বায়ু দূষণের ১০টি কারণ - বায়ু দূষণ রোধের ১০টি উপায়
বায়ু দূষণের দশটি কারণ এবং বায়ু দূষণ রোধে ১০টি উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। যেগুলো মধ্য দিয়ে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। চলুন জেনে নি।
বায়ু দূষণে এখন বর্তমানে প্রচুর হারে বেড়ে গেছে। কারণ বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে কলকারখানা বর্জ্য এবং গাড়ির ধোঁয়া ইত্যাদির কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে। এবং যেখানে সেখানে নোংরা জিনিস ফেলার জন্য বায়ু দূষণের মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই এখন আমরা বায়ু দূষনের দশটি কারণ এবং বায়ু দূষণ রোধে ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। যেগুলো জানলে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। চলুন জেনে নি।
বায়ু দূষণের ১০ টি কারণ
বায়ু দূষণের আমরা এখন দশটি কারণ নিয়ে আলোচনা করব। কারণ এগুলো আমাদের বিভিন্ন সময় জেনে থাকা উচিত। চলুন বায়ু দূষণের দশটি কারণ জেনে নেই।
- যানবাহনের ধোয়া বায়ু দূষণের প্রধান কারণ হলো যে যানবাহনের ধোয়া। বা কলকারখানার ধোঁয়া ।এই যানবাহনের ধোয়ার জন্য বায়ু প্রচুর পরিমাণে দূষিত হয়। কলকারখানা ধোয়ার জন্য বায়ু অনেক পরিমাণে দূষিত হয়ে থাকে।
- কীটনাশক কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বায়ু দূষিত হয়। এবং এই কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বায়ু দূষণের অন্যতম একটি বড় কারণ। যদি কৃষি জমিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক অথবা সার ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে এটি বায়ু দূষণের মতো সমস্যা তৈরি করে।
- বোন উজাড় ; বোন উজারের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রভাব পরে পরিবেশের উপর। এবং বায়ু দূষণের একটি অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বন উজাড়ের ফলে বায়ু অধিক হারে দূষিত হয়ে থাকে। তাই আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত।
- বর্জ্য; এই কল কারখানার বর্জ্য গুলো আমাদের বায়ু দূষিত করে। অর্থাৎ এগুলো পানিতে মিশ্রিত হয়ে পানি দূষিত হয় এবং এর ফলে দুর্গন্ধ ছাড়ায় এবং এই দুর্গন্ধ ছাড়ার ফলে সেগুলো বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করে ফেলে।
- কয়লা পোড়ানো : বিভিন্ন সময় আমাদের রান্নার কাজের লাকড়ি - খড়ি অথবা কয়লা দিয়ে রান্না করা হয়। সেই কয়লার পোড়ানোর জন্য আমাদের বায়ু অধিক হারে দূষিত হয়ে থাকে। যাকে বলা যায় বায়ু দূষণের কয়েকটি কারণের মধ্যে এটি একটি । কারণ কয়লা দিয়ে রান্না করার সময় বা লাকড়ি দিয়ে রান্না করার সময় যে লাকড়ি থেকে বা কয়লা থেকে ধুওয়া নীর্গত হয়, সেই ধোঁয়া বায়ুর সঙ্গে মিশে বায়ুর দূষিত হয়।
- ইট ভাটার ধোয়া : এই ইটভাটা ধোয়ার জন্য বায়ু অধিক হারে দূষিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় সব থেকে বেশি বায়ু দূষিত করে সেটি হল কলকারখানা ধোয়া বা ইটভাটার ধোঁয়া।
- বিদ্যুৎ কেন্দ্র: বায়ু দূষণের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেসব ধোয়া নির্গত হয় সেগুলো বায়ুর সঙ্গে মিশে বায়ুকে দূষিত করে ফেলে। এর ফলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- অতিরিক্ত জনসংখ্যা: এর ফলে বায়ু দূষিত হতে পারে। কারণ অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য তৈরি হয় বা অধিকারের রান্না করতে হয়। সেক্ষেত্রে সেই রান্নার থেকে যেসব ধোয়া বের হয় এবং অতিরিক্ত মানুষের কাছ থেকে যেসব ময়লা গুলো ছিটিয়ে পড়ে সেগুলো থেকে বায়ু দূষিত হয়।
- যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ: করার ফলে বায়ু দূষিত হয়, অর্থাৎ যদি ফাঁকা স্থানের মলমূত্র ত্যাগ করা হয় সেগুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে বায়ুকে দূষিত করে ফেলে।
- তেজস্ক্রিয়: পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে বায়ু দূষিত হয়।
বায়ু দূষণ কিভাবে হয়?
বায়ু দূষণ কিভাবে হয় সেটি আমাদের অনেকেরই তেমন কোন জানা নেই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে জানা রয়েছে। বায়ু দূষণের কয়েকটি কারণের মধ্যে প্রধান কারণ হলো ধোয়া। এই ধোয়া নির্গত হওয়ার ফলে বায়ু দূষিত হয়। অর্থাৎ যদি কোন কিছু থেকে ধোঁয়া তৈরি হয় বা ধোয়া বের হয় সেগুলো বায়ুর সঙ্গে মিশে বায়ু দূষিত হয়। এবং আরো বিভিন্নভাবে বায়ু দূষিত হতে পারে। যেমন যদি কোন কিছু পচে যায় বা গলে যায় অর্থাৎ পচনশীল জিনিস যেগুলো থেকে অধিক হারে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় সেগুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে গেলে সেখানে বায়ু দূষিত করে ফেলে এবং জৈব পদার্থের পচনের ফলেও বায়ু দূষিত হয়ে থাকে। এবং আগ্নেয়গিরির ফলে বায়ু দূষিত হয়ে থাকে।
বায়ু দূষণের ফলে কি হয়?
