গ্রামিন ব্যাংকের ৫ টি সুযোগ সূবিধা । গ্রামিন ব্যাংকের সুযোগ সূবিধা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে, যারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়, এবং চাকরি করতে চাই। যদি আপনারা গ্রামীণ ব্যাংকে জব করতে চান তাহলে আপনার অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা থাকবে। এবং যারা লোন নিবে তাদেরও সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তাই যদি আপনারা এই সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। চলুন তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের ৫ টি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গ্রামীণ ব্যাং কি?

গ্রামীণ ব্যাং কি? এটি অনেকেই জানিনা। এখন আমরা বলবো যে গ্রামীণ ব্যাংক কি? গ্রামীণ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের একটি ছোট ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। এবং  সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক। এই ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে ঋণ দিয়ে থাকে। তাই যদি আপনারা এই গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণ নিতে চান, তার আগে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন।  যারা চাকরি করতে চান তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে গ্রামীণ ব্যাংকে পরীক্ষা দিতে যাবেন।

গ্রামিন ব্যাংক

গ্রামীণ ব্যাংকের ৫ টি সুযোগ সুবিধা

• ১.আমরা অনেকেই জানিনা যে গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলো কি কি? তাই আজ আমরা এখন গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব। গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকটি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম হলো যে গ্রামিন ব্যাংকে আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনার একটি গ্রেট থাকবে। যদি সেই গ্রেডটি বাড়াতে পারেন। তাহলে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।
• ২.আপনি বছরে চার থেকে পাঁচটি বোনাস পাবেন। এ বোনাসগুলো আপনার বেতনের উপর নির্ভর করবে। যদি আপনারা এই গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে এই বোনাস পাবেন।
• ৩.যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে আপনার যাতায়াত খরচ, চিকিৎসা, ফোন বিল, পেনশন, ইত্যাদি তারা দিয়ে থাকে। এবং যদি আপনি চাকরি রত অবস্থায় কোনো বাড়ি বা দোকান করার জন্য লোন নেন তাহলে তারা দিয়ে থাকে।
• ৪.যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে তাড়াতাড়ি আপনার চাকরি নষ্ট হবে না। এটি একটি বিশাল সুযোগ সুবিধা। যদি কেউ দুশমনি করে আপনার চাকরি নষ্ট করে দিতে চাই, তাহলে সেই চাকরি নষ্ট হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
• ৫.যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে আপনাকে প্রতিমাসেই আপনার বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। কিছুদিনের জন্য বেতন বন্ধ রাখবে না। তাই যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে এই সুবিধা পাবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি?

আপনারা প্রশ্ন করেছেন যে গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি? উত্তর: জি না। গ্রামীণ ব্যাংক একটি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। এই গ্রামীণ ব্যাংক মূলত কোন সরকারের আন্ডারে নেই। এ গ্রামীণ ব্যাংক নিজে একাই পরিচালিত করে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ডাক্তার ইউনুস ।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত?

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এখন পর্যন্ত জানে না যে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত? তাই আজ আমরা এখন গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে বলবো। গ্রামিন ব্যাংকে যদি আপনি লোন নিতে যান তাহলে আপনাকে সুদের হার দিতে হবে ৮%। এবং যদিও আপনি মুনাফা পেতে চান তাহলে আপনাকে ৭% দেওয়া হবে। আশা করি গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা কে?

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানেনা। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হলো ডাক্তার ইউনুস। এই গ্রামীণ ব্যাংক মূলত বিভিন্ন কাজের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। কোন কোন কাজের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিন।

গ্রামীণ ব্যাংক কোন কোন কাজের জন্য লোন দিয়ে থাকে?

গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন কাজের জন্য লোন দিয়ে থাকে। এখন আমরা বলব যে কোন কোন কাজের জন্য গ্রামিন ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন।

• যদি কোন ব্যক্তি কোন গাড়ি কিনতে চাই ,এবং সেটি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে, তাহলে সে লোন পাবে। যদি সে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায় তাহলে তাকে নিঃসন্দেহে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন দিবে মাইক্রো কেনার জন্য।
• যদি কোন ব্যক্তির কৃষি কাজের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায়, তাহলে তারা এ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে। এবং বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত্রে তারা লোন নিতে পারবে। এবং কিছু কিছু মৌসুমে শাকসবজি ধান ইত্যাদি চাষ হয় সেগুলো চাষ করার জন্য তারা লোন নিতে পারবে।
• যদি কেউ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে চাই , সে ক্ষেত্রে তারা লোন নিতে পারবে। যদি তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে চাই সে ক্ষেত্রে তারা 40 থেকে 45 লাখ টাকা মতো লোন পাবে।
• কোন ধরনের যদি কেউ সেতু তৈরি করতে চায় এবং সে কোন ব্যাংক থেকে অথবা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে তাকে লোন দেয়া হবে্। কিন্তু সে লোন পাবে ৯০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। এর বেশি লোন পাবে না।
• যদি কেউ গ্রামীণ ব্যাংকে সঞ্চয় একাউন্ট খুলতে চায় তাহলে সে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সঞ্জয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ।এবং সে সঞ্চয় জমা করে পরবর্তীতে যেকোনো সময় তুলতে পারবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত?

বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন রকম সুদের হার থাকে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের একটি সুদের হার রয়েছে। সেই সুদের হার হল যে ১৯% ।এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সুদের হার হল ২৪% ।এটি হলো গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার।

গ্রামীণ ব্যাংকে কিভাবে লোন পাওয়া যায়?

যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চান তাহলে আপনাকে একটি কাজ করতে হবে। সেটি হল ছয় থেকে সাত জন মত একটি দল তৈরি করতে হবে। এবং যখন আপনার ঋণ নিতে যাবেন তখন একে অপরকে সাপোর্ট করতে হবে। 

এবং যদি আপনারা ঋণ নিতে চান তাহলে আপনাকে একটি ছোট্ট পরীক্ষা দিতে হবে। যদি আপনারা সেই পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে পারেন তাহলে আপনাদের ঋণ কনফার্ম। কিন্তু ভালো রেজাল্ট না করতে পারলে কোন ধরনের সমস্যা নেই্, তাও ঋণ পাবেন। কিন্তু একজনের সাপোর্ট লাগবেই ঋণ নিতে গেলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠ কর্মীদের বেতন কত?

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা জানতে চায় যে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠ কর্মীদের বেতন কত ?এ সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে বলব। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মীদের বেতন কত? এ সম্পর্কে সকলেরই জানা থাকা উচিত। 

বিশেষ করে যে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করবে তার বেশি করে জানা থাকা উচিত। যদি আপনি প্রথম প্রথম গ্রামীণ ব্যাংকে মাঠকর্মী হিসেবে চাকরির নেন, তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ১১ হাজার টাকা। এবং এ বেতনটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। আপনি কেমন কাজ করছেন মাঠে সেই হিসেবে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান কে?

বর্তমানে এখন যে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান রয়েছে তার নাম হলো যে ডাক্তার আশরাফুল। সে এখন গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমানে চেয়ারম্যান। আশা করি গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

আমরা এখন জানবো যে গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? তার আগে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পেরেছি। গ্রামীন ব্যাংক মূলত ১৯৭৬ কাল থেকে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে। এবং এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রথম বাংলাদেশে চালু করেছে ডাক্তার ইউনুস। এবং এই গ্রামীণ ব্যাংকে কোন জামানা ছাড়াই ঋণ দেওয়া হতো।

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের সর্বনিম্ন বেতন কত?

গ্রামিন ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের কর্মচারী রয়েছে। তাদের বেতন সর্বনিম্ন ১১ হাজার টাকার মতো। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের যে বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছে তার বেতন হচ্ছে যে 20 থেকে 22 হাজার টাকার মত। এটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে পারে। এবং গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করে থাকে। এর ফলে ম্যানেজারের বেতন বৃদ্ধি পায়। তাই যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারি পদে যোগ দিতে চান তাহলে আপনাদের এরকম বেতন হবে।

গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতে কি যোগ্যতা লাগে?

যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতে চান এবং সেটি মাঠকর্মী পদে তাহলে আপনার সর্বনিম্ন যোগ্যতা লাগবে এসএসসি পাশ। যদি আপনারা এসএসসি পাস করেন তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠ কর্মী হিসেবে চাকরি করতে পারবেন। এবং যদি আপনাদের পড়ালেখা একটু বেশি হয় তাহলে আপনাদের কাজের মানটা একটু ভালো হবে। তাই গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতে গেলে একটু ভালো পড়ালেখার মান করা উচিত।

গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নেওয়া কাদের জন্য উচিত নয়?

যদি কোন ব্যক্তি খাঁটি ঈমানদার বা খাঁটি মুসলিম হয়ে থাকে, তাদের জন্য এই গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নেয়া উচিত নয়। যদি তারা এই গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নেয় তাহলে তাদেরকে সুদের সাথে জড়িত হতে হবে। তাই যদি আপনি একজন খাঁটি ঈমানদার লোক হন তাহলে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়া বন্ধ রাখবেন। এতে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের অসুবিধা

যারা চাকরি করতে চান তাদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকে কয়েকটি অসুবিধা রয়েছে সেই অসুবিধাগুলো হলো যে যদি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে ছুটি কম পাবেন এবং সহজে ছুটি তারা দিবে না। এবং যদি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাহলে কাজের প্রেসার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এবং তারা যে কোন কাজে  ছুটি দিবে না। এবং কিস্তি আদায় করতেই হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করলাম যে গ্রামীণ ব্যাংকের পাঁচটি সুযোগ সুবিধা। এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধা গুলো কি কি? সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং কোন কোন কাজের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে এ সম্পর্কে তুলে ধরেছি। যদি আপনারা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। 

এবং যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।