জান্নাতের হুরদের নাম -জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে ২০২৪

জান্নাতের হুর দের নাম সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে জানাতে হুরদের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে যাদের জান্নাতের হুরদের নাম জানার ইচ্ছা জাগে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি জানার ইচ্ছে জাগে। যদি আপনারা জান্নাতের হুর দের নাম জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে । নয়তো কোন ভাবে জান্নাতে হুর নাম জানতে পারবেন না। জান্নাতের বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পেরেছি যে জান্নাতের হুর এক জনের সঙ্গে ৭০ টি করে থাকবে। চলুন তাহলে কয়েকটি জান্নাতের নাম সম্পর্কে জেনে নি।

জান্নাতের হুর দের নাম।

এখন আমরা জান্নাতের হুর দের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জান্নাতের হুরদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বলেছিল। যেগুলো এখন বর্তমানে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আমরা যারা ইসলাম ধর্ম মানি তারা সকলে জানে যারা জান্নাতি হবে তাদের সঙ্গে ৭০ টি করে হুর পাবে। এটি কোরাআনে এবং হাদিসে বর্ণনা আছে্।

জান্নাতি হুর দের নাম সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু তাদের কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যেগুলো আমরা আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরব। চলুন তাহলে জান্নাতের হুরদের নাম বা ব্যাখ্যা গুলো জেনে নি।

কোরআনে বলা হয়েছে যে তারা হবে অনেক সুন্দরী এবং তা উজ্জ্বল যা পৃথিবীর সকল সুন্দরকে একসঙ্গে করলে তাদের কাছে এরা নিকৃষ্ট মনে হবে।

  • তারা পবিত্র ।
  • তারা হল চিরকুমারী।
  • তারা হলো আনন্দময়।
  •  এবং বিশ্বাসী ।
  • সত্যবাদী ।
  • রমণী।

বর্তমানে বলতে হয় যে, তাদের তুলনায় বর্তমানে পৃথিবীর যদি সকল মেয়েকে বা সুন্দরকে একসঙ্গে করে একটি মেয়ে বানানো হয় তাও হরের কাছে তাদের নিকৃষ্ট মনে হবে।

হাদিসে হুরদের বর্ণনা হযরত মোহাম্মদ (স) যেভাবে দিয়েছেন সেটি হল সে জান্নাতি হুরদের চুল কালো এবং চোখ বড় বড় এবং ত্বক উজ্জ্বল এবং দেখতে রণাময়ী সুন্দরী।

জান্নাতি হুরদের বয়স কত।

আমাদের আজকে জানার বিষয় হল জান্নাতি হুরদের নাম কি? এখন আমরা জানবো যে জান্নাতে হুরদের বয়স কত। 

জান্নাতি হুর পেতে গেলে আমাদেরকে অনেক কিছু করতে হবে। এক কথায় আল্লাহর যত হুকুম আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জান্নাতি হুরদের বয়স কত হবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বলা হয়েছে যে তাদেরকে যুবতী এবং সুন্দরী এবং এদের সতীর্থ আছে। এবং তারা কোনদিনও দুনিয়াতে আসেনি এবং দুনিয়ায় গন্ধ নেই নি। এবং তারা চিরকুমারী যারা জান্নাতি হবে তারাই প্রথম শুধু তাদেরকে ব্যবহার করবে অথবা তারাই দেখবে।

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে?

জান্নাতে হুরদের সাথে কি কি করা যাবে এ বিষয়ে আমাদের অনেক জানার ইচ্ছা বা আকাঙ্খা থাকে। আমরা সকলেই জানি যে আমাদের জন্য এই দুনিয়াতে স্ত্রী জায়েজ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্ত্রীকে আপনি যা করবেন এতে কোন ধরনের গুনাহ হবে না। তাই বলে ফের অন্যভাবে নিয়েন না ।যেমন মারবেন গালি দিবেন এগুলো করা যাবে না। এগুলো গুনার কাজ। কিন্তু আপনি আপনার ইচ্ছা মতন ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুন = মাহবুব নামের অর্থ কি জেনে নিন।

আল্লাহ কুরআনে স্পষ্ট করে এখনো উল্লেখ করেনি যে জান্নাতি হুরদের সঙ্গে কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না। কিন্তু একটি বিষয়ে স্পষ্ট আছে সেটি হল আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যা করেছেন হুরদের সঙ্গে তাই করতে পারবেন।

