স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪
স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো। কারণ এটা আমাদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন পড়তে পারে। চলুন তাহলে স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেই।
স্যালাইন এটি অনেকেই ব্যবহার করে থাকে, অর্থাৎ খেয়ে থাকে। কারন এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি এ স্যালাইন খাবার ফলে শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টি যোগায় এবং শক্তি পাওয়া যায়। এমনকি পানিশূন্যতার অভাব পূরণ করতে পারে ।স্যালাইন চলুন তাহলে স্যালাইনের কয়েকটি উপকারিতা এবং অপকারিতা এবং তার সঙ্গে কোন স্যালাইন সব থেকে বেশি ভালো সে সম্পর্কে জেনে নিই।
স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা।
- স্যালাইন মূলত সব থেকে যে কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেটি হল পানি শূন্যতা। অর্থাৎ যখন শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন ও দ্রুত পরিমাণে স্যালাইনের পানি খাওয়া উচিত। কারণ ডায়রিয়া এবং ইত্যাদি এবং ঘামের কারণে প্রচুর পরিমাণে শরীর থেকে লবণ পানি বের হয়ে চলে আসে, এবং তখন শরীরে পানি শূন্যতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তখন আমাদের এই স্যালাইন খাওয়া উচিত। এ স্যালাইন খাওয়ার ফলে শরীরে পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করে।
- পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পারে এই স্যালাইন। যদি কোন ব্যক্তির পেটের সমস্যা হয় অর্থাৎ পাতলা পায়খানা অথবা ডায়রিয়ার মত সমস্যা বা লবণের ঘাটতি বা পানি শূন্যতা ইত্যাদির কারণে পেটের যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে স্যালাইন সেগুলো দূর করতে পারে। কারণ স্যালাইনের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্যাদি।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে স্যালাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তারা এই স্যালাইন গুলো নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার বৃদ্ধি পাবে।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে, এই স্যালাইন। কারণ এই স্যালাইনে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে এবং গ্লুকোজ হলো শক্তির উৎস। তাই ক্লান্ত হয়ে গেলে অবশ্যই স্যালাইন খাওয়া উচিত।
- খাওয়ার স্যালাইন এটি যে কোন বয়সের মানুষ খেতে পারবেন। যেমন শিশু, বয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, গর্ভবতী, ইত্যাদি ধরনের মানুষ এই স্যালাইন খেলে তাদের কোন সমস্যা হবে না। বরঞ্চ উপকার হবে।
স্যালাইন খাওয়ার অপকারিতা।
স্যালাইন খাওয়ার কিছু অন্যতম অপকারীতা রয়েছে। যেগুলো হল..
- অতিরিক্ত স্যালাইন খাবার ফলে স্যালাইনে থাকা লবণ কিডনির সমস্যা করতে পারে। এটি সম্ভাবনা একেবারে কম।
- অতিরিক্ত স্যালাইন খাবার ফলে স্যালাইনের মধ্যে থাকা লবণগুলো কোষের মধ্যে চলে যায় এবং কোশকে পানি শূন্যতা তৈরি করতে পারে।
- অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এগুলো সম্ভাবনা একেবারে কম।
স্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
আপনার প্রশ্ন হল সেলাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে? উত্তর হল স্যালাইন খাবার ফলে পেশার বাড়ার সম্ভাবনা অনেক পরিমাণে থাকে। স্যালাইন খাবার ফলে দ্রুত প্রেসার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যদি স্যালাইন খেতে চান তাহলে খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ওর স্যালাইন বেশি খেলে কি হয়?
আপনাদের প্রশ্ন হল ওর স্যালাইন বেশি খেলে কি হয়? এর উত্তর হল ওরস্যালাইন বেশি খাবার ফলে স্যালাইনের মধ্যে যে অতিরিক্ত লবণটা থাকে সেই লবণে কোষের মধ্যে যে পানি শূন্যতা তৈরি করে ।এ পানি শূন্যতার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন দুর্বলতা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ওর স্যালাইন বেশি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
স্যালাইন খেলে কি ও গ্যাস বাড়ে?
স্যালাইন অতিরিক্ত খাবার ফলে গ্যাষ্টিকের তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয় না। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়া থেকে দূরে থাকুন এবং পরিমাণ মতো স্যালাইন খেতে হবে। যেন আমাদের শরীরে ক্ষতি না করে।
স্যালাইন খেলে কি পায়খানা কষা হয়?
স্যালাইন খাওয়ার ফলে পায়খানা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। যদি আপনার ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে স্যালাইন খাবার ফলে এটি স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসবে। এবং যদি আপনার পায়খানা অনেক পরিমাণে কষা হয়ে থাকে তাহলে সেটিকো স্বাভাবিক পরিমাণে নিয়ে আসতে পারে। তাই যদি আপনার পায়খানা কষা হয় তাহলে স্যালাইন খেলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। স্যালাইন খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ওর স্যালাইন খাবার নিয়ম।
ওর স্যালাইন খাবার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যেমন যদি আপনার পায়খানা পাতলা হয় তাহলে তার আগে আপনাকে এক পোয়া মতো পানি খেতে হবে। অর্থাৎ আড়াইশো গ্রাম মত পানি খেতে হবে এবং তার সঙ্গে স্যালাইনের প্যাকেট দিতে হবে। এবং এটিকে একসঙ্গে ভালোভাবে গুলিয়ে খেতে হবে। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৫ মিনিট পর পর খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু অল্প পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
স্যালাইন খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর হলো না।স্যালাইন খাবার ফলে ওজন বাড়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ স্যালাইনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। যেগুলো আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই স্যালাইন খেলে ওজন না বাড়ার সম্ভাবনা বেশি এবং কোন কোন কারণে বাড়তে পারে।
স্যালাইন খেলে কি হয়?
স্যালাইন খাবার ফলে পাতলা পায়খানা মত সমস্যা দূর হয় এবং শরীরে পানি শূন্যতা দূর হয়। যখন আমাদের পাতলা পায়খানা অথবা ডায়রিয়া হয় তখন অধিক হারে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।তখন যদি এই স্যালাইন খাওয়া হয় তাহলে পানি শূন্যতার সমস্যা দূর হবে।
কোন স্যালাইন ভালো ?
উত্তর হলো =ওর স্যালাইন ভালো
মনে রাখবেন....
- ডায়রিয়া হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- স্যালাইন ঠান্ডা পানিতে মিশ্রিত করতে হবে।
- স্যালাইন তৈরির পর খেয়ে ফেলতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্যালাইন খাওয়ানো উচিত।
- গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের ও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্যালাইন খাওয়া উচিত।
- স্যালাইন মিশ্রিত করে রেখে না দেওয়া উচিত।
- গরম পানি দিয়ে স্যালাইন না মিশ্রিত করা উচিত।
- পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে স্যালাইন মিশ্রিত করা উচিত।
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এবং স্যালাইন খেলে কি সমস্যা হয় এবং কি ভাবেই স্যালাইন খেতে হয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং অন্যকে জানার জন্য আপনারা এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিতে পারেন।