ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা
ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। কারণ ফেমিকন প্রত্যেকটি বিবাহিত মেয়েদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে। তাই যদি ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ফেমিকন এমন একটি ওষুধ যা এটি প্রত্যেকটি বিবাহিত নারী একবার না, একবার গ্রহণ করেছে। কারণ এটি বিশেষ করে বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ এই ফেমিকন পিলের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু এর কয়েকটি ক্ষতিকর দিক রয়েছে, এবং কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি এটি সঠিকভাবে না খেতে পারেন তাহলে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির মত সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই আজ আমরা এই আর্টিকেলে বলবো ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে, চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
আরো পড়ুন = বাচ্চার অঅমশার সিরাপের নাম জেনে নিন।
ফেমিকন কি?
ফেমিকন হলো যে স্বল্পমাত্রায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে এটি বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিবাহিত যেকোনো নারী একবার না একবার এই পিলটি খেয়েছে। এই ফেমিকন পিল যদি কোন নারী খায় তাহলে তাদের জন্ম হার একেবারে কমে আসবে, অর্থাৎ তাদের গর্ভে কোন সন্তান আসবে না, যতদিন এই পিল খাবে। এই ফেমিকনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ।ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম রয়েছে, এই নিয়ম মেনে ফেমিকন খেলে তেমন কোন ধরনের সমস্যা হবে না। এই ফেমিকন স্বল্পমাত্রায় জন্ম বিরতি কারণ করে থাকে।
![]() |
ফেমিকন |
ফেমিকন পিলের উপকারিতা
প্রেমিকার পিলের উপকারিতা অনেক রয়েছে। তার সঙ্গে কিছু অপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। ফেমিকন পিলের উপকারিতা কয়েকভাবে হতে পারে। যেমন, এটি বিবাহিতদের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কারণ ফেমিকন পিলের মাধ্যমে আপনি স্বল্প মাত্রায় জন্ম বিরতিকরণ করতে পারবেন, অর্থাৎ যদি আপনারা এই ফেমিকন পিল টি নিয়ম অনুযায়ী খান তাহলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাচ্চা আসবে না। এই পিল খাওয়ার ফলে মানুষের তেমন কোন ধরনের ক্ষতি হয় না। কিন্তু কয়েকটি ক্ষতি হতে পারে তা আমরা নিচে উল্লেখ করব।
ফেমিকন পিল কেন খায়?
আপনারা অনেকেই জানেন যে ফেমিকন পিল মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়। যারা বিবাহিত রয়েছেন তারা এ পিল টি ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এপিলের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোন বাচ্চা আসতে পারে না ।এমনকি এই ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে মাসিকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। যেমন, মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা এবং প্রচন্ড পরিমাণে সাদা স্রাব হয়, এসব সমস্যা দূর হয়ে যায়। এই ফেমিকন পিলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জায়গার উপকার করে থাকে। বিশেষ করে শরীরের জন্য বেশ উপকারী এই ফেমিকন পিল। ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ও দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছি। জানতে চাইলে পড়তে থাকুন।
আরো পড়ুন = ফেমিকেন এর কাজ কি জেনে নিন।
ফেমিকন পিলের অপকারিতা
এখন আমরা জানবো যে ফেমিকন পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। কারণ কোন জিনিসের যদি একটি ভালো দিক থাকে, তাহলে সেই জিনিসটির একটি খারাপ দিক রয়েছে। সেই খারাপ দিকটা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এই ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে কোন কোন মানুষের ক্ষেত্রে অর্থাৎ মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না,আবার কোন কোন মেয়ে আছে যাদের শরীরের সঙ্গে ফেমিকন পিল মানিয়ে নিতে পারে। এই ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিল খাওয়া চলাকালীন আপনার আরেকটি বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটি হল যে মাসিকের মত করে ফটায় ফটায় রক্ত বের হতে পারে। কিন্তু একটি কথা হল যে এটি প্রথম প্রথমে দেখা দেয়, এটি পরবর্তীতে ভালো হয়ে যায়। যদি না ভালো হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফেমিকোন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আরো পড়তে থাকুন।
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
আমরা যেসব খাবার গ্রহণ করে থাকি সেসব খাবারের কিন্তু একটি নিয়ম থাকে। যদি আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী খাই তাহলে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি আমরা নিয়ম না মেনে খায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে বিশেষ করে ওষুধ, যদি ওষুধটা নিয়ম অনুযায়ী না খায় তাহলে উপকারে থেকে অপকারিতায় বেশি দেখা দিবে ।তাই আমরা এখন ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানব।
