৫ টি কারণ যার জন্য আপনার অমিডন খাওয়া উচিত

৫ টি কারণ যার জন্য আপনাকে খাওয়া উচিত এবং অমিডন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আপনার জেনে থাকা উচিত। চলুন তাহলে অমিডন কেন খায় জেনে নেওয়া যাক, এবং ৫ টি কারণ যার জন্য অমিডন খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ওমিডন মানুষের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে রোগ অথবা অসুখের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি প্রায় অনেক মানুষই ব্যবহার করে থাকে। এটি সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয় এবং এটি বাংলাদেশের বিশ্বের খ্যাতি রয়েছে। তাই যারা অমিডন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন‘ তাহলে জানতে পারবেন।

অমিডন কিভাবে কাজ করে

অমিডন হল একটি বমির ওষুধ। এই ওষুধটি খাবার ফলে ডোপামিন রেস্পেক্টর কে ব্লক করে। যা আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বমি বমি ভাবটিকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। এবং পেটকে খালি রাখতে বিশেষ বড় ভূমিকা পালন করে অমিডন। অমিডনের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। যেমন ইঞ্জেকশন রয়েছে সিরাপ রয়েছে এবং ট্যাবলেট রয়েছে। এটি বিভিন্ন বয়স অনুসারে দেওয়া হয়ে থাকে। যারা প্রাপ্তবয়স্ক না তাদের জন্য সিরাপ দেওয়া হয়।এবং যারা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। এবং ওষুধে যাদের কাজ না হয় তাদের ক্ষেত্রে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন = নাপা সিরাপের উপকারীতা জেনে নিণ।

অমিডন কেন খাওয়া উচিত?

আপনাদের জানার বিষয় হলো অমিডন কেন খাওয়া উচিত? এর উত্তর হল যদি আপনার মাথা ঘোরা মত সমস্যা দেখা দেয় অথবা বমি বমি ভাব বা বমি হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা এই অমিডন ওষুধটি খেতে পারেন । এই অমিডন ওষুধ খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা ভাব এবং জি ঘাটা সমস্যা দূর করে এবং যাদের পেট ফুলে থাকে অর্থাৎ পেট ভরে থাকে তাদের জন্য বেশ ভালো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে অমিডন। যদি অমিডন সে খায় তাহলে তার পেট দ্রুত খালি করে দেয়।

অমিডনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অমিডনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে প্রধানত হল ..

  • ঘুম ঘুম ভাব অর্থাৎ তন্দ্রা ভাব।
  • মাথাব্যথা মত সমস্যা।
  • ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য।

এসব ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অমিডন খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সর্বোত্তম।

অমিডন কি গর্ভবতী মায়ের জন্য নিরাপদ?

অমিডন বমি বমি ভাব এবং বিভিন্ন পেট ভরে থাকার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে পেসক্রিপশন এর মধ্যে এই ওষুধটি দেওয়া থাকে। কিন্তু এই ওষুধটি খাওয়ার সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই ওষুধটি খাবার ফলে গর্ভবতী মায়ের যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তার মধ্যে একটি হলো উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। অথবা হৃদপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি হতে পারে। আমাদের দের মধ্যে যেসব ভালো জীবাণু রয়েছে সেগুলো ধ্বংস করে। এবং হেপাটাইটিস এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অমিডন কি শিশুদের জন্য নিরাপদ?

অমিডন বমি বমি ভাব এবং বমির জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এটি শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকটি মানুষেরই জানা প্রয়োজন এটি কত বছর বয়সের শিশুদের জন্য প্রয়োজন। এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি? বিভিন্ন চিকিৎসকরা বলে থাকে অমিডন দুই বছরের নিচে বয়সী শিশুদের জন্য এটি নিরাপদ না। এবং এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে তার মধ্যে হল মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, এসব ধরনের সমস্যা হতে পারে। এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে একটি হল উচ্চ রক্তচাপ, হৃদপিণ্ডের গতিবিধি, এসব ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এবং হেপাটাইটিস এ সমস্যাটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই যদি আপনার শিশুর বয়স দুই বছরের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা এই ওষুধটি খাওয়াতে পারেন।

অমিডনের বিকল্প রয়েছে যা শিশুর জন্য ভালো হতে পারে যেমন

  • পুদিনা ফাইল
  •  ভিটামিন b6

অমিডন কি দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া যায়?

