নাপা সিরাপের উপকারীতা ও অপকারীতা ২০২৪

 নাপা সিরাপের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। কারণ এটি প্রত্যেক টি শিশু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকি বড় মানুষের ক্ষেত্রেও মোটামুটি ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এর উপকারিতা অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। চলুন তাহলে জেনে নি।

নাপা সিরাপ এটি বিভিন্ন অসুখের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর, ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। এবং এর উপকারিতা রয়েছে। যেগুলোর আপনার শরীরে বা আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবনে অসুখগুলো হয়ে থাকে, সে অসুখগুলো সারাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই নাপা সিরাপ। তাই যারা নাপা সিরাপ উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চায়। তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

নাপা সিরাপের উপকারিতা।

নাপা সিরাপ এর কিছু উপকারিতা রয়েছে, যেমন...

  • এটি জ্বরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে যদি শিশু বাচ্চার খেতে জ্বর আসে তাহলে এই নাপা সিরাপ তাদের দেওয়া হয়। এমনকি আরও বিভিন্ন কাজে দেওয়া হয়।
  • কাশির ক্ষেত্রে এ নাপা সিরাপ ব্যবহার করা হয়। যদি কোন বাচ্চার কাশি হয় যেমন শূন্য থেকে নিয়ে ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যেও কোন বাচ্চা হয় তাহলে তাকে এই নাপা সিরাপ দেওয়া হয়। এবং এ কাশি দূর করার জন্য আর বিভিন্ন ধরনের সিরাপ রয়েছে। তার মধ্যে নাপা।এ নাপা সিরাপের অনেকগুলো কাজ রয়েছে।
  •  যদি কারো এলার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে এই সমস্যাগুলো দূর করতে পারে এই নাপা সাপ দিয়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় শরীরে অনেক ধরনের এলার্জি দেখা দেয়। এমনকি মুখে স্ক্রিনে ত্বকে ইত্যাদি জায়গায় খুদরি খুদরি মত এলার্জি বের হয়। সেগুলো দূর করার জন্য আপনারা এই নাবা সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে এলার্জি সমস্যা দূর হবে।
  • মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে নাপা শিরাপ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মাথা ব্যাথা হলে সেটি বোঝা যায় না। যদি বাচ্চা কথা না বলতে পারে। যদি বাঁচাতে কথা বলে তাহলে নাপা সিরাপ খাওয়ার ফলে তাদের মাথাব্যথা দূর হবে।
  • শরীর ব্যথা আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে আঘাত পেয়ে থাকি। সে আঘাতের ফলে শরীরে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এমনকি যারা আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করি না, যদি আমরা হঠাৎ করে কাজ করি তাহলে এই ব্যথাগুলো সৃষ্টি হয়ম, তখন যদি নাপা খাওয়া হয় তাহলে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • বাচ্চা প্রসবের পর প্রত্যেকটি মাইরি একটি ব্যথা থাকে। সে ব্যথাটি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে নাপা  ওষুধ খেতে হয়। যদি সে নাপা ওষুধ খায় তাহলে এটি শরীরে তেমন কোন ক্ষতি করবে না। এবং ব্যথাগুলো আস্তে আস্তে সেরে যাবে।
  • বর্তমানে জন্মের পর প্রত্যেকটি শিশুকে একটি করে টিকা দেওয়া হয় অর্থাৎ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যেগুলোর মধ্যে দিয়ে রাতকানা মতো সমস্যাগুলো দূর হয়। সে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় বাচ্চার প্রচুর পরিমাণে জ্বর আসে, তখন যদি সে বাচ্চাকে নাপা সিরাপ খাওয়ানো হয় তাহলে সে জ্বর গুলো চলে যাবে।
  • যাদের ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা রয়েছে তারা এই নাপা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এ নাপা খাওয়ার ফলে ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে অনেকগুলো। কারণ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একরকম ব্যবহার করা হয় এবং একটু বড়দের ক্ষেত্রে আরেক রকম ব্যবহার করা হয় এবং বড়দের ক্ষেত্রে অন্যরকম ভাবে ব্যবহার করা হয়। তাই আজ আমরা নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলবো। চলুন জেনে নি।

