লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার ১০ টি উপায় । লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার ১০ টি উপায় এবং লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। এর ফলে আমাদের ত্বকের যে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা লেবু দিয়ে কিভাবে ত্বক ফর্সা করে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

লেবু দিয়ে ত্বক ফর্সা করে এ কথাটি একেবারেই সত্য। কারণ এটি বিভিন্ন ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যদি আপনারা বিভিন্ন ক্রিমের বদলে লেবু দিয়ে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তাহলে এটি সবথেকে বেশি ভালো হয়। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। সেই ক্রিম ব্যবহার করে আপনার স্কিন ক্যান্সারের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা  প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে স্ক্রিন সুরক্ষিত রাখবেন তা জেনে নিন। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

লেবু দিয়ে কি ফর্সা হওয়া যায়?

আপনার মধ্যে অনেকে আছে যারা এখন পর্যন্ত জানে না যে লেবু দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো যায়। তাই যারা জানে না যে লেবু দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো যায়, তারা এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে লেবু দিয়ে আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ফর্সা হয়ে যেতে পারবেন। এবং এটি ন্যাচারাল উপায়ে ফর্সা করবে, যা আপনার স্কিনের কোন ধরনের ক্ষতি করবে না। লেবু দিয়ে বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষই ফর্সা হচ্ছে ন্যাচারাল ভাবে। এবং ত্বকের উজ্জলতা গুলো দীর্ঘদিন টিকে থাকছে। আর বর্তমানে যেগুলো ক্রিম দিয়ে ফর্সা হচ্ছে তাদের উজ্জ্বলতা রোধে গেলেই শেষ। আর লেবু দিয়ে যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো যায় তাহলে এটি কোনভাবেই নষ্ট হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার ১০ টি উপায়।

এখন আমরা জানবো যে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার ১০ টি উপায় সম্পর্কে। যারা লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানেন না তারা এই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং কিভাবে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় তা জেনে নিন। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় যাওয়া যায়।

১.লেবু দিয়ে ফর্সা হতে গেলে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল একটি লেবু নিতে হবে। এবং সে লেবুটি মাঝামাঝি থেকে কেটে নিতে হবে। যদি মাঝামাঝি থেকে লেবুটি কাটা হয়ে যায় তাহলে একটি বাটি নিতে হবে। এবং সে বাটির মধ্যে লেবুর রস দিতে হবে। লেবুর রস দেওয়া হয়ে গেলে তার সাথে দুই তিন ফাটার মত মধু দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ মিক্স করার পর এটি তোকে লাগিয়ে দিতে হবে। তোকে লাগানো হয়ে গেলে দশ মিনিট পর আপনি ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন = পা ফাটা দূর কারর উপায় জেনে িনণ।

২.আপনি একটি পাত্র নিবেন। এবং সেই পাত্রতে কাঁচা দুধ নিবেন। এবং তার সাথে কয়েক ফোঁটা  লেবুর রস দেওয়া হয়ে গেলে এটি ভালোভাবে মিকচার করবেন। যদি এটি ভালোভাবে মিকচার হয়ে যায় তাহলে এটি আপনাদের ত্বকের উপর লাগিয়ে দিবেন। তবে লাগানো হয়ে গেলে 15 থেকে 20 মিনিট পর সেটিকে ধুয়ে ফেলবেন। তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। এটি আপনি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।

৩.ত্বকের উজ্জ্বলতা অর্থাৎ ফর্সা করার জন্য আপনারা লেবু এবং হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা সকলেই জানেন যে হলুদ কতটা ত্বকের জন্য উপকারী,। এবং লেবু ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কারণ লেবুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে। যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ, মেস্তা, ব্রন, এসব ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে। তাই যদি আপনি লেবু এবং হলুদ দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে একটি লেবু নিতে হবে। এবং সেই লেবুর রস নিতে হবে। এবং কিছু হলুদের নিতে হবে । সেটি একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

৪.লেবু দিয়ে এবং তার সাথে টুথপেস্ট দিয়ে আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে একটি লেবু নিয়ে নিতে হবে। এবং সেই লেবেটি মাঝামাঝি থেকে কেটে নিতে হবে। এবং সেই লেবুর উপরে হালকা টুথপেস্ট দিয়ে আপনার স্ক্রিনে উপর ঘুষতে হবে কিছুক্ষণ।  ১০ মিনিট রেখে আপনি ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক একদম চকচকে হয়ে যাবে।

