প্রসাব আটকায় রাখলে কি হয়, কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক
এখন আমরা আলোচনা করব প্রসাব আটকাই রাখলে কি হয়? এবং কত ঘন্টা পড়বে প্রসাব হওয়ার স্বাভাবিক। যদি আপনারা এসব সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রসাব এটি মানব দেহের জন্য একটি প্রাকৃতিক সিস্টেম। এ প্রসাব যদি আমরা আটকে রাখি তাহলে আমাদের শরীরের মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি যদি এ প্রসাব টা অনেক দেরিতে হয় অর্থাৎ স্বাভাবিক মাত্রায় না হয়, তাহলে এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বলে ধরা হয়। তাই আজ আমরা বলবো প্রসাব আটকায় রাখলে কি কি সমস্যা দেখা দিবে? এবং কত ঘন্টা পর পর প্রসাব হলে স্বাভাবিক ধরা হবে? চলুন তাহলে জেনে নি।
প্রসব কেন হয়?
প্রসব এটি মানব দেহের জন্য একটি প্রাকৃতিক চক্র। আমরা যেসব পানি খায় এটি মানুষদের শোষণ করে এবং শোষণ করার পর অতিরিক্ত পানিটি শরীর থেকে বের করে দেয়। এবং তার সঙ্গে অনেক জীবাণু বের করে দেয় । এবং যদি এ প্রসাব গুলো না বের করে তাহলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রসাব স্বাভাবিক মাত্রায় হতে থাকে।
প্রসাব আটকে রাখলে কি হয়?
১।মুত্রনালীর সমস্যাঃ
যদি কোন ব্যক্তি প্রসব আটকে রাখে তাহলে তার মুত্রনালীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে । যেমন পরবর্তীতে সেই মুত্রনালীর থেকে ফোটা ফোটা হয় প্রসাব পারতে থাকবে।
২।ইনফেকশন ঃ
যদি আপনার প্রচন্ড পরিমাণে প্রসাবের বেগ আসে, আর যদি আপনি সেটিকে চেপে রাখেন তাহলে আপনার মূত্র নারীর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।
৩।ব্যাকটেরিয়াঃ
অতিরিক্ত প্রসাব আটকে রাখার ফলে মূত্রনালীর ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। যাদের বংশবিস্তার ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে ।এবং যদি সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো বংশবিস্তারে ছড়ায় তাহলে মন্ত্রণালী দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪।কিডনঃ
প্রসাব আটকে রাখার ফলে তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। যা কিডনির মতো অঙ্গকে নষ্ট করে দিতে পারে।
৫।প্রসাবের রং পরিবর্তনঃ
যদি আপনি দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখেন তাহলে প্রসাবের রং পরিবর্তন হতে পারে, যেমন হলুদ হতে পারে। এমনকি প্রসাবের সঙ্গে রক্ত দেখা দিতে পারে।
৬। দ্রুত বীর্যপাতঃ
প্রসাব আটকিয়ে রাখলে প্রসাবের রাস্তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যেমন স্ত্রী সহবাসের সঙ্গে মিলনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যেমন দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যেতে পারে, এবং ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
৭।কিডনি অস্ত্র পাচারঃ
প্রসাব আটকে রাখলে কিডনির মত অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । এবং যদি একবারে কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আবার সেই কিডনি অস্ত্র পাচার করতে হবে।
কত ঘন্টা পর পর প্রসব হওয়া স্বাভাবিক
এটি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যারা রদ্রে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে একটু কম প্রসব হয়, এবং যারা ঠান্ডা স্থানে বসে থাকে এবং পানি বেশি খায় তাদের ক্ষেত্রে প্রসবের মাত্রা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এটি স্বাভাবিক মাত্রায় ধরা হয় ৭ থেকে ৮ বার, অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় আপনি ৭ থেকে ৮ বার প্রসব করলে এটি স্বাভাবিক মাত্রায় ধরা হবে। এবং যদি এর থেকে বেশি অর্থাৎ ১০ বারের বেশি করেন তাহলে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় ধরা হয়। তাই যদি আপনার দশ বারের বেশি প্রসাব দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় প্রসাব আটকে রাখলে কি হয়?
অনেক মহিলা আছে যারা গর্ভাবস্থায় প্রসাব আটকে রাখে। এটিই সে জানে না যে তার শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। যদি কোন ব্যক্তি গর্ভাবস্থায় প্রসাব আটকিয়ে রাখে তাহলে তার প্রসবের রাস্তায় ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়, অর্থাৎ যদি সেই ভাবে নিয়মিত প্রসাব আটকে রাখে তাহলে তার 70% ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ
বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। কোন মানুষ যদি ঘন ঘন পানি খায়। আর তার দিনে প্রচুর পরিমাণে বেশি পানি পান করে তাহলে তার ঘন ঘন প্রসাব হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি পানি কম খায় এবং তারপরও ঘন ঘন প্রসব হয় তাহলে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ। যাদের ডায়াবেটিস হয়ে যাবে তাদের ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা দেখা দিবে, এটি সবথেকে বড় লক্ষণ।
প্রসাব আটকে রাখা যায় না কেন?
প্রসাব আটকে রাখা না যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেমন যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে প্রসাব আটকে রাখেন এবং প্রসাবের যে মূত্রনালী রয়েছে সেটি যদি প্রসারিত হয়ে যায় অর্থাৎ বড় হয়ে যায়, তাহলে তাদের প্রচন্ড পরিমাণে প্রসাব থাকে, এবং সেই প্রসাবের যদি বেগ হয় এর ফলে সেই প্রসাবের থলি টি ফুলতে পারে না। এর ফলে প্রসাব আটকিয়ে রাখা যায় না। তাই অবশ্যই কোন সময়ের জন্য নিয়মিত প্রসাব আটকে রাখবেন না।
প্রসাব ক্লিয়ার করার উপায়?
অনেক মানুষই রয়েছে তাদের প্রসাব এখনো ক্লিয়ার হয় না! অথবা বিভিন্ন সময় রং বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে, এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে এই প্রসবের রং পাল্টাতে পারে। এমনকি যদি কেউ পানি কম পরিমাণে খায় তাহলে তারপর প্রসাবের রং পাল্টে যেতে পারে। এবং যদি রোদে বেশিক্ষণ থাকে তাহলে তার প্রসবের রং পাল্টাতে পারে। কিন্তু প্রসবের রং যদি আপনারা ক্লিয়ার করতে চান অর্থাৎ প্রসাব ক্লিয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পানি বেশি পরিমাণে খাওয়া লাগবে, এবং তার সঙ্গে লেবুর মিশিয়ে। তাহলে প্রসব ক্লিয়ার হবে।
ঘনঘন প্রসাব হলে কি খাওয়া উচিত?
উপসংহার
আজ আমরা এ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করলাম যে প্রসাব আটকায় রাখলে কি হয়? এবং কত ঘন্টা পর পর প্রসাব হওয়ার স্বাভাবিক? যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে প্রসাদ আটকে রাখলে কি হয়? এবং কত ঘন্টা পর পর প্রসাব হওয়ার স্বাভাবিক? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনারা এই সমস্যায় পড়েন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এবং আর্টিকেল টি শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। আর এখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।