১।ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম হলো যে মাসিক শেষ হওয়ার পর থেকে আপনাকে পিল খাওয়া শুরু করতে হবে।
২।ফেমিকন প্রতিদিন আপনাকে একই সময় খেতে হবে, অর্থাৎ যদি আপনি দুপুরে খান তাহলে প্রতিদিন দুপুরে খেতে হবে, এবং যদি আপনি সকালে খান তাহলে প্রতিদিন সকালেই পিল খেতে হবে।
৩।একটি পাতায় ২৮ টি ফেমিকন পিল থাকে। তার তার মতো সাতটি থাকে লাল পিল, এবং ২১ টি থাকে সাদা পিল। এই সাদা পিলটি আপনাকে খাওয়া শুরু করতে হবে, এবং ২১ দিনের মাথায় আপনার মাসিক শুরু হয়ে যাবে।
৪।এরপর যদি আপনার মাসিক শুরু হয়ে যায় তাহলে লাল পিলটি খাওয়া শুরু করবেন, এবং মাসিক চলা পর্যন্ত এই লাল পিলটি খেতে হবে।
৫।ফেমিকন পিল যদি লালটি শেষ হয়ে যায় তাহলে মাসিকের পর থেকে আবার আপনাকে সেই সাদা পিলটি খাওয়া শুরু করতে হবে।
৬।ফেমিকন পিল খাওয়া কোনভাবে বাদ দেওয়া যাবে না।
ফেমিকন পিল কাদের খাওয়া উচিত নয়
- যাদের বয়স ৪২ বছরের বেশি হয়ে গেছে তাদের ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত নয়।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদেরকে ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত নয়।
- যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে পিল খাওয়া উচিত নয়।
- গর্ভবতী মহিলার পিল খাওয়া উচিত নয়।
- স্তনের কোন ধরনের সমস্যা থাকলে ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত নয়।
- জন্ডিস জনিত সমস্যা থাকলে পিল খাওয়া উচিত নয়।
- নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা ব্যক্তির জন্য পিল খাওয়া উচিত নয়।
- যাদের প্রচন্ড মাথা ব্যথা তাদেরকে ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত নয়।
ফেমিকন পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি?
যদি আপনি পিল খেতে ভুলে যান তাহলে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে, সেটি হল যদি আপনি একদিন একটি পিল খেতে ভুলে যান তাহলে পরের দিন একসঙ্গে দুই টিপিল খেয়ে নেবেন। এবং যদি কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেই ফেমিকন পিলে কার্যকারিতা একেবারে কমিয়ে আনে, তাই এ সময় আপনারা বিভিন্ন ধরনের উপায় ব্যবহার করতে পারেন, অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু একটি কথা হলো যে পিল যদি একটি মিস হয়ে যায় তাহলে সেই পিলটি পরের দিন খেয়ে নিবেন। আর আজকের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল যে ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা।
ফেমিকনের দাম কত?
এখন আমরা জানবো ফেমিকন এর দাম কত? বর্তমানে আমরা বিভিন্ন সময় ফেমিকন কিনতে যে সমস্যায় পড়ি এবং কোন কোন অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ঠকাতে থাকে। তাই আজ আমরা বলব ফেমিকন এর দাম কত ? মূলত একটি ফেমিকন পাতায় ২৮ টি বড়ি থাকে। তার মধ্যে একুষ্টি টি সাদা বড়ি এবং ৭টি লাল বড়ী থাকে। সেই ফেমিকন পাতার মূল্য ধরা হয় ৩০ টাকা ।
ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
ফেমিকন পিল খাওয়ার ২১ দিন পর মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু কোন কোন মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি হয় না। সে ক্ষেত্রে দুই এক দিন দেরি হতে পারে। কিন্তু এটি সঠিক সময় সেটি হল ফেমিকন পিল ২১ টি খাওয়ার পরে আপনার মাসিক শুরু হয়ে যাবে। আজকের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো ফেমিকন খাবার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যায়?
ফেমিকন খাবার পর আপনারা প্রতিদিন সহবাস করতে পারেন। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ফেমিকন পিল কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ যদি আপনারা একদিন বাদ দেন এবং সে একদিনে পিল যদি না খান তাহলে অনিয়ন্ত্রিত বাচ্চা চলে আসতে পারে। ফেমিকন খাওয়ার পরই আপনারা সহবাস করতে পারেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে মাসিকের সময় কোনভাবে সহবাস করা যাবে না। এটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম বলে গণ্য করা হয়েছে। এবং মেডিকেল সাইন্স থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফেমিকন লাল পিল খেলে কি হয়?
ফেমিকন লাল পিল খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন মাসিকের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, সেই সমস্যাগুলো দূর করতে পারে এই লাল পিল। তাই যখন মাসিক চলবে তখন এই ফেমিকন লাল পিল খাওয়া উচিত। এতে মাসিকে যেকোনো ধরনের সমস্যা কেটে যাবে এবং সাদাস্রাব রক্ত পড়া এসব ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করলাম যে ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে। যদি আপনারা এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দাম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে দিতে পারেন, এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।