৫.আপনি চাইলে ময়দা এবং লেবুর রস দিয়ে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে পারেন । সব থেকে বেশি ভালো হয় যদি আপনারা চালের গুড়া নেন, অর্থাৎ চালের আটা নেন। যদি আপনারা লেবু দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে একটি বাটিতে চলার আটা নিতে হবে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে লেবুর রস নিতে হবে। সেগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। এবং 10 থেকে 12 মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে কিছুদিনের মধ্যে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৬.আপনারা চাইলে ডাব শ্যাম্পু এবং লেবু দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। যদি লেবু দিয়ে আপনারা ত্বকের উজ্জলতা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি লেবু নিতে হবে। এবং তার সাথে ডাব শ্যাম্পু নিতে হবে। এগুলো নেওয়ার পর আপনাকে একটি বাটিতে ধাপ শ্যাম্পু এবং লেবু একসাথে ভালোভাবে মিক্স করতে হবে। মিক্স করা হয়ে গেলে এটা আপনাদের স্কিনের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। 10 থেকে 12 মিনিট লাগানোর পর ধুয়ে ফেললে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৭.লেবু দিয়ে যদি আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান? তাহলে আপনাকে একটি লেবু নিতে হবে। এবং তার সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি নিতে হবে। চিনি এবং লেবু একসঙ্গে ভালোভাবে মিক্সড করে আপনাদের ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। লাগানো হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।  তাড়াতাড়ি ত্বক ফর্সা করবে প্রাকৃতিক উপায়ে।

৮.আপনারা একটি পাত্রে চা পাতি নিবেন। এবং তার সাথে লেবুর রস নিবেন। নেওয়া হয়ে গেলে এগুলো একসাথে ভালোভাবে মিক্সড করবেন । মিক্সড করার পর আপনাদের স্কিনের উপর লাগিয়ে দিবেন। যদি আপনারা 10 থেকে 12 মিনিট স্কিনের পর লাগিয়ে রাখেন, তাহলে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এমন কি কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের ত্বক ফর্সা হয়ে যাবে।

৯.ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনারা একটি লেবু নিবেন। এবং তার সাথে এলোভেরা নিবেন। অ্যালোভেরা এবং লেবু একসাথে ভালোভাবে মিক্সড করে আপনাদের ত্বকের উপর লাগিয়ে দিবে।ন যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখেন এবং দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করেন তাহলে 10 থেকে 12 দিনের মধ্যে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

১০.একটি পাত্রে আপনারা গোলাপ জল নিবেন। এবং তার সাথে কিছু লেবু মিশিয়ে নেবেন। যদি লেবু মেশানো হয়ে যায় তাহলে সেগুলো আপনাদের হাত অথবা পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনারা 10 থেকে 15 দিন মতো ব্যবহার করেন তাহলে হাত পায়ের যে কোন ধরনের কালো দাগ দূরে চলে যাবে।

লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।

লেবু হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন তাহলে কিভাবে লেবু হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় জেনে নি। লেবু হলুদ দিয়ে যদি ফর্সা হতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি লেবু নিতে হবে। এবং তার সঙ্গে কিছু হলুদ নিতে হবে। সে হলটি কাঁচা হতে হবে। সেই হলুদ আপনি ভালোভাবে বেটে নিবেন। এবং চাইলে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে পারেন। তার সাথে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিবেন। লেবুর রস দেওয়া হয়ে গেলে কিছুক্ষন নরবেন। যদি ২-৩ মিনিট ধরে নারেন এবং সেগুলো আপনারা স্কিনে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনারা এই নিয়মে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করেন তাহলে এর উপকারিতা জানতে পারবেন। এবং বুঝতে পারবেন।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আপনারা যারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চান তাদের জন্য সুখবর। কারণ আজ আমরা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় বলব, সেটি আবার  ঘরোয়া উপায়ে। সুনতে অবাক লাগলে কথাটি একেবারেই সত্য। যদি আপনি ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। 

যদি আপনি শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খান তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে। এবং তার সাথে আমরা উপরের দিকে কিছু টিপস বলেছি। যেগুলো মানলে আপনারা তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে পারবেন, এবং স্থায়ীভাবে। চােইলে আপনি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে পারেন। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। তাহলে আপনারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারবেন।

রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে। যারা রাতারাতি ফর্সা হতে চায়। কিন্তু তারা জানে না যে রাতারাতি ফর্সা হতে গেলে সেটি মৃত্যুর দিকে চলে যেতে পারে। যেমন যদি আপনারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন, যেগুলো এক রাতের মধ্যে ফর্সা করে দেয়। তাহলে সেটি ব্যবহারের ফলে আপনাদের স্কিন ক্যান্সার হতে পারে। 

এবং সেই স্কিন ক্যান্সার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই যদি আপনারা রাতারাতি ফর্সা হতে চান তাহলে এসব সমস্যার মুখে পড়বেন। তাই রাতারাতি না ফর্সা হয়ে ন্যাচারাল উপায়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হন। প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হবেন তা আমরা উপরের দিকে বলে দিয়েছি। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে আবার পড়ুন। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন রাতারাতি ফর্সা হতে যাবেন না। এটি আপনার জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

উপসংহার

আজ আমরা এ আর্টিকেলের  মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করেছি। তার মধ্যে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায় এবং লেবু হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং আরো বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি। যদি আপনারা এ আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে আরেকটি কথা বলতে চাই সেটি হলো যে বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। 

এগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের স্কিন ক্যান্সার হতে পারে। তাই যদি আপনারা এগুলো ব্যবহার করেন তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকবেন। তাই আপনারা এগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।এবং প্রাকৃতিক উপায় ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url