বায়ু দূষণের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যার মধ্যে একটি হলো মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। যেমন হাঁপানি ,শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাই, ফুসফুসের সমস্যা, ইত্যাদি ধরনের সমস্যা তৈরি করে থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্ট অনেক দুর্বল তাদের হৃদরোগ এবং ত্বকের সমস্যা এবং আরো অন্যান্য ধরনের সমস্যা তৈরি করে থাকে। যেগুলো আমাদের মানুষের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এমনকি পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই বায়ু দূষণে এতটাই ক্ষতিকর যা মুখে প্রকাশ করার মতো নয়। যেমন এই বায়ু দূষণের ফলে অনেক সময় এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে যেগুলো আমাদের গাছপালা এবং পুকুর মাছ-খাল ইত্যাদিতে থাকা অন্যান্য উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
এবং জলবায়ুর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনে্। এমনকি কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলবায়ু
পরিবর্তনের জন্য বায়ু দূষণ দায়ী।
মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব।
এতটাই খারাপ যে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে থাকে ।যেমন হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, স্টক, ফুসফুস ক্যান্সার ,মাথাব্যথা ,চোখ জ্বালাপোড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে থাকে।
এর ফলে মানুষ দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায় এমনকি এগুলো এক সময় বিরূপ রূপ ধারণ করে। যেগুলো ভালো করা কখনোই সম্ভব হয় না। আশা করি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব গুলো কি তা জানতে পেরেছেন।
বায়ু দূষণের পাঁচটি কারণ।
এখন আমরা বায়ু দূষণের পাঁচটি কারণ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। যদি জানতে চান সেই পাঁচটি কারণ তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে বায়ু দূষনের ১০ টি কারণ এবং পাঁচটি কারণও জানতে পারবেন। এমনকি বায়ু দূষণ রোধে ১০ টি উপায় ও জানতে পারবেন।
- কল কারখানা বর্জ্য।
- যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা।
- যেখানে সেখানে মাল ত্যাগ করা।
- বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করা।
- ভাটার ধোয়া।
বায়ু দূষণের প্রভাব পিডিএফ।
ধারা বায়ু দূষণের প্রভাব পিডিএফ ডাউনলোড করতে চান তারা এটা ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন তাহলে পিডিএফ বইটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
বায়ু দূষণ রোধের ১০ টি উপায়।
বায়ু দূষণ রোধে আমাদের বেশ কয়েকটি করণীয় রয়েছে। যেগুলো পালন করার মধ্য দিয়ে আমাদের বায়ু দূষণ রোধ হবে। তার মধ্যে হলো...
- যানবাহনের: ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। এ যানবাহনের ব্যবহার যদি আমরা না কমিয়ে আনতে পারি তাহলে বায়ু দূষণ কোনোভাবে রোধ করা যাবে না। বায়ু দূষণ রোধের জন্য আমাদের সাইকেল ব্যবহার করতে হবে। এবং ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।
- আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা: আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় রাখতে হবে। যে আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় এবং সেই আবর্জনা মাটিতে পুঁতে ফেলা যায় । এবং আমাদেরকে প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে কমিয়ে আনতে হবে।
- যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা যাবে না: যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলার ফলে আমাদের বায়ু দূষণের একটি বিশাল বড় প্রভাব পড়ে এবং বায়ু দূষিত হয়। তাই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বর্জ্য ফেলতে হবে।
- অধিক হারে গাছপালা লাগাতে হবে: অধিকার এ গাছ পালা লাগানোর ফলে বায়ু দূষণ কমিয়ে আনা আমাদের ক্ষেত্রে সম্ভব। তাই অধিকার এ গাছপালা লাগাতে হবে।
- কৃষি জমিতে কীটনাশক এর ব্যবহার এবং সার ব্যবহারের কমিয়ে আনতে হবে। এবং অন্যান্য স্যারের থেকে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে ।
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো আমাদের বায়ু দূষণ রোধ করতে পারে।
- শিল্প কারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের বায়ু দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা যায়।
- গাছপালা কাটা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। যদি আপনারা অধিকারী গাছপালা কেটে ফেলেন তাহলে এটি বায়ু দূষণের একটি অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- ধূমপান পরিহার করতে হবে: এই ধূমপানে ধোয়ার জন্য আমাদের বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত হয়ে থাকে।
- দরিদ্রতা কমিয়ে আনতে হবে: কারণ এই দরিদ্রতা ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের বায়ুর দূষণের সমস্যা হবে , সেসব কাজ করে থাকে তাই দরিদ্রতা অধিকারী কমিয়ে আনতে হবে।
উপসংহার
আজ আমরা বায়ু দূষণের দশটি কারণ এবং বায়ু দূষণ রোধের দশটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে বায়ু দূষণের দশটি কারণ এবং বায়ু দূষণ রোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং যদি এটি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
মনে রাখবেন....
- বায়ু দূষণ রোধে আমাদেরকে সকলকেই সচেতন হতে হবে।
- বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
- যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
- তাহলে আমরা বায়ু দূষণ রোধ করতে পারব।