জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা কাজ, খাওয়ার নিয়ম ও দাম
জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা কাজ খাওয়ার নিয়ম ও দাম সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তুলে ধরব। জানতে হলে অবশ্যই এ আর্টিকেল মনযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমরা সকলেই জানি একটি ভিটামিন বি যুক্ত ট্যাবলেট । এ ভিটামিন বি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। যেগুলো আমরা নিচের দিকে উপস্থাপন করব। এবং তার সঙ্গে জিংক বি ট্যাবলেটের দাম এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও তুলে ধরব। যদি এ ধরনের সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন। চলুন তাহলে জেনে নি।
জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও কাজ।
প্রিয় পাঠক আমরা এখন জানবো জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও কাজ কি? যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মোনযোগ সরকারের পড়া শুরু করুন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক বি ট্যাবলেট। এটি যদি কোন ব্যক্তি দুই ডোজ খায় অর্থাৎ দুই বোতল খায় যেমন একটি বোতলে থাকে ৩০ টি বরি এবং আরেকটি বোতলে থাকে ত্রিশটি বড়ি। এরকম করে যদি ৬০ টি বড়ি খায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক হারে বেড়ে যাবে।
- যাদের ক্ষত শুকায় না অর্থাৎ দীর্ঘদিনের ক্ষত হয়ে গেছে বা কেটে গেছে ঘা ইত্যাদি হয়েছে তাদের ঘা- ক্ষত শুকায় না তাদের জন্য জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার অত্যন্ত জরুরী। জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে যে কোন ধরনের কাঁটাস্থান শুকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক বি ট্যাবলেট। আমরা সকলেই জানি যে ভিটামিন বি এতে হাড় মজবুত করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হার গঠনের জন্য আপনারা জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন।
- জিংক বি ট্যাবলেট এটি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। যাদের দাঁত শিরশির করে ব্যথা করে পোকা লাগা বা নরমাল তারা এই জিংক বি ভিটামিন টি খেতে পারেন। এতে করে দাঁত মজবুত হবে।
- চোখের সমস্যা দূর করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক বি ট্যাবলেট। এটি আমিও একবার খেয়েছিলাম খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
- স্থায়ী রোগ সারাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক বি ট্যাবলেট। যাদের দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী রোগ রয়েছে তারা জিংক বি ট্যাবলেট খেতে পারেন।
- শারীরিক সমস্যার জন্য আপনারা জিংক বি ট্যাবলেট খেতে পারেন। অর্থাৎ অনেক পুরুষ রয়েছে বা মহিলা রয়েছে যাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে তারা জিংক বি দুইটা ট্যাবলেট খেতে পারেন। এতে করে শারীরিক সমস্যা কেটে যেতে পারে।
- যাদের বাচ্চা হয় না তারা জিংক বি ট্যাবলেট খেতে পারেন। অর্থাৎ যে পুরুষদের বীর্য শুক্রানু যদি না থাকে বা কমে যায় তাহলে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। খেলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বাড়ে।
- মস্তিষ্ক ঠিক রাখে হঠাৎ যাদের একটুতে রাগ উঠে যায় তারা এই জিংক বি ট্যাবলেট খেতে পারেন। এতে করে দ্রুত রাগ সারাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম!
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে। যে নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ভাল ফলাফল পাবেন। কিন্তু একটি কথা আগেই বলে নিতে হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেলে সব থেকে বেশি ভালো হয়। জিংক বি ট্যাবলেট এটি মূলত 12 বছর থেকে ৫০+ খাওয়া যায়। যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে এটি স্বাভাবিক মাত্রায় গ্রহণ করা যাবে। দিনে এক থেকে দুইবার এবং এর থেকে যদি কম বয়সী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 30 কেজির উপর যদি ওজন হয়ে যায় তাহলে তিনবারও খাওয়া যায়। এতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম কত?