 বয়স

 ডোজ

 ৩ মাস ১ বছর

 আধা চামচ

 ১ বছর ৫ বছর

 ১ থেকে ২ চামচ

 ৬ বছর ১৩ বছর

 ২ থেকে ৪ চামচ

ঔষধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

নাপা সিরাপ দিনে কতবার খেতে হয়।

বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যেগুলো খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তেমনি হলো নাপা সিরাপ। এটা ও খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসকরা পরামর্শ দেয় দিনে তিনবার খাওয়ানোর। সকাল দুপুর এবং সন্ধ্যা। এ তিন সময়ে ডাক্তাররা খাওয়ার কথা বলে থাকে।

নাপা সিরাপ এর অপকারিতা

নাপা সিরাপ এর কিছু অপকারিতায় রয়েছে, চলুন সেই অপকারিতাগুলো জেনে নি।

নাপা সিরাপ খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, লিভারের সমস্যা, রক্তর সমস্যা ,কিডনির সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ,ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ আমরা এগুলো আপনাদের সাধারণ জ্ঞান দেওয়ার জন্য বলছি। এগুলো কোন ভাবে একটি ডাক্তারের পরামর্শের মতো হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

নাপা সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

  • নাপা সিরাপের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো লিভারের কিডনির সমস্যা তৈরি করে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের স্তন কারীর সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • যদি আপনি আগে থেকে বুঝতে পারেন আপনার লিভারের সমস্যা রয়েছে তাহলে অবশ্যই নাপা সিরাপ পরিহার করবেন।

নাপা সিরাপ এর কাজ কি ?

নাপা সিরাপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন সর্দি-কাশি ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি মাথা ব্যথা, কান ব্যথা, দাঁত ব্যথা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে নাপা সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি কাশি জনিত সমস্যাগুলো দূর করতে পারে এই নাপা সিরাপ ।তাই নাপা সিরাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের  পরামর্শ নিতে হবে।

নাপা সিরাপ কয় ঘন্টা পর পর খেতে হয়?

বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যেগুলো খাবার কিছু নিয়ম রয়েছে ।বা কত ঘন্টা পর পর খেতে হবে তা বলা থাকে। তেমনি নাপা সিরাপ। একটি নাপা সিরাপের মূলত প্যারাসিটামল থাকে। তাই এ নাপা সীরাপ সর্বনিম্ন৪ ঘন্টা পর পর খেতে হবে। নাপা সিরাপ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নাপা সিরাপ কি খালি পেটে খাওয়া যায়?

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মাথার মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটি হলো নাপা সিরাপ কি খালি পেটে খাওয়া যায়? আরো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খাওয়ার ফলে আপনার মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু নাপা সিরাপ বা প্যারাসিটামল এটি খালি পেটে খেলে কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় না। কিন্তু নাপা সিরাপ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

নাপা সিরাপ কতদিন খাওয়া যায়?

প্রত্যেকটি ওষুধের একটি মেয়াদ রয়েছে। সেই মেয়াদ অনুযায়ী আমাদেরকে ওষুধ সেবন করা উচিত। যেমন অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রে একটি মেয়াদ থাকে সে মেয়াদের বাইরে সেবন করলে এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। একটি ওষুধ খোলার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তাররা বলে থাকে যে দুই থেকে চার সপ্তাহ থাকে । এমনকি কেউ কেউ বলে তার গায়ে যে মেয়াদ দেওয়া আছে সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে। তাই যদি ভালোভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


মনে রাখবেন....

  • নাপা সিরাপ খালি পেটে বা ভরা পেটে যেকোনো সময়ই খেতে পারেন।
  • নাপা সিরাপ শিশুদের খাবার সময় অবশ্যই পরিমাণমতো সেবন করাবেন।
  • নাপা সিরাপের সাথে বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় জিনিস খাওয়াবেন না।
  • নাপা সিরাপ বেশি খাওয়া উচিত নয়।
  • নাপা সিরাপ খাওয়ার পর যদি কোন সমস্যা তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • নাপা সিরাপ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বোতল ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।
  • নাপা সিরাপ খাওয়ার পূর্বে সিরাপের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখতে হবে।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে না নাপা সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এবং নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নাপা সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আরটিকাটি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url