বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় । বাচ্চাদের দাঁত কিভাবে তুলব


এখন আমরা আলোচনা করব যে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় এবং বাচ্চাদের দাঁত কিভাবে তুলে? এ সম্পর্কে। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বাচ্চাদের দাঁত তোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চাদের দুধের দাঁত পড়ে যে একটি শক্ত এবং সবল দাত বের হয়। এ দাঁতগুলো যদি না তোলা যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন আকাবাকা দাঁত বের হয়। এবং দাঁত বের হওয়ার সময় অনেক যন্ত্রণা ব্যথা সৃষ্টি হয়। তাই যদি বাচ্চাদের দাঁত সঠিকভাবে তোলা যায় তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তাই বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বলব। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

বাচ্চাদের দাঁত কেন ওঠে?

বাচ্চাদের ওঠার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রথমত যে কারণটি হল সেটি এখন আমরা জানব।  বাচ্চাদের দাঁত ওঠার এক নাম্বার কারণ হলো যে দাঁতগুলো ছোট থেকে বের হয়, তাকে বলা হয় দুধের দাঁত। এবং সে দাঁতগুলো অনেক নরম হয়ে থাকে। যার ফলে বাচ্চারা শক্ত খাবার খেতে পারবে না।এর ফলে প্রাকৃতিকভাবে সে দাঁতগুলো উঠে পড়ে যায়। এবং একটি শক্তিশালী দাঁত বের হয়। যে দাঁতের সাহায্যে আপনারা বিভিন্ন ধরনের শক্ত খাবার খেতে পারেন। এটাই হলো বাচ্চাদের দাঁত ওঠার কারণ।

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় এবং কিভাবে বাচ্চাদের দাঁত তুলে সম্পর্কে আমরা এখন বলব। চলুন তাহলে জেনে নি,। বাচ্চাদের দাঁত তোলার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল যখন দেখবেন বাচ্চাদের দাঁত হালকা পরিমানে নড়ে আসবে তখন বাচ্চাকে বলবেন যে জিব্বা দিয়ে সে দাত টিকে বারবার ঘষাঘষি করা। কারণ যদি জিব্বা দিয়ে দাঁতের সঙ্গে ঘষাঘষি  করা হয় অর্থাৎ নড়ানো হয় তাহলে সে দাঁত আস্তে আস্তে আলগা হয়ে যাবে। আপনার আরেকটি সুতার সাহায্যে সে দাঁতটি বেঁধে একটি জোরে করে টান দেন, তাহলে সে দাঁতটি উঠে যাবে।

আরো পড়ুন = শিশুদের নিউমনিয়া হলে করনী কি জেনে নিন।

আপনারা চাইলে ডিল মেশিন দিয়ে বাচ্চাদের দাঁত তুলতে পারেন। এটি শুনতে অবাক লাগলে এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বলছি। আপনার একটি সুতা নেবেন। এবং সেই সুতার এক মাথা দাঁতের সঙ্গে বেধে দিবেন। যদি সুতার এক মাথা তাদের সঙ্গে বাধা হয়ে যায় তাহলে অপর মাথা ডিল মেশিনের মাথায় বেধে দিবেন। এবং বাচ্চার চোখ বন্ধ করে ডিল মেশিন চালু করলে বাচ্চার দাঁত উঠে চলে আসবে। আপনারা এই পদ্ধতিতে বাচ্চার দাঁত তুলতে পারেন।

আপনারা আরেকটি পদ্ধতিতে দাঁত তুলতে পারেন। যদি দেখেন আপনার বাচ্চার দাঁত নড়ছে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এবং সেখানে এক মিনিটের মধ্যে আপনার বাচ্চাটা তুলে দিবে। এবং তারা কিছু সামান্য টাকা নিতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক বয়স কখন?