জিংক বি মূলত একটি পাওয়া যায় পাতায় অর্থাৎ ক্যাপসুল আরেকটি পাওয়া যায় ফাইল আকারে এবং আরেকটি পাওয়া যায় বডি আকারে অর্থাৎ একটি কোটার মধ্যে থাকে। সে বোতলের মধ্যে ত্রিশটি করে বড়ি থাকে। এবং এই ত্রিশটি বড়ির দাম ১০৫ টাকা ধরা হয়ে থাকে। এবং আরেক ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে সেটির দাম ৩৫০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা আছে। এক একটি ৩৫ টাকা পিচ।
জিংবি ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
কোন কিছুর ভালো দিক থাকলে এর খারাপ দিক রয়েছে। তেমনি ওষুধের ভালো গুনাগুন থাকলেও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো সব ক্ষেত্রে কার্যকর না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি কার্যকর। যদি কোন ভুল ভাল ভাবে জিংক বি ট্যাবলেট যেকোনো ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এমনকি বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ।তাই জিংক বি ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানব।
- পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে অর্থাৎ পেটে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন বমি ভাব ডায়রিয়া অথবা হালকা পেট ব্যথা এরকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এগুলো বড় ধরনের সমস্যা না। এগুলো অস্থায়ী সমস্যা না।
- মাথাব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। যদি অধিক পরিমাণে খেয়ে নাওয়া হয় তাহলে মাথা ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিন্তু একটি কথা বললেই নয় সেটি হল কোন কিছু যদি খান এবং সেই খাবারে যদি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে তাহলে সেই খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন।
- যাদের প্রচন্ড পরিমাণে এলার্জি শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন। কারণ কারো কারো ক্ষেত্রে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি সমস্যা তৈরি হয়েছে।
তাই আরো ভালো পরামর্শ পেতে হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়?
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে মোটা হয় কিনা তা আমরা এখন বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। কারণ বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারছি। যা আপনার সামনে এখন উপস্থাপন করব। কয়েকটি গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। কিন্তু হালকা পরিমাণে ওজন বাড়তে পারে।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি লম্বা হয়?
এখন আমরা জানবো যে জিং বি ট্যাবলেট খেলে কি লম্বা হয়? এর উত্তরে আমরা বলব যে লম্বা সম্ভাবনা আছে।কারণ বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতিতে লম্বা না হতে পারে । তাই ভিটামিন জিংক বি এতে রয়েছে পুষ্টি এবং জিংক যা হাড় বুদ্ধি বিকাশ ইত্যাদি দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যারা ছোট টাইপের আছেন তারা জিংক বি ট্যাবলেটই খেতে পারে। এবং এই ট্যাবলেট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই খাওয়া উচিত না।
আরো পড়ুন = নাপা সিরাপের উপকারীতা ও অপকারীতা জেনে নিন।
গর্ভ অবস্থায় স্তন্যদান কালে খাওয়া যাবে কি।
এটি যে কোন অবস্থায় খাওয়া যাবে। এটি চিকিৎসকের নির্দেশন মেনে খেলেই হবে।
জিং বি ট্যাবলেট কাদের খাওয়া উচিত?
যাদের শরীরের জিংকের অভাব রয়েছে তাদেরকে বিশেষ করে জিংক বি খেতে হবে। বা সিরাপ রয়েছে সেগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। এগুলোর অন্যতম ভালো দিকগুলো হচ্ছে যে যাদের অলসতা ভাব আছে তাদের অলসতা ভাব দূর করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিংক বি ট্যাবলেট এবং এগুলো বিভিন্ন বয়সের মানুষই খেতে পারে। শিশুদের পুষ্টি বৃদ্ধি করতে এবং ব্রেনের বিকাশ বৃদ্ধি করতে এবং হাড় মজবুত দাঁত মজবুত করতে ইত্যাদি কাজে জিংক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়ে থাকে।
জিংক বি ওষুধটি দেয়া হয়ে থাকে কারণ এ ওষুধটি খাবার ফলে বয়সের ছাপ দূর হয়
নিন্দ্রা সমস্যা এবং বমি বমি ভাব ঘন ঘন চর্মরোগ ইনফেকশন এর মত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই একজন ভালো চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত।
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে জিংক বি ট্যাবলেটের উপকারিতা কাজ খাওয়ার নিয়ম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে সকল ধরনের তথ্য পেয়ে গেছেন। আর একটি বিষয় হল যে কোন ওষুধ চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। য দি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। কারন আমার একটা শেয়ারে দশজন জানতে পারবে। ধন্যবাদ।