ঔষধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। আমরা অনেকেই জানিনা যে ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করা যায়। তাই আজ আমরা ওষুধ ছাড়া যারে চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিব। যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ এ আর্টিকেলের মধ্যে ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচনায় মূল উদ্দেশ্য হল ওষুধ ছাড়া যারে চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম। জ্বর হলে আমরা অনেকেই অনেক রকম ওষুধ খেয়ে থাকি। এমন কি এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকি। যার ফলে আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আমরা তা বুঝতে পারি না। তাই আজ আমরা আপনাদের জানাবো ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে। যদি আপনারা এ আর্টিকেল টি পড়েন তাহলে খুব উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায়
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় রয়েছে অনেকগুলো। তার মধ্যে আমরা কয়েকটি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার এক নম্বর উপায় হল যদি শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর চলে আসে তাহলে একটি ভেজা ট্রাভেল নিয়ে অথবা গামছা নিয়ে সেই গামছা ভিজিয়ে রোগীর পুরো শরীরকে মুছতে হবে।
আরো পড়ুন = মাথা ভারি লাগার কারন জেনে নিণ।
এবং যতক্ষণ পর্যন্ত শরীর না ঠান্ডা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রোগীর শরীর মুছতে হবে। এভাবে আপনারা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো রোগীর গা মুছবেন। তাহলে ওষুধ ছাড়া জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আশা করি ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় জানতে পেরেছেন। আরও জানতে নিচের দিকে পড়ুন।
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার দুই নাম্বার উপায় হল যদি রোগীর প্রচন্ড পরিমাণে শরীরে জ্বর দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রোগীর মাথায় পানি ঢালতে হবে। এবং তার সাথে সাথে গা মোচ করতে হবে। রোগীর মাথায় কমপক্ষে 10 থেকে 12 মিনিট মতো পানি ঢালতে হবে। একটি কথা মনে রাখবেন অতিরিক্ত মাথায় পানি ঢালবেন না। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাথায় পানি ঢালেন তাহলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই যখন রোগীর প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসবে তখন মাথায় পানি ঢালবেন। আরো বিস্তারিত জানতে নিচের দিকে পড়ুন।
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার তিন নাম্বার উপায় হলো যদি প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসে তাহলে ফ্যানের বাতাস দিবেন। অথবা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করবেন। তাহলে দ্রুত জ্বর কমে যেতে লাগবে। এবং আরেকটি কথা হল তার সাথে সাথে গা মোচ করবেন। যদি তার সাথে সাথে গা মোছ করেন তাহলে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই আপনার জ্বর চলে যাবে। আশা করি ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায় জানতে পেরেছেন।
ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার নিয়ম
আমরা ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার নিয়ম সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি জ্বরের ওষুধ ভালো না। জ্বরের সেই ওষুধগুলো প্রচুর শক্তিশালী ওষুধ দিয়ে দেয়। এর ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই যদি আপনারা আমাদের এই টিপসগুলো ব্যবহার করেন তাহলে উপকৃত হবেন। যদি আপনার জ্বর ১০১ অথবা ১০২ এসবের মধ্যে থাকে তাহলে আপনি একটি করে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
এবং যদি প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর চলে আসে অর্থাৎ ১০৪ অথবা ১০৫ তাহলে আপনি দুইটি করে প্যারাসিটামল খেতে পারেন । জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন শরীরে যখন ভাইরাস প্রবেশ করে তখন এই জ্বর আসে। জ্বরটি কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয় না। ৬ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই জ্বর চলে যায়। তাই যদি জ্বর আসে তাহলে আপনি কোনভাবেই ঘাবড়াবেন না। এটি একটি কমন ব্যাপার। আর যদি দুইটি প্যারাসিটামলে কোন কাজ না হয় তাহলে একটি নাপা খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
জ্বর কেন হয়?
জ্বর কেন হয়? আমরা অনেকেই জানিনা যে জ্বর কেন হয়? জ্বর হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি কারণ নিয়ে এখন আলোচনা করব। প্রথমে যে কারণে জ্বর আসে সেটি হল যে যদি আপনার শরীরে কোন ভাবে ইনফেকশন চলে যায় এর ফলে আপনার প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসতে পারে। এবং আরো বিভিন্ন কারণে আসতে পারে। তার মধ্যে আরেকটি কারণ হলো যদি আপনার সর্দি কাশি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে জ্বর আসতে পারে। জ্বর আসার আরেকটি কারণ হলো যদি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যায় এবং যদি আপনি পুষ্টিহীনতায় ভুগেন তাহলে আপনার শরীরে জ্বরের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি অলসতা থেকে শুরু করে আলসেমি মতো সমস্যা দেখা দিবে। তাই যদি শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যুক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করেন।
জ্বর হলে কোন ওষুধ খাওয়া উচিত
জ্বর হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এবং সেই ওষুধগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে। তাই কোন সময়ের জন্য আপনারা শক্তিশালী ওষুধ খাবেন না। যদি হালকা জ্বর আসে তাহলে আপনি প্যারাসিটামল অথবা না বা খেতে পারেন। এবং যদি প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসে তাহলে আপনি একসাথে দুইটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন 6 ঘন্টা পর পর আপনি ওষুধ খেতে পারবেন। অর্থাৎ একটি প্যারাসিটামল যদি খান তাহলে ছয় ঘন্টা পর আবার খাবেন। এবং যদি একসাথে দুইটি প্যারাসিটামল খান তাহলে 12 ঘন্টা পর পর খাবেন। তাহলে আপনার জ্বর চলে যাবে। আশা করি ওষুধ ছাড়া জ্বরের চিকিৎসা করার উপায়ও নিয়ম জানতে পেরেছেন।
জ্বর হলে কি কি সমস্যা হয়
জ্বর হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে তা হল আপনার শরীর একদম অসুস্থ হয়ে যাবে। এবং পা হাতে শক্তি পাবেন না। এবং পা হাত অথবা পুরো শরীর ব্যথা করতে পারে। এবং মাথা ঘুরতে পারে। এসব সমস্যা বেশি দেখা যায় জ্বরের ক্ষেত্রে। যখন আপনার জ্বর আসবে তখন যদি আপনি স্যালাইন পানি অথবা লবণ পানি বেশি পরিমাণে পান করতে পারেন তাহলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন । আর একটি কথা হলো ডাব খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি কয়েকটি ডাব খান তাহলে শরীরের মাথা ঘোরা অথবা আলসেমি ভাব এসব দূরে চলে যাবে। আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জ্বর ভালো না হলে করণীয় কি
আমরা বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন রকম ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের জ্বর ভালো হয় না। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা আজ এই আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। যদি আপনার প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর থাকে এবং সেই জ্বর যদি না যায় তাহলে আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার জ্বর কম থাকে তাহলে কখনোই এন্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ এন্টিবায়োটিক শরীরের জন্য অনেক খারাপ। কারণ এন্টিবায়োটিক সকল জীবানুকে ধ্বংস করে ফেলে। শরীরের জন্য খারাপ জীবাণু রয়েছে এবং ভালো জীবাণু রয়েছে। যদি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া যায় তাহলে খারাপ জীবাণু কে মেরে ফেলে। এবং ভালো জীবাণু কে মেরে ফেলে। তাই যদি বেশি প্রয়োজন না হয় তাহলে অযথাই অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গ্রহণ না করা ভালো।
লেখক এর বক্তব্য
প্রিয় পাঠক আজ আমরা এ আর্টিকেলে আলোচনা করেছি ওষুধ ছাড়া চিকিৎসা করার উপায় ও নিয়ম। এবং তার সাথে আলোচনা করেছি জ্বর কেন হয়?এবং জ্বর হলে কোন ওষুধ খাওয়া উচিত? এসব সম্পর্কে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। জ্বর হলে কেউ ভয় পাবে না।কারণ জ্বর এটি কোন খারাপ অসুখ না। আমরা উপরে যেসব তথ্য দিয়েছি যদি আপনারা এসব তথ্য ঠিকভাবে মেনে চলে তাহলে দ্রুত জ্বর চলে যাবে। এবং শরীরে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে পারেন। এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।