গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ এর নাম-গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ কোনটা ভালো

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নাম এবং গ্যাসটি সিরাপ কোনটা ভালো হবে তা আমরা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যদি আপনারা গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নাম জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

গ্যাস্ট্রিকের এই সমস্যাটি মূলত বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে দেখা দিয়েছে। অন্যান্য দেশে থাকলে যে বাংলাদেশের অনেক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ছোট বড় সকলেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। যেমন ছয় মাস থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এখন গ্যাস্টিকের সমস্যা তৈরি হওয়ার জন্য অন্যতম কয়েকটি কারণ রয়েছে। তা আমরা নিচে উল্লেখ করবো। গ্যাস্টিকের সিরাপের নাম এবং গ্যাস্টিকের সিরাপ কোনটা ভালো হবে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ন = পরিবেশ সংরক্ষনের ১০ টি উপায় জেনে নিন।

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নাম।

গ্যাস্টিকের সিরাপের নামগুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। এগুলো আপনার ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। তাই এগুলো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

অ্যাসিড ফস।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এই ওষুধগুলোতে কি ইন্ডিয়ান ওষুধ। এটি একটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এগুলো গ্যাস্টিক নিরাময় করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যাদের কাছ থেকে সমস্যা রয়েছে এটি খেতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

ফেমোটাইডিন।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এটি একটি গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম সিরাপ। এ ওষুধটি খাবার ফলে গ্যাস্ট্রিক নিরাময় করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই গ্যাস্টিক দূর করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে এই সিরাপটি খেতে হবে। এই সিরাপ টি খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

ওমিপ্রাজোল।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

ওমিপ্রাজোল এই ওষুধটি অত্যন্ত উপকারী ঔষধ । যাদের প্রচন্ড পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা এ ওষুধটি খেতে পারেন। এ ওষুধটি খাবার ফলে গ্যাস্টিকের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। এবং এই ওষুধ খাবার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। তাই চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

সাইমেথিকন।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

সাইমেথিকন এটি একটি গ্যাস্ট্রিকের ভালো ওষুধ। যাদের প্রচন্ড পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা এ ওষুধগুলো গ্রহণ করতে পারেন। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটি।

আমরা এখন গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটিতে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যেগুলো ব্যবহারের ফলে আপনারা গ্যাস্ট্রিক থেকে আরাম পেতে পারেন বা গ্যাস্ট্রিক নিরাময় করতে পারেন। চলুন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সবথেকে ভালো ওষুধের নাম জেনে নেওয়া যাক।

  • সেকলো।
  • এন্টারসিড।
  • রেনিটিডিন।
  • ও পি 20mg।
  • ফিনিক্স রেব।
  • প্যারিসেল।

এ ওষুধগুলো হল গ্যাস্টিকের সব থেকে ভালো ওষুধ। কিন্তু এগুলোই দেখে সঙ্গে সঙ্গে গ্রহন করা উচিত নয়। কারণ আপনার গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ কত এবং গ্যাস্ট্রিক কি ধরনের তা নির্ভর করে এই চিকিৎসক ওষুধ দিবে। এবং এর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। তাই এই ওষুধ খাবার ব্যবসায় চিকিৎসার সাথে পরামর্শ করুন।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি।

এখন আমরা গ্যাস্টিকের জন্য সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সবথেকে ভালো সিরাপের নাম জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন।

কারমিনা সিরাপ।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এটি মূলত একটি গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ। যাদের পেটের ফাঁপা বা অম্বল পেট ব্যথা পাকস্থলী সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় রয়েছে তারা এই কারমিনা সিরাপটি খেতে পারেন। এতে করে এসব সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়াও কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এটি মূলত একটি গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ বলে ধরা হয়ে থাকে। যেমন বুক জ্বালাপোড়া পেট জ্বালাপোড়া আলসার বদহজম ইত্যাদি কাজে এসব সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই যাদের এসব সমস্যা রয়েছে তারা এই এন্টাসিড প্লাস সিরাপটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।