আমরা উপরের দিকে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব যে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক বয়স কখন? বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক বয়স মূলত ৭ থেকে ১২ বছর। এই বয়সের মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত উঠা শুরু করে। কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু বাচ্চা রয়েছে যাদের তিন থেকে চার বছরের মধ্যে দাঁত ওঠা শুরু করে। এবং এমনও বাচ্চা রয়েছে যাদের ১২ থেকে ১৩ বছর এর মধ্যে দাঁত ওঠা শুরু করে। তাই এটি কোন বিষয় না, কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন যে আপনার বাচ্চার দাঁত উঠবে। সেটি যখনই হোক । কিছুদিন আগে অথবা কিছুদিন পরে।

বাচ্চাদের দাঁত বের হওয়ার সময় কি করা উচিত?

বাচ্চাদের দাঁ ততোলার সহজ উপায় এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠা সঠিক বয়স সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব যে বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় গুলো কি কি? চলুন তাহলে জেনে নি। যখন দেখবেন যে আপনার বাচ্চার দাঁত উঠছে তখন অবশ্যই বাচ্চাদেরকে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। যদি আপনারা বাচ্চাকে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ান তাহলে অতি সহজেই দাঁতগুলো মজবুত হয়ে উঠবে এবং শক্ত হবে।

যখন দেখবেন আপনার বাচ্চা দাঁত উঠে গেছে এরপর আপনারা বাচ্চাকে সাবধান করবেন যে যেগুলো দাঁত উঠে গেছে সেগুলোতে জিবা দিয়ে না ঘষা দিতে। যদি তারা জিবা দিয়ে সে দাঁতগুলো নিয়মিত ঘষতে থাকে তাহলে সে দাঁতগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চাদেরকে জিহ্বা দিয়ে দাঁত ঘষা থেকে বিরত থাকতে বলবেন।

যখন দেখবেন বাচ্চার দাঁত সম্পূর্ণ উঠতে শুরু করেছে তখন ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওবেন। কারণ ভিটামিন ডি , হাড় এবং দাঁতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। তাই যদি আপনারা ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ান তাহলে দাঁত টি অনেক মজবুত এবং শক্তিশালী হবে। যা পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

যখন দেখবেন যে আপনার বাচ্চার দাঁত উঠে গেছে এবং নতুন দাঁত বের হচ্ছে তখন কোনোভাবেই আপনার বাচ্চাকে প্রচন্ড পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন না। কারণ যখন দাঁত বের হবে তখন দাঁত অনেক নরম থাকে। এর ফলে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই নতুন দাঁত বের হওয়ার সময় অবশ্যই মিষ্টি থেকে দূরে রাখবেন বাচ্চাদেরকে।

বাচ্চাদের দাঁত গজালে কি কি সমস্যা হয়?

বাচ্চাদের দাঁত ওঠাতে এমন কোন ধরনের সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু  ক্ষেত্রে কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন জ্বর হওয়া, পায়খানা হয়। এসব ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই যদি আপনারা দাঁত গজানোর সময় কোন ধরনের সমস্যা দেখেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ যদি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন তাহলে দাঁতে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে, যেমন দাঁত  বেঁকে যাওয়া।

বাচ্চাদের দাঁত গজানোর সময় কোন কোন খাবার খাওয়ানো উচিত?

আমরা আজ এই আর্টিকেলের মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় এবং বাচ্চাদের দাঁত বের হওয়ার সময় কি করা উচিত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব যে বাচ্চাদের দাঁত গজানোর সময় কোন কোন খাবার খাওয়ানো উচিত। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। যখন দেখবেন যে আপনার বাচ্চার দাঁত গজানো শুরু করেছে তখন আপনারা প্রচন্ড পরিমানে সামুদ্রিক মাছ এবং ডিম,দুধ এগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত রয়েছে সেসব খাবার বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কারণ ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ালে হাড়ের গঠন বৃদ্ধি পায়। এবং সুন্দর হয়। এবং দাঁত মজবুত হয় ।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করেছি যে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় এবং কিভাবে বাচ্চাদের দাঁত তুলতে হয়? এবং তার সাথে বাচ্চাদের দাঁত গজালে কি কি সমস্যা হয়? এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক বয়স কত? এবং বাঁচার দাঁত কেন ওঠে? সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন্। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ তারাও জানতে পারবে যে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url