অমিডন খেলে কি মোটা হয়? - অমিডন কেন খায়?
অমিডন খেলে কি মোটা হয়? এটি আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত। কারণ আমরা বিভিন্ন সময় অমিডন খেয়ে থাকি। কিন্তু এর উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি না। এবং কোন কোন কাজে এই ওমিডন ব্যবহার করা হয় তাও জানি না । চলুন তাহলে এই অমিডন সম্পর্কে জেনে নি।
অমিডন ওষুধটি আমরা সকলে কমবেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকে আছে নিয়মিত খেয়ে থাকে, তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন স্বাস্থ্যবিধি এবং আরও অন্যান্য ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই অমিডন খেলে কি কি হয় সেটি জেনে থাকা উচিত। এবং এর উপকারিতা জেনে থাকা উচিত। এবং কোন কাজে ব্যবহার করা হয় তা আমরা নিচের দিকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। জানতে হলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অমিডন খাওয়ার উপকারিতা।
অমিডন ওষুধ খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতায় রয়েছে। যেগুলো আপনারা জানলে অবাক হবেন। চলুন তাহলে ওষুধ খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নি।
- পেট ফাঁপা: এ সমস্যাটি আমাদের কম বেশি তাই সকলেরই দেখা যায় । পেটের সমস্যা এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা বলে আমরা মনে করি। কারন এটি ক্ষতিকর বেশি না হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সমস্যা দায়ক হয়ে দাঁড়ায়। তাই পেট ফাপা দূর করার জন্য খেতে পারেন । এই অমিডন খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, পেট ফোলা, ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দূর হবে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি: এটি একটি মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি কারো হজম শক্তি বৃদ্ধি না হয় তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হতে পারে । হজম শক্তি যদি ভালো থাকে তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকবে। এবং হজম শক্তি যদি ভালোভাবে কাজ করে তাহলে আপনার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অমিডন খেতে পারেন।
- বমি বমি ভাব: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের একটু কোন সমস্যা হলে বমি হওয়ার মতো লাগে। এবং যদি কেউ বাসায় চড়ে সে ক্ষেত্রেও বমি বমি ভাব লাগে। যদি আপনারা বাসে চড়া বা যখন আপনার বমি উঠে তার কিছুক্ষণ আগে এই অমিডন ঔষধটি খেয়ে নিতে পারেন, তাহলে বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।
- ঢেকর তোলা: আমাদের মধ্যে অনেক আছে। যাদের অল্পতেই ড়েকড় উঠে অর্থাৎ যদি কিছু খায় তাহলে ঘন ঘন ঢেকুর উঠে এই ঢেকুর ওঠা সমস্যাগুলো দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- বুক জ্বালাপোড়া: বুক জ্বালাপোড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিন্তু একটি কারণ রয়েছে সেটি হল খাবার উঠে আসা।অনেক সময় আমরা যদি কোন ভারী কাজ করতে যাই তাহলে ভিতর কার খাবার বুকের উপরে উঠে আসে। এবং সে ক্ষেত্রে বুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। এ সমস্যাটি দূর করতে পারে অমিডন।
- পেট ভার হয়ে থাকে: আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বেশি খাবার ফলে পেট অনেকক্ষণ ধরে পেট ভার হয়ে থাকে। এবং আমাদেরকে অস্থির লাগে। সহজে হজম হয় না। যদি তখন আপনারা এই অমিড ওষুধটি খেয়ে নিতে পারেন তাহলে দ্রুত পেটের খাবারগুলো হজম হবে এবং স্বস্তি বোধ করবেন।
- ক্ষুধা না লাগা: যাদের ক্ষুধা না লাগে তারা এই অমিডন ওষুধটি খেতে পারেন। ওষুধ খাওয়ার ফলে ক্ষুধা লাগা সৃষ্টি করবে এবং খাওয়ার রুচি ঠিক রাখবে।
অমিডন কেন খায়?