আপনাদের প্রশ্ন হল অমিডন কি দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া যায়? এর উত্তর হলো অমিডন কেবলমাত্র অল্প সময়ের জন্য। এই ওষুধটি মাত্র কিছু সময়ের জন্য খাওয়া যায়। বিশেষ করে যখন আপনার বমি বমি ভাব এবং বমি হবে তখন এই ওষুধটি আপনারা খেতে পারেন। এবং আপনারা সকলেই জানেন যে এ ওষুধে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন ঘুম ঘুম, মাথা ব্যাথা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদপিন্ডের গতি বৃদ্ধি, হেপাটাইটিস, এসব ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। যদি আপনি এই অমিডন দীর্ঘ সময় ধরে খান।

অমিডন এর কিছু বিকল্প রয়েছে যা আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে পারেন সেটি হল...

  • আচরণগত থেরাপি।
  • ছোট ছোট খাবার।
  • তরল খাবার।
  • বেশি পরিমাণে পানি পান করা।

যদি আপনার এসবে কোন কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অমিডন কি অন্যান্য ওষুধের সাথে খেলে সমস্যা হয়?

আপনার প্রশ্ন হল অমিডন অন্যান্য ওষুধের সাথে খেলে কোন সমস্যা হয়। এর উত্তর হল হ্যাঁ । কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো সঙ্গে যদি আপনি অমিডন খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন...

  • ঘুমের ওষুধের সাথে খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে।
  • ব্যথার নাশক ওষুধের সাথে খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে।
  • মাথা ব্যথা ওষুধের সঙ্গে খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে।
  • এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর সঙ্গে খেলা আপনার সমস্যা হতে পারে।
  •  এন্টিহিস্টমাইন এর সঙ্গে খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে।

তাই ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর আপনাকে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

অমিডন অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে কি হয়?

অমিডন অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে আপনার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার মধ্যে প্রধানত হলো..

  • অতিরিক্ত মাত্রায় অমিডন ব্যবহার করলে আরও গুরুতর ঝুঁকি দেখা দিতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, জ্ঞান হারানো, এবং এমনকি মৃ*ত্যুও।

এসব ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অমিডন অতিরিক্ত মাত্রায় প্রতিরোধ করার নিয়ম

অমিডন অতিরিক্ত মাত্রায় প্রতিরোধ করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যদি আপনারা এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন। চলুন তাহলে অতিরিক্ত মাত্রা প্রতিরোধ করার নিয়ম জেনে নি।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
  • যেই পরিমাণে খেতে বলেছে চিকিৎসক সেই পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
  • আপনার বাড়িতে কাউকে অমিডন খেতে দিবেন না।
  • শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
  • আপনার যদি অমিডন খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ননি
  • অযথাই যেখানে সেখানে অমিডন ওষুধ রাখবেন না।
  • এমন জায়গায় অমিডন ওষুধ রাখবেন না যেখানে সকলেরই চোখ যায়

যদি আপনারা এসব সমস্যা এড়াতে পারেন তাহলে অবশ্যই অতিরিক্ত মাত্রায় অমিডন প্রতিরোধ করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অমিডন সেবনের আগে কি করা উচিত?

অমিডন সেবনের আগে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে। তার মধ্যে প্রধানত হল..

  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • এবং অযথাই ওষুধ খাওয়া যাবে না ।
  • এবং আপনার চিকিৎসক যে হিসেবে আপনাকে খেতে বলবে সেই হিসেবে আপনাকেও নিয়মে খেতে হবে ।
  • অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।
  • এবং অমিডন ওষুধ খাওয়ার আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর উপকারিতা জানতে হবে ।
  • এরপর আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটি গ্রহণ করতে পারেন।

অমিডনের ট্যাবলেটের দাম কত?

এখন আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলব। অমিডন মূলত (ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড) কোম্পানির তৈরি। এটি মূলত তিন টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এবং যদি আপনারা একপাতা নিতে চান তাহলে ৩০ টাকা পড়বে। বর্তমানে বাজারে দুই ধরনের অমিডন পাওয়া যায়। একটি হলো অমিডন (১০ এমজি) এবং দ্বিতীয় হল (অমিডন ২০ এমজি) এর দুইটি মূলত বাজারে এখন রয়েছে। আপনারা এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ৫ টি কারণ যার জন্য আপনাকে অমিডন খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। এবং এর সঙ্গে আমরা অমিডন খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছি। এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে ৫ টি কারণ যার জন্য আপনার অমিডন খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরেকটি কথা মনে রাখবেন অমিডন খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটি প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জরুরী। যদি অমিডনের সুবিধা দিক থাকে তাহলে এর অসুবিধা দেখো রয়েছে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করবেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url