হারবিসল সিরাপ।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের পেটে যেসব গ্যাসটিকের সমস্যা রয়েছে সেসব সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকারিতা রয়েছে। এই সিরাপের যেমন বাচ্চার বদ হজম বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি কারণে এই সিরাপটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে এ সিরাপটি  আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। কিন্তু একজন ভালো চিকিৎসক বা রেজিস্ট্রেশন করা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনেক ধরনের রয়েছে। আপনার গ্যাসের মান কেমন এবং কোন টাইপের গ্যাস শে বিষয়ের উপর নির্ভর করে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কয়টা খাওয়াতে হবে এবং কয় বেলা খাওয়াতে হবে। তাই যদি গ্যাস্টিকের সিরাপ বা ওষুধ খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই একটি চিকিৎসকের  পরামর্শ নিয়ে খাওয়াতে হবে।

সাধারণত ডাক্তাররা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মূলত দুই বেলা খেতে বলে। অর্থাৎ সকাল সন্ধ্যা এবং খাবারের আধাঘন্টা আগে। এই গ্যাস্টিকের ওষুধগুলো খেতে বলে থাকে। আবারো বলছি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আজে- বাজে কোন ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।

ঘরোয়া ভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার উপায়।

এখন আমরা ঘরোয়া ভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনারা ঘরোয়াভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। চলুন তাহলে ঘরোয়া ভাবে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করার উপায় জেনে নি।

  • কালোজিরা।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

এটি হজম শক্তি উন্নত করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদি আপনারা প্রতিদিন কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে।

  • পুদিনা পাতা।

গ্যাষ্টিকের সিরাপ এর নাম

আমরা সকলে জানি যে পুদিনা পাতা কতটা উপকারী মানুষদের জন্য। পুদিনা পাতা যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে পেটের ব্যথা পেটের গ্যাস ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দূর হবে। চাইলে আপনারা চা বানিয়ে পুদিনা পাতা খেতে পারেন।

  • আপনারা চাইলে দই খেতে পারেন। কারন দই এটি হজম করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দই খেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা করে খেতে হবে।
  • হজম শক্তি উন্নত করার জন্য আপনারা কলা খেতে পারেন। কারণ কলাতে রয়েছে এসিড যার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে এবং হজম করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। যেন পেটের দুই ভাগ পানি থাকে এবং একভাগ খাবার থাকে।
  • খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে। কিন্তু তিন থেকে চারবার দিনে খাবার খেতে হবে।
  • অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস পরিহার করতে হবে। কারণ অ্যালকোহলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে যেগুলো পেট ফাপার মত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • ব্যায়ামের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা যায়। যদি আপনারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে পেটের যেকোনো ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধের নাম

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা গ্যাসের সিরাপের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এখন আমরা বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যদি আপনারা বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধের নাম গুলো জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আপনি বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধের নাম জেনে নেওয়া যাক।

ফ্লাকোল  ড্রপ সিরাপ

এটি মূলত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়ে থাকে। এই ওষুধটি তেমন কোন পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া নেই। এ ওষুধটি মূলত স্কয়ার কোম্পানির। আমরা সকলেই জানি বিখ্যাত কোম্পানির মধ্যে একটি হলো স্কয়ার কোম্পানি। তাই আপনারা এই ওষুধটি দুই থেকে আড়াই বছর বা তিন বছরের জন্য এর নিচে আপনি খাওয়াতে পারবেন। যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেটা ওষুধ খেলে তারা দ্রুত সেরে যাবে। শিশুদের জন্য এই ট্যাবলেট খাওয়া না যাওয়ার কারণে এই সিরাপ গুলো তৈরি করা হয়েছে। এবং এই সিরাপে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে বা ক্যামিকেল রয়েছে যা শিশুর গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

কিছু কথা

ঘরোয়া ভাবে আমাদের সমাধান গুলো দিলাম। এটি সবারই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। যদি দেখেন যে আপনার জন্য কাজ করছে না তাহলে অবশ্যই একটি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যে কোন ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নাম এবং গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ কোনটা ভালো এবং ঘরর ভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার উপায় এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলো জানতে পেরেছেন। আর আরেকটি বিষয় হলো যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। এরপরও যদি আপনার গ্রহণ করেন তাহলে আমরা দায়ী থাকবো না।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url