বায়োমিল ১ খাওয়ার উপকারিতা - বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম

বায়োমিল এক খাওয়ার উপকারিতা এবং বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। কারণ এগুলো আমাদের কমবেশি প্রায় সকল বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো হয়ে থাকে। এবং বায়োমিল কি? সেটিও বলবো চলুন তাহলে জেনে নি।

আমাদের বাচ্চার পুষ্টির জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। বিশেষ করে মায়ের দুধ খাবার সময় যদি বাঁচাতে মায়ের দুধ না পায় তাহলে সেই বাচ্চা বিভিন্ন পুষ্টি হীনতায় ভোগে এবং এই পুষ্টির অভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি সমস্যা তৈরি করে এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে আরও ইত্যাদি ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এসব ঘাটতি পূরণ করতে পারে বায়মিল। যদি বায়োমিল আপনারা একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ান তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। আজ আমরা বায়মিলের উপকারিতা এবং বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিব। চলুন তাহলে জেনে নি।

বায়োমিল ১ কি।

বায়োমিল ১ কি এটি আমাদের সকলেরই কমবেশি জেনে থাকা উচিত। বায়োমিল ১ হলো একটি শিশুর খাদ্য। যেটি ছোট শিশুরা খেয়ে থাকে যেমন এক থেকে চার বছরের মধ্যে শিশুদের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত গরুর দুধ ভিটামিন খনিজ চিনি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন = দুধের সরের উপকারীতা জেনে নিন।

এবং এ বায়োমিলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন কার্বন-ডাই-হাইড্রেট যা হজম করতে সাহায্য করে। এবং ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন ই ভিটামিন সি রয়েছে। এবং ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস জিংক ইত্যাদি শিশুর ব্রেন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এবং হাড়ের গঠন শক্ত হয় এবং দ্রুত শিশু বড় হয়।

বায়োমিল ১ এর উপকারিতা

বায়োমিল ১ এর কিছু গুনাগুন রয়েছে। আমরা তা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। কারণ বায়োমিল এক খাওয়ার আগে অবশ্যই এর উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক এবং কি কি কাজে ব্যবহৃত হয় সেটি আমাদের অবশ্যই জেনে থাকা উচিত। চলুন তাহলে বায়মিল ১ এর উপকারিতা জেনে নি।

  • পুষ্টির ঘাটতি: পূরণ করতে বায়োমিল 1 অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ বায়োমিল 1 এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ই- ডি আয়রন ইত্যাদি ধরনের উপাদান রয়েছে। যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড়ের গঠন ঠিক রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বৃদ্ধি করতে আপনার শিশুকে বায়োমিল এক খাওয়াতে পারেন। কারণ এই বায়োমিলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি- ডি যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: বায়মিলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং বায়মিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন রয়েছে এবং খনিজ রয়ে যা শিশুর মস্তিষ্ককে বৃদ্ধি করে।
  • শক্তি বৃদ্ধি: করতে বায়োমিল ১ খাওয়া প্রয়োজন। কারণ বায়মিলের মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট যা শিশুদের শক্তি ধরে রাখতে খুব বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • হাড়ের গঠন এবং দাঁতের গঠন: ঠিক রাখতে বায়োমিল ১ খাওয়াতে পারেন। কারণ এই বায়মিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড়ের গঠন ঠিক রাখে এবং দাঁতের গঠন ঠিক রাখেতে পারে।
  • যাদের শিশু রক্তস্বল্পতায়: ভুগছে তাদেরকে এ বায়োমিল ১ খাওয়াতে পারেন। কারণ এ বায়মিলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা রক্তস্বল্পতা কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • যাদের শিশুর ওজন : একেবারেই হালকা তাদেরকে এই বায়মিলের  খাওয়াতে পারেন। এই বায়োমিল ১ খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • চুলের জন্য :   এবং ত্বকের জন্য বায়োমিল ১ অত্যন্ত উপকারী। কারণ বায়মিলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যা ত্বককে সুন্দর রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • যাদের শিশু পুষ্টিহীনতায়: ভুগে এবং চোখে কম দেখে তাদেরকে বায়োমিল এক খাওয়াতে পারেন। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ বায়মিলের  ১ এ রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে।
  • বেড়ে উঠতে সহায়তা করে : যাদের শিশু মনে হচ্ছে কম বড় হচ্ছে তাদেরকে এই বায়োমিল খাওয়াতে পারেন। এর ফলে তাদের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম।

বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো আমাদের অবশ্যই মানা উচিত। যদি আমরা এই নিয়মে শিশুদেরকে বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ায় তাহলে তেমন কোন সমস্যা হবে না। চলুন তাহলে বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম জেনে নি।

                                                      বায়োমিল ১ ও ২ খাওয়ার নিয়ম

 বয়ষ

 বায়োমিল ১

 বায়োমিল ২ 

 দিনে

 ৬= ৮মাস

 ৬০-১২০mg

 .0

 ৩

 ৯=১১ মাস

 ১০- ১৮০mg

 .0

 ৩

 ১২-২৪ মাস

 ১৮০-২৪০mg

 120-180mg ১বার

 ৩

বায়ুমেন মূলত দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়াতে পারেন। এবং এটি শিশুর পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই বায়োমিল খাওয়ানো উচিত।

বায়োমিল তৈরি করার সময় করণীয়।

বায়োমিল তৈরি করার সময় কিছু নির্ধারিত করণীয় রয়েছে। যা আমরা অনেকেই মানি না। যদি আমরা এগুলো না মানি তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার শিশুর। তাই বায়োমিল তৈরির জন্য করণীয় এখন আমরা তুলে ধরব। যেমন..

  • বায়োমিল  তৈরীর সময় হাত পরিষ্কার রাখা উচিত।
  • বায়োমিল তৈরির জন্য একটি পরিষ্কার পাত্র দরকার।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে বায়োমিল তৈরি করতে হবে।
  • পানি জীবানো নাশক হতে হবে।
  • তৈরি করার সময় এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াতে হবে।
  • পানিতে সঠিক পরিমাণে বায়োমিল মিশাতে হবে।
  • বায়োমিল খাওয়ানো হয়ে গেলে পাএ টি ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন।
  • এবং চিকিৎসায়কের পরামর্শ অনুযায়ী বায়োমিল খাওয়ান।

বায়োমিল ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

বায়োমিল ১ এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যদি আমরা এই নিয়ম অনুসারে না খায় তাহলে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এসব সমস্যা তৈরি হতে পারে ।চলুন তাহলে বায়োমিল ১ এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনে নি।

  • এলার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে বায়োমিল।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • চুলকানি হতে পারে।
  • ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
  • পেট খারাপ হতে পারে।
  • পেট ফোলা হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • অধিক পরিমাণে খুদা লাগতে পারে।
  • জ্বর হতে পারে

আরো ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ।তাই অবশ্যই বায়োমিল এক খাওয়ানোর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। এতে করে শিশুর উন্নতি হবে।

বায়োমিলের দাম কত।

বায়োমিলের দাম কত এটি আমাদের সকলেরই জেনে থাকা উচিত। কারণ এখন বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা দাম আপনার কাছে বেশি রাখবে । তাই বায়োমিল কিনার আগে অবশ্যই বায়োমিলের দাম কত সেটি জেনে থাকা উচিত। বায়োমিক ১ এর দাম হলো

সর্তকতা।

  • খাওয়ানোর আগে অবশ্যই হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • এলার্জি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বায়োমিল বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
  • বায়োমিল সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
  • তৈরীর সময় বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।
  • বায়োমিল খাবার পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বায়োমিল খাওয়া উচিত নয়।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বায়োমিল ১ খাওয়ার উপকারিতা এবং বায়োমিল এক ও দুই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ১ ও ২ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আর এটি কি কাজে ব্যবহার করা হয় সেটি জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

মনে রাখবেন

  • বায়োমিল শিশুর জন্য একটি পুষ্টিকর খাবারঅ
  • এটি খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ভালোভাবে চেক করে খাওয়াবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url