অর্জুন গাছের ছালের 7 টি উপকারীতা ও অপকারীতা

 অর্জুন গাছের ছালের ৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব। আমরা অনেকেই জানিনা যে অর্জন গাছের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই যদি আপনারা অর্জুন গাছের ছালের ৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ভূমিকা

অর্জুন গাছের ছালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ জানিনা যে অর্জুন গাছের ছালের ব্যবহারের নিয়ম কি? এবং কিভাবে ব্যবহার করলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়? যদি আপনারা অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা পেতে চান এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান এবং তার সাথে কোন কোন রোগের কাজ করে এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অর্জুন গাছের ছালে ৭ টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

    অর্জুন গাছের ছালের ৭ টি উপকারিতা

    • ১.হার্টের জন্য অর্জুন গাছের ছাল অত্যন্ত উপকারী। যাদের দীর্ঘদিন ধরে হার্ডের সমস্যা রয়েছে তারা এই অর্জন ছাল খেতে পারে। কারণ এই অর্জুন ছালের মধ্যে হাটকে সুস্থ রাখার বিভিন্ন উপকরণ রয়েছে। যা খাওয়ার ফলে হাটকে সুস্থ রাখে। এই অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিন চামচ পরিমাণ অর্জুনের ছাল এর পানি সঙ্গে খেতে হবে। এভাবে 8 থেকে 10 দিন যদি অর্জনে ছাল খাওয়া যায় তাহলে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
    • ২.গ্যাস্ট্রিকের জন্য অর্জুন গাছের ছালে বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা রয়েছে তারা এই অর্জুন গাছের ছাল খেতে পারেন। কারণ এই অর্জুনের ছাল খাওয়ার ফলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই যদি আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে এই অর্জনের ছাল খেতে পারেন। এ অর্জনের ছাল খাওয়ার নিয়ম হলো যদি গুড়া অর্জনের ছাল হয় তাহলে এক চামচ পরিমাণ এক কাপের দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এবং যদি অর্জুনের ছাল হয় এবং তা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন তাহলে আধা কাপ মতো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিবেন।
    • ৩.হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী অর্জুন গাছের ছাল। যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি অথবা শ্বাসকষ্টই ভোগেন তাহলে তাদের জন্য সুখবর। কারণ যদি কেউ অর্জুন গাছের ছালের গুড়ো সি*গা*রে*টের মতো করে হালকা পরিমাণে ভেতরে নেয় তাহলে তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে। তাই যদি আপনি আপনার শ্বাসকষ্ট অথবা হাঁপানি দূর করতে চান তাহলে এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন। একটি কথা হল কোন জিনিস বেশি ব্যবহার করা ভালো না।
    • ৪.আমাশার জন্য অর্জুন গাছের ছাল অত্যন্ত উপকারী। যাদের কিছুদিন পরপর আমাশার মত সমস্যা দেখা দেয় অথবা পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা দেখা দেয় তারা এই অর্জন গাছের ছাল খেতে পারেন। এই অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা মত সমস্যা চলে যায়। অর্জুন গাছের ছাল আমাশার ক্ষেত্রে খাওয়ার নিয়ম হলো দুই থেকে তিন চামচ পরিমাণ ছাগলের দুধ এবং অর্জুন গাছের ছালের রস করে তার মধ্য দিয়ে আপনি খেয়ে নিতে পারেন। তাহলে আমাশা দূর হয়ে যাবে।
    • ৫.যাদের লো প্রেসার রয়েছে তারা এই অর্জুন গাছের ছাল খেতে পারেন। কারণ লো প্রেসারের জন্য অর্জুন গাছের ছাল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের পেশার একেবারেই লো তাদের ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে আধা কাপ পানির মধ্যে অর্জুন গাছের ছাল এক চামচ দিয়ে তা ভালোভাবে ভিজিয়ে রেখে  আপনি খেয়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনার পেশার স্বাভাবিক চলে আসবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
    • ৬.ত্বকের জন্য অর্জুন ছাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ত্বকে মেছতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জি ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এই অর্জন গাছের ছাল। তারা যদি এই অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই তারা উপকার বুঝতে পারবে। তাই যদি আপনার ত্বকের কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন।
    • ৭.দাঁতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই অর্জুন গাছের ছাল। যাদের দাঁতে মাড়ির গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলো দূর করতে পারে এই অর্জুন গাছের ছাল। তাই যদি আপনার এই দাঁতের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। অর্জুন গাছের ছাল দাঁতের জন্য বেশ উপকারী।

    অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা

    অর্জুন গাছের ছালে তেমন কোন অপকারিতা নেই। কিন্তু কয়েকটি অপকারিতা রয়েছে তা এখন আমরা বলব । প্রথমে যে টি রয়েছে সেটি হল কোন গর্ভবতী মহিলাকে এই অর্জুনের ছার খাওয়া যাবেনা। যদি এই অর্জনের গাছের ছাল কোন গর্ভবতী মহিলা খায় তাহলে কোন সমস্যা হতে পারে। এবং যাদের পেশার হাই তাদের না খাওয়াই উচিত। এই অর্জন গাছের ছাল এবং যদি খেতে চায় তাহলে যেকোনো চিকিৎসকের পরামর্শই অনুযায়ী খেতে পারেন। আশা করি অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা জানতে পেরেছেন।

    অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম

    অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে আমরা আলোচনা করব। অর্জুন গাছের ছাল আপনি দুই ভাবে খেতে পারেন। প্রথমে হলো আপনি অর্জুন ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেটি সকালে খেতে পারেন। এবং দ্বিতীয়টি হল অর্জুন গাছের ছাল গোড়া পাউডার করে এটি আপনি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পানি ছেঁকে খেয়ে নিতে পারেন। মূলত এই দুইভাবে অর্জুন গাছের ছাল খায়। আরেকটি হলো যে অর্জুন গাছের ছাল আপনি সেদ্ধ করে অর্জুনের ছালের সম্পূর্ণ কস বের করে সেগুলো ঠান্ডা করে আপনি খেতে পারেন। এভাবে যদি খান তাও ভালো উপকার পাবেন।

    অর্জুন গাছের ছাল কোথায় পাওয়া যায়।

    অর্জুন গাছের ছাল আপনার বিভিন্ন জায়গায় পাবেন। যদি আপনারা একটু খোঁজখবর নেন তাহলে বিভিন্ন রাস্তার ধারে অথবা জঙ্গলে ঝোপ ঝাড়ে ইত্যাদি জায়গায় এই গাছগুলো দেখা যায়। এই গাছ মূলত মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যদি এই গাছের ছাল কেউ পানিতে ভিজিয়ে খায় তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হবে। যেসব উপকারিতা পাবে তা আমরা উপরের দিকে তুলে ধরেছি। অর্জুন গাছের ছালের গুড়ো মূলত এখন বিভিন্ন অনলাইনে বিক্রি করা হয়। তাহলে আপনারা সেখান থেকে নিতে পারেন।কিন্তু সবথেকে যেটা বেশি ভালো হয় সেটা হলো গাছের ছাল সংগ্রহ করা।

    অর্জুন গাছের ছবি।

    আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা অর্জুন গাছ চিনে না। তাদের জন্য আমরা অর্জুন গাছের ছবি তুলে ধরব। কারণ আমাদের বাড়ির আশপাশে যদি থাকে সেটির নাম না জানার কারণে আমরা চিনতে পারিনা। তাই সেই অর্জুন গাছের ছবি দিয়ে দেবো। যেন আপনারা চিনতে পারেন। চলুন তাহলে অর্জুন গাছের ছবি দেখে নেয়া যাক।

    অর্জুন গাছ

    অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য।

    অর্জুন গাছের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন অর্জুন গাছ একটি ভেষজ উদ্ভিদ এই উদ্ভিদের মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো খাওয়ার ফলে মানুষের অনেক ধরনের সমস্যা দূর হয়। এবং এই অর্জুন গাছ দেখতে মূলত ঝাল পাতের মতো পাতা হয়ে থাকে। এবং সে অর্জুন গাছগুলো লম্বায় অনেক উঁচু হয়। এবং এর ফল গুলো কামরাঙ্গার মত হয়। এবং একটি অর্জুন গাছের প্রায় অনেক ফল আসে। সেই অর্জুন গাছের ছাল তুললে অর্জুন গাছগুলো মা*রা যায় না। এটি অর্জুন গাছের ছাল কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় বছর পর পাওয়া যায়।

    উপসংহার

    অর্জুন গাছের ছাল খাবার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং যদি আপনারা এই নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন এবং ব্যবহার করেন তাহলে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। একটি কথা হল  যেকোনো ওষুধ বেশি খাওয়া ভালো নই, আর আপনারা সকলে জানেন যে প্রাকৃতিক ওষুধ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই । এবং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনারা যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধ খেতে পারেন। এবং যেকোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে পারেন। এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url