অমিডন মূলত কয়েকটি কারণে খেতে পারে। যেমন
- অরুচি ভাব
- বমি বমি ভাব
- খুদা না লাগা
- বুক জ্বালাপোড়া
- হজম শক্তি বৃদ্ধি
- পেট ফাঁপা
- ঘন ঘন ঢেকুর উঠা
ইতালি ধরনের সমস্যা দূর করতে অমিডন খায়।
অমিডন খেলে কি মোটা হয়?
অমিডন খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অমিডনের কাজ হল খুদা তৈরি করা। যখন আপনার খুদা প্রচুর পরিমাণে হবে তখন আপনি অনেকগুলো খাবার একসঙ্গে খেয়ে নিবেন। এবং সেগুলো একসঙ্গে খাওয়ার পরে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং অমিডন ওষুধ খাওয়ার পরে অধিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা যায়। কিন্তু অমিডন খেলে আপনার কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অধিক পরিমাণে ক্ষুধা লাগা এবং আপনার বিপাকে ধীরগতিতে রাখে। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অমিডন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম।
পৃথিবীতে যত ওষুধ রয়েছে সবগুলো একটি খাওয়া নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে। যদি সেই নিয়ম অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করা হয় তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। অমিডন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হলো.
দিনে তিনবার খেতে হবে। অর্থাৎ সকালে দুপুরে এবং রাত্রে এগুলো খেতে হবে। খাবার আগে কমপক্ষে আধা ঘন্টা। এগুলো শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। যেকোন ওষুধ খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অমিডন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
অমিডন ওষুধ খাওয়ার আগে আমাদের সকলকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আমরা না জানি তাহলে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। বা ক্ষতি হতে পারে।তাই আমাদের সকলকেই যেকোনো ওষুধ খাবার পূর্বে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আমরা এগুলো প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। চলুন জেনে নি অমিডন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
- মাথা ব্যাথা
- ক্লান্তি
- দৃষ্টির শক্তি সমস্যা
- লিভারের সমস্যা
- হার্টের সমস্যা
- মানসিক সমস্যা
- এলার্জির সমস্যা
- ফুসকুড়ির সমস্যা
- চুলকানির সমস্যা
ইত্যাদি ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই খাবার আগে অবশ্যই আমাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত?
অমিডন মূলত দুই ধরনের। কমবেশি ভালই দেখতে পাওয়া যায়। যেমন অমিডন ১০ এমজি এবং অমিডন ২০ এমজি এ দুইটি দেখতে পাওয়া যায়। অমিডন এর ১০ এমজি এর মূল্য হল ৫ টাকা। এবং অমিডন ২০ এমজি এর মূল্য হল ১০ টাকা। এটি মূলত একটি পাতাতে দশটি করে ট্যাবলেট থাকে।
অমিডন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়?
অমিডন ট্যাবলেট বেশি খাবার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ।যেমন মাথা ঘোরা ।ক্লান্তি। লিভারের সমস্যা। হার্টের সমস্যা। এলার্জি সমস্যা। ইত্যাদি ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে । তাই বেশি খাওয়া থেকে সাবধান থাকবেন। এবং যদিও খেতে হয় তাহলে অবশ্যই একটি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
উপসংহার
আজ আমরা এ আর্টকেলের মধ্যে জানতে পারলাম অমিডন খাওয়ার উপকারিতা এবং অমিডন খেলে কি মোটা হয়? এবং অমিডন কেন খায়? অমিডনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে সকল ধরনের তথ্য জানতে পেরেছেন। কারন আমরা এই ব্লগ পোষ্টের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করি। এবং এগুলো শেয়ার করে মূলত আপনাদের উপকারের স্বার্থে ।এবং আরেকটি কথা মনে রাখবেন চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী সকল ওষুধ গ্রহণ করবেন।
bah omaik lekha https://www.techmybd.com/2024/02/Ordinary%20it.html
ধন্যবাদ