, যদি আপনার দলিল হারিয়ে যায় তাহলে এটি টেনশন করার কোন কারণ নেই। কারণ এই দলিল হারিয়ে গেলে কয়েকটি জিনিস যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তাহলে দ্রুতই দলিল পেয়ে যাবেন। দলিল পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ইনফরমেশন জানতে হবে।
এবং সেই ইনফরমেশন কোথায় কিভাবে কাজে লাগাবেন তা আমরা আজ এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি একবারেই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ মনোযোগ দিয়ে যদি না পড়েন তাহলে দলিল সংক্রান্ত তথ্য আপনি বুঝতে পারবেন না। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে
হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। হারানো দলিল যদি পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। হারানো দলিল যদি আপনি পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে খতিয়ানের দাগ নাম্বার জানতে হবে। অর্থাৎ সিএস অথবা এস এ নাম্বারটি বের করে নিতে হবে। এবং আপনাকে জমির দাগ নাম্বার জানতে হবে।
এরপর আপনাকে যা করতে হবে তা হল যে তুহসিল অফিসে যেতে হবে। তহসিল অফিসে যে আপনাকে দলিলের দাগ নাম্বার এবং খতিয়ান নাম্বার দিতে হবে। এবং এর পাশে একটি কেস নাম্বার থাকবে ।কেস নাম্বারটি আপনি নিয়ে নিবেন তাদেরকে বলে। এই কেস নাম্বারটি দিয়ে দিবে আপনাকে। এই কেস নাম্বারটি নেওয়া হয়ে গেলে তারপরে কিছু কাজ রয়েছে তা আমরা এখন নিচে উল্লেখ করছি।
অারো পড়ুন = কি খেলে টিউমার ভালো হয় জেনে নিন।
এরপর আপনাকে ভূমি অফিসে যেতে হবে। এই ভূমি অফিসে আপনার আবেদন করতে হবে হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে তার জন্য। আবেদন করতে আপনার খরচ হবে মাত্র ৩০ টাকা। এই আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি সার্টিফাইড কফির জন্য আবেদন করতে হবে। এই সার্টিফিকেট কপি এর জন্য আবেদন করতে আপনার খরচ হতে পারে ১১০০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার উপর বা তার মধ্য।
দলিল হারিয়ে গেলে খোজার নিয়ম [হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে]
প্রিয় পাঠক এখন আমরা বলব দলিল হারিয়ে গেলে খোজার নিয়ম কি? এর আগে আমরা বললাম হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে? এখন আমরা বলব দলিল হারিয়ে গেলে খোজার নিয়ম। দলিল হারিয়ে গেলে খোজার নিয়ম হচ্ছে যে তল্লাশি দিয়ে আপনাকে খুঁজতে হবে। অর্থাৎ ধরেন যদি আপনার দলিল ২০০৭ সালে হয় তাহলে ২০০৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একটি তল্লাশি দিতে হয়। এর মধ্য দিয়ে বুঝা যাবে যে এ জমিটি কে নিয়েছে অথবা কার কাছে এই দলিল রয়েছে অর্থাৎ কার নামে দলিলটি রয়েছে তাহলে বুঝা যাবে।
এই জমির দলিল কার নামে রয়েছে বের করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল তৌসিল অফিসে যেতে হবে। সেখানে তল্লাশি দিতে হবে। তল্লাশি দেওয়ার পর আপনাকে দলিলের দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার এবং খতিয়ানের কেস নাম্বার নিতে হবে। এ কয়েকটা বিষয় যদি আপনি সেখান থেকে তল্লাশি দিতে পারেন। তোহসিল অফিস থেকে তল্লাশি দিয়ে খুব সহজে দলিলের নকল উঠাতে পারবেন।
যে কোন জমির দলিল মাত্র ৭ দিনে বের করার নিয়ম [হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে]
প্রিয় পাঠক আমরা এখন বলবো যে যেকোনো দলিল তাড়াতাড়ি বের করার নিয়ম সম্পর্কে। এর আগে আমরা বলেছি হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে কোন দলিল আপনি মাত্র ৭ দিনে বের করতে পারবেন মাত্র ৫০০ টাকায় ।এবং এমনকি যদি 650 টাকার বেশি খরচ করেন তাহলে আপনি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই দলিল পেয়ে যাবেন।