এবং আপনার সঙ্গে একসাথে 7০ টি হুর থাকবে। এবং সেগুলো দুনিয়ার সবথেকে সুন্দরী গুলোকে যদি একসঙ্গে করা যায় তাদের শরীরের ময়লার মতো হবে না তারা। তাহলে ভাবেন হুর কত সুন্দর। আশা করি আপনার মনে যত হুর নিয়ে প্রশ্ন ছিল কমবেশি প্রায় বুঝতে পেরেছেন।

জান্নাতের পাখির নাম।

এখন আমরা জান্নাতের পাখির নাম গুলো জানব। কিন্তু জান্নাতি পাখি অনেকগুলো রয়েছে কিন্তু আমরা এখন মাত্র কয়েকটি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যেগুলো জানলে আপনার মনে একটি প্রশান্তি সৃষ্টি হবে। যারা জান্নাতি হবে তারা অনেকগুলো পাখি আকাশের উপর দিয়ে উড়ে যাবে তখন তারা যেটা খাবার ইচ্ছে মনে করবে  সেটি তার সামনে রান্না হয়ে চলে আসবে। সুবহানাল্লাহ। চলুন তাহলে জান্নাতের পাখির নাম গুলো জেনে নি।

আরো পড়ুন = আবির নামের অর্থ কি জেনে নিন।

আল কুরআনের মধ্যে আমরা অনেকগুলো পাখির নাম পাওয়া যায় নি। মাত্র কয়েকটি নাম পাওয়া গেছে । তার মধ্যে একটি হল হুদহুদ পাখি। এটি হলো জান্নাতের একটি পাখি। এটি মূলত সুলাইমান আলাই সাল্লাম এর সকল ধরনের খবর দেওয়া করত। কারণ হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম তিনি পাখিদের ভাষা এবং সকল পশু পাখিদের ভাষা বুঝতেন।

জান্নাতের ফুলের নাম।

ফুল এই জিনিসটি আমাদের সকলেরই মন মুগ্ধ করে। এবং এই ফুলের সৌন্দর্যটা এত বেশি যা বলে বোঝানো যাবে না।এই ফুলের সৌন্দর্য মন মাতানো বা পাগল করে দেওয়ার মত। আমরা সকলেই জানি সবুজ গাছপালা ফুল দিয়ে সাজানো থাকবে। এবং তার মাঝখান দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত হবে। এবং ঝরনা গুলো অনেক সুন্দর এবং ঝলমলে। জান্নাতি ফুলের নাম হলো আফফান। জুনাইরা। মরিয়ম। জুনাইরা। এগুলো হলো জান্নাতি ফুলের নাম।

জান্নাতের নদীর নাম।

জান্নাতে নদীর নাম সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত তুলে ধরব। আমরা সকলেই যদি একটু চিন্তা ভাবনা করি তাহলে জান্নাতের নদীর নাম সম্পর্কে জেনে যেতে পারবো। জান্নাতের নদীর নাম মূলত কয়েকটি রয়েছে। জান্নাতের নদীর নাম একটি হল ফুরাত নদী। আমরা সকলেই জানি যে ফুরাত নদীর সরাসরি জান্নাত থেকে প্রভাবিত এবং আরেকটি হচ্ছে কাউসার ।এগুলো প্রচুর পরিমাণে বরকত এবং কল্যাণ মই নদী।

জান্নাতের খাবারের নাম

আমরা কুরআনে বা কোথাও তেমন কোন খাবারের কথা পাইনি। কিন্তু আমরা মনে করছি যে আমাদেরকে গরুর মাংস দিয়ে এবং অন্যান্য খোরমা পোলাও ইত্যাদি বিরিয়ানি যে খাওয়ানো হবে কিন্তু এগুলো না। আল্লাহ তা'আলা বলেন যে আমি তাদের পছন্দ মত তারা যা খেতে চাইবে অর্থাৎ পাখির গোশত দিয়ে তাদেরকে আপ্যায়ন করব। এই কথাটি সূরা ওয়াকিয়ায় রয়েছে।

জান্নাতীদের প্রথম খাবার কি।

জান্নাতীদের প্রথম খাবার কি হবে? তা আমাদের সকলেরই জানা আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিষয়টি জানা নেই। জান্নাতের প্রথম খাবার হবে মাছের কলিজা। আমরা সকলেই জানি মাছের কলিজা কত পরