মাথা ভারী লাগার কারণ - মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা
মাথা ভারী লাগার কারণ
মাথা ভারী লাগার কারণ সম্পর্কে চলুন জেনে আসি আমাদের অতিরিক্ত মাথা ব্যথা দুইটা কারণ হলো মাইগ্রেন, আর টেনশন । ১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন।আর ৭৭ শতাংশ জন্য দায়ী টেনশন ।অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক ,পরিশ্রম ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত রোধ, ধূমপান ,মধ্যপান ,মাদকাসক্তি অনিয়মিত ,অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়া ,ইত্যাদি মাথা ব্যাথার কারণ। মাথা ভারী লাগতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন ঠান্ডা থেকে অথবা বেশি কথা বললে এবং দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ল্যাপটপ বা মোবাইলের সামনে বসে থাকলে এমনকি অতিরিক্ত শব্দ দূষণের আশপাশে থাকলে মাথা ভারী লাগার কারণ হতে পারে আশা করি আপনি উত্তরটা পেয়েছেন আরো বিস্তারিত জানতে নিচের দিকে পড়ুন
চোখ ভারি লাগার কারণ
১.চোখ ব্যথার অনেক রকম কারণ আছে ।যা আপনাদের বলে বোঝানো যাবে না ।তাই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কারণ বলবো।প্রথম কারণঃচোখের পাওয়ার জনিত সমস্যা অনেকে আছে ।যারা চোখে কম দেখে এবং চোখে ঝাপসা দেখে। কিন্তু এইটা অনেক সময় ধরতে পারে না ।খুব অল্প পাওয়ারের সমস্যা থাকলে রোগীরা বুঝতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে পড়ালেখা করছে, কম্পিউটারে কাজ করছে, অথবা মোবাইল টিপছে ,সেই কারণে দেখা যাচ্ছে যে সন্ধ্যার সময় অথবা রাতের বেলায় অথবা দিনের বেলায় চোখ মাঝে মাঝে ব্যথা করছে ।সে ব্যথাটি পিছনের দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
২.এর সমাধানঃ নিকটবর্তী একটি চোখের ডাক্তারের কাছে যেয়ে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করে যদি চশমা লাগে তাহলে চশমা ব্যবহার করতে হবে ।অনেক সময় রোগীরা চশমা ব্যবহার করতে চাই না ।কিন্তু চশমা ব্যবহার না করলে এই চোখের ব্যাথা কোনদিন যাবে না ।ওষুধ খেলে কিছু সময়ের জন্য ভালো থাকবে ।ওষুধ খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে আবার সমস্যাটা বাড়বে।
৩.চশমা দেওয়ার পরও যদি চোখ ব্যথা করে তাহলে ডাক্তারের কাছে যেয়ে আবার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করে চশমা নিতে হবে। ছয় মাস পরপর চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করতে হবে ।এবং চশমা ব্যবহার করতেই হবে।
আরো পড়ুন = মামলা থাকলে করনী কি জেনে নিণ।
৪.দুই নাম্বার কারণঃহলো মাইগ্রেন ।অনেক সময় আমাদের মাথা ব্যথা করে ।সেই মাথাব্যথা আবার চোখের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে ।অনেকেই দেখা যায় তারা রাতের বেলা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে যায় ,অথবা ল্যাপটপ ইউজ করতে করতে ঘুমাতে যায়। যার ফলে ঘুমটা কখনোই ভালো হয় না্ দেখা যাচ্ছে যে ভোরে ওঠার পর ঘাড় ব্যথা করে., অথবা মাথা ব্যথা করে।
৫.দ্বিতীয়ত হচ্ছেঃসময়মতো খাবার খায় না ।যেমন সকালের খাবার দুপুরের দিকে ।দুপুরের খাওয়া বিকেলে খাওয়া। ক্ষুধা লাগলে মাথা ব্যথা করতে পারে ।অনেক সময় দেখা যাচ্ছে দিনে আমরা পানির পরিমাণ কম খাই ।এজন্য মাথা ব্যথা করতে পারে।
৬.তৃতীয় কারণঃ হলো চোখের গ্লুকোমার এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে চোখের তীব্র ব্যথা হয় ।এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাংলাদেশে অনেক গ্লুকোমা স্পেশারিস আছে যাদের কাছে দ্রুত গতিতে সারণাপন্ন হবেন ।এইটা যদি আপনি দেরিতে চিকিৎসা করেন তাহলে চোখের দৃষ্টি সারা জীবনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।এ ব্যথার সময় দেখা যায় চোখটা খুব লাল হয়ে যায় ।ব্যথায় বমি পর্যন্ত হয়্। এবং মাথা ব্যথা করতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে আপনারা দ্রুত গতিতে একজন গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞের কাছে যে পরীক্ষাটা করেতে পারলে দ্রুত ওষুধ নিতে পারলে এই সমস্যাটা সমাধান হবে।
মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা
মাথায় চাপ ধরে থাকে কি কারনে চলুন জেনে আসি, বিভিন্ন কারণে যেমন যদি আপনার অতিরিক্ত সর্দি লাগে এবং যদি আপনি সর্দির ওষুধ খান তাহলে সেই সর্দি যদি মাথায় বসে যায় তাহলে মাথা চাপ ধরে থাকবে। এবং যদি আপনার প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা, জ্বর এসব লাগে তাহলে আপনার মাথা চাপ ধরে থাকবে। এবং যদি আপনার প্রচুর পরিমাণে টেনশন থাকে তাহলে আপনার মাথায় চাপ ধরে থাকতে পারে। এমনকি যদি আপনি দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন অথবা কোন শব্দ দূষণের আশপাশে থাকেন তাহলে আপনার মাথায় চাপ ধরে থাকতে পারে। চলুন তাহলে মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে আসি।
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ
আমাদের কম বেশি সবারই মাথা ব্যাথা হয় ।নানা কারণে মাথাব্যথা হতে পারে ।একটু পানি কম খেলে মাথা ব্যথা করে। এক বেলা খাবার না খেলে অনেক ক্লান্ত থাকলে ঘুম কম হলে মাথা ব্যথা করতে পারে। প্রায় দেড়শ মত মাথাব্যথা ধারণা আছে ।এগুলোর বেশিরভাগ মাথা ব্যথার দুশ্চিন্তার কারণ না। এমনিতেই চলে যায় ।কিন্তু এক ধরনের মাথা ব্যাথা হলে এটি দ্রুত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে ।এই ধরনের মাথা ব্যথা দেখা দিলে কোন মতে এড়িয়ে চলা যাবে না ।
একটি মানুষের কথা বলি? একটি রোগী বসে থেকে থেকে বই পড়ছিলেন। সেই বসে থাকার সময় তার মাথার পিছন সাইডে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয় ।মনে হয় কেউ হঠাৎ করে মাথা একটা ইট অথবা অন্য কিছু দিয়ে আঘাত করল ।এমন তীব্র ব্যথা জীবনে কোনদিন হয়নি ।এবং তার একটু বমি বমি লাগে ।তিনি কয়েকবার বমিও করেন। কয়েক ঘন্টা পর আস্তে আস্তে ব্যাথাটা কমতে থাকে ্মাথাব্যথা থাকে কিন্তু আগের মত না ।বমি ভাবটাও চলে যায়। সে একটু ভালো বোধ করতে থাকে ।তাই হাসপাতালে আসেনি সে। তার বাসায় মানুষকে এই অদ্ভুত মাথা ব্যথার কথা বলেছিল। কয়দিন পর তার খিচুনি শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ।তখন ডাক্তার চিকিৎসা করে দেখে তার মস্তিষ্কে রক্ত খনন হয়েছিল। পরে জানা যায় তার স্ট্রোক হয়েছে ।এই ধরনের মাথাব্যথা হলে আপনার তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
মাথা ভারী এবং মাথা চাপ ধরে থাকার চিকিৎসা
আপনারা যারা জানতে চান যে মাথা ভারী এবং মাথায় চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে যদি আপনার পচন্ড পরিমাণে মাথা ভারী লাগে, তাহলে আপনি সিপ্রোসিন খেতে পারেন। এবং আপনি আরেকটি ওষুধ খেতে পারেন। সেটি হচ্ছে যে নাপা। এই নাপা শরীরের ক্ষতি কম করে। তাই যদি আপনার হালকা পরিমাণে মাথা ব্যাথা করে তাহলে নাপা খেতে পারেন। এবং যদি আপনার প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ভারী লাগে তখন আপনি অ্যামলি ১০ এই ওষুধটি খেতে পারেন। এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে আপনার মাথায় বিভিন্ন ধরনের টেনশন চলে যাবে। এবং মাথা হালকা হয়ে যাবে। এবং যেকোনো ওষুধ খাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
লেখক এর বক্তব্য
আজ আমরা এ আর্টিকেলে জানতে পারলাম যে মাথা ভারী লাগার কারণ। মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। এবং তার সাথে আরো জানতে পারলাম যে চোখ ভারি লাগার কারণ এবং মাথায় চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা। মাথাব্যথা কোন রোগের লক্ষণ এসব সম্পর্কে আমরা অপরের দিকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে মাথা ভারি লাগার কারণ মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। এবং এ আর্টিকেলটি শেয়ারও করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।