পরিবেশ সংরক্ষণের ১০ টি উপায়

পরিবেশ সংরক্ষণের ১০ টি উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। কারণ এগুলো আমাদের বিভিন্ন সময় প্রয়োজন পড়ে এবং বিশেষ করে পরীক্ষার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পড়ে থাকে। তাই এখন আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে দশটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

পরিবেশ এটি মানব জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিবেশ সংরক্ষণ যদি না থাকে তাহলে এটি মানব জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের প্রত্যেকটি মানুষেরই পরিবেশ সংরক্ষণ রাখা উচিত। পরিবার সংরক্ষণ রাখার জন্য আপনাদের কয়েকটি করণীয় রয়েছে। যদি আপনারা করণীয় গুলো মানতে পারেন তাহলে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারবেন। এবং মানবজাতির হুমকির মুখ থেকে রক্ষা করতে পারবেন। চলুন তাহলে পরিবেশ সংরক্ষণে ১০টি উপায় জেনে নি।

পরিবেশ কাকে বলে।

পরিবেশ কাকে বলে? এটি আমাদের কমবেশি সকলেরই জানা রয়েছে। যেমন পরিবেশ হলো বায়ুমণ্ডল, পিস্তল মন্ডল, জল মন্ডল, এবং জীব মণ্ডল, নিয়ে পরিবেশ গঠিত। এবং কৃত্রিম পরিবেশ বলতে আমাদের বোঝানো হয়। সামাজিক পরিবেশ বলতে বোঝানো হয় মানুষের তৈরি পরিবেশ যেমন ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, কলকারখানা, ব্রিজ, সেতু, ইত্যাদি। পরিবেশের কয়েকটি উপাদান রয়েছে যেগুলোর মধ্যে হল গাছপালা, পশুপাখি ,বায়ু ,পানি, মাটি, খনিজ উপাদান ,ইত্যাদি। এগুলোকে নিয়ে আমাদের পরিবেশ গঠিত।

পরিবেশ সংরক্ষণের ১০ টি উপায়

পরিবেশ সংরক্ষণে দশটি উপায় আমাদের জেনে থাকা উচিত। এবং যেগুলো আমাদের প্রয়োজনীয় মধ্যে পড়ে সেগুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে। যেমন..

  • যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ যেগুলো জ্বালানি দিয়ে চলাচল করে সেগুলোর কমিয়ে দেব। যেগুলো ধোঁয়া নির্গত করে সেগুলোকে ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে হবে। তাহলে পরিবেশ আস্তে আস্তে সংরক্ষিত হতে পারবে।
  • বেশি বেশি গাছপালা রোপন করতে হবে। যদি বেশি বেশি গাছপালার রপন করা যায় তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে । এবং পরিবেশ সংরক্ষণ থাকবে। এবং বিভিন্ন ধরনের বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে এখন প্লাস্টিকের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। যেগুলো দিন দিন পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছে।
  • আমাদেরকে এমন ভাবে চলাচল করতে হবে যার মধ্য দিয়ে পরিবেশের কোন ক্ষতি যেন না হয়।
  • আমরা যেখানে সেখানে কলকারখানা বর্জ্য ফেলবো না। এই কলকারখানা বর্জ্য ফেলার ফলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হয়। আমরা কল কারখানা বর্জ্য যে কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবো এবং সেগুলোকে শোধন করার চেষ্টা করব।
  • পরিবেশ সংরক্ষণ করতে গেলে আপনাকে সাইকেল ব্যবহার করতে হবে । কারণ এই সাইকেলে মানুষের শরীর ঠিক থাকে এবং এটি পরিবেশবান্ধব। একটি যানবাহন যার ওপর দিয়ে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা যায।
  • কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে এখন প্রচুর পরিমাণে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এরফলে পরিবেশ নষ্ট হয় । তাই পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে হলে অবশ্যই কীটনাশক এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
  • কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে । কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে মাটি উর্বর হয় এবং পরিবেশ বান্ধব। যেগুলো আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে না।
  • প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো অধিক হারে ব্যবহার করা যাবে না। যার মধ্য দিয়ে পরিবেশের ক্ষতি হয়।
  • পানি দূষণ, মাটি দূষণ, বায়ুদূষণ, ইত্যাদি থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এগুলো যদি দূষিত হয়ে যায় তাহলে পরিবেশ কোনভাবেই সংরক্ষণ হবে না। বরঞ্চ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় কি?

পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হল কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য ,ময়লা, অতিরিক্ত গাছ কেটে ফেলা, ইত্যাদি এগুলো হলো পরিবেশ নষ্ট করে। পরিবেশ সংরক্ষণে অন্যতম প্রধান কারণ হলো জনসচেতনতা। যদি আমরা সকলে সচেতন থাকি তাহলে পরিবেশের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। আর যদি আমরা কেউ সচেতন না থাকি তাহলে এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হয়ে দাঁড়াবে। পরিবেশ সংরক্ষণে অন্যতম প্রধান উপায় হল জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়

প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আপনাদের কয়েকটি উপায় রয়েছে। তার মধ্যে প্রধানত হল অধিক হারে গাছ লাগানো। যদি আমরা অধিকারে গাছ লাগাই তাহলে এটি প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ হবে। এবং আমাদেরকে কল কারখানা বর্জ্য ইত্যাদি শোধন করে নিতে হবে। এবং সেগুলো কোনোভাবেই মাটি পানি পুকুর ইত্যাদিতে ফেলা যাবে না । এবং যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে এনে সাইকেল ব্যবহারের বাড়াতে হবে ।যেগুলোর মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষিত থাকবে।

পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আমাদের অপরিসীম। কারণ ভবিষ্যতে আমাদের পৃথিবীর সকল পশুপাখি প্রাণী এবং জীবের জন্য আবশ্যক। কারণ বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি পরিবেশ দরকার। এবং বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি প্রাণী জীবজন্তু ইত্যাদি বাসস্থান হল। পরিবেশ এই পরিবেশের উপর নির্ভর করে তাদের বাসস্থান। পরিবেশের ভারসাম্য যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে অবশ্যই পরিবেশ সংরক্ষণ করা আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আপনার আমাদের যেসব করণীয়তা রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো দূষণ রোধ। যেমন বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ,পরিবেশ দূষণ, ইত্যাদি রোধ করতে হবে। যদি আমরা এগুলো রোধ করতে না পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রয়োজন জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় মানতে হবে।

জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা করা আমাদের জন্য আবশ্যক। এই জল বায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য আমাদের যেসব করণীয় করতে হবে তার মধ্যে একটি হলো পরিবেশ সংরক্ষণ রাখতে হবে। যদি আমরা গাছপালা ইত্যাদি বেশি করে রোপণ করিস তাহলে এটি আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের পর প্রভাব মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমাদের ভূমিকা।

পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যেমন..

  • পানি অপচয় রোধ করা। 
  • প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া। 
  • বেশি বেশি গাছ লাগানো। 
  • যেখানে সেখানে বর্জ্য না ফেলা। 
  • যেখানে সেখানে ইটভাটা তৈরি না করা।
  •  জ্বালানি চালিত যানবাহন ব্যবহার করা কমিয়ে দেওয়া। 
  • কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া। 
  • প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট না করা ইত্যাদি।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণে ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এবং কিভাবে আমরা পরিবেশ রক্ষা করতে পারি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি এটি পরিপূর্ণভাবে এই আর্টিকেল এর মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url