চলুন তাহলে এই দলিল কিভাবে বের করা যায় জেনে আসিঅ জমির দলের মূলত দুই জায়গায় পাওয়া যায়অ একটি হলে সাব রেজিস্টার অফিসের record রুমে । আর দুই নাম্বার হচ্ছে যে জেলা রেজিস্ট্রেস অফিসের record রুমে দলিল পাওয়া যায়। আবার প্রত্যেকটি জেলায় উপজেলা রয়েছে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে সাব রেজিস্টার অফিস রয়েছে।
এই দলিল বের করার জন্য আপনাকে কয়েকটি জিনিস লাগবে তার মধ্যে হচ্ছে যে দলিল নাম্বার। যদি দলিল নাম্বার থাকে তাহলে অতি সহজে ই দলিল খুঁজে বের করা যাবে। দুই নাম্বার হচ্ছে যে যদি রেকর্ড নাম্বার থাকে তাহলে অতি সহজেই আপনার দলিলটি খুঁজে পাওয়া যাবে। এবং এসবও যদি না থাকে তাহলে যদি আপনার দলিলের গৃহীতার নাম অথবা যে দলিল বিক্রি করছে তার নাম অথবা মালিকের নাম থাকে তাহলে পাওয়া যাবে। এবং এইটাও যদি না থাকে তাহলে আপনি মৌজার নাম দিয়ে দলিল তাড়াতাড়ি বের করা যায়।
এইসব যদি আপনার কাছে কিছু প্রমাণ থাকে তাহলে এটি নিয়ে আপনাকে রেজিস্টার অফিসে যেতে হবে। এই রেজিস্ট্রার অফিসে তল্লাশি দিতে হবে ১২ বছরের বারোটা তল্লাশি দিতে পারবেন। এবং তারপরে ২৪ টা দিতে পারবেন ।
এভাবে দিতে পারবেন। অর্থাৎ প্রতি বছরে একটি করে তল্লাশি দিতে পারবেন এ তল্লাশি বিয়ে নকল দলিল তোলার জন্য আপনার খরচ হবে সাড়ে পাঁচশ টাকা। এটি স্বাভাবিকভাবে দলিতলার ক্ষেত্রে। এবং যদি আপনি তার সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করেন অর্থাৎ 700 টাকার মতো তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার দলিল এর নকল তুলতে পারবেন। প্রিয় পাঠক এতক্ষন আমরা জানলাম হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যায়। এখন জানবো দলিল তল্লাসি কি?
দলিল তল্লাশি কি? [হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে]
প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে দলিল তল্লাশি কি? চলুন তাহলে জেনে আসি যে দলিত তল্লাশি কি? দলিল তল্লাশি হলো যে কোন সাব রেজিস্টার এর অফিসে গৃহিতা এবং ক্রেতা সম্বন্ধে যেটা খোঁজাখুঁজি করা হয় সেটা কে ভূমি ভাষায় দলিল তল্লাশি বলা হয়। এই দলিল তালাশী করার মাধ্যমে পুরনো দলিলের কপি পাওয়া যায়।
এবং সে কপি থেকে আসল দলীল তোলা যায়। এই ভূমি তলাশীর মাধ্যমে দলিলের বৈধতা অর্থাৎ দলিল এইটা আসল না নকল বোঝা যায়। যদি দলিল তল্লাশি করা হয় তাহলে জমি দলিল অতি সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। এবং এই তল্লাশি করতে গেলে কয়েকটি ক্লু অর্থাৎ প্রমাণ লাগবে। তার মধ্যে হতে পারে যে আপনার দলিলের নাম্বার ।এবং খতিয়ান নাম্বার। অথবা মৌজা। অথবা মালিকের নাম। যে কোন বিষয় একটি থাকলেই দলিল দ্রুত বের করা যায়। এই দলিল তল্লাশি বের করতে গেলে তেমন কোন বেশি টাকা খরচ হয় না। এই দলিল তল্লাসি সাধারণত ১২ বছর পর্যন্ত দিয়ে থাকি।
শেষ কথাঃ হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক আমরা আজ এই আর্টিকেলে জানতে পারলাম যে হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যাবে। দলিল হারিয়ে গেলে খোজার নিয়ম। যে কোন জমির দলিল মাত্র ৭ দিনে বের করার নিয়ম। দলিল তল্লাশি কি। এ সম্পর্কে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এবং যদি আপনি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই হারানো দলিল কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং যদি আরো দলিল সম্পর্কে যেকোনো ইনফরমেশন পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভালো দিয়ে রাখবেন।
কারণ আমরা যখনই কোন নতুন ইনফরমেশন দিব তখনই যেন আপনার কাছে চলে যায়। হারানো জমি দলিল কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে না বুঝতে পারলে এই পোস্টটি আবার পড়ুন ধন্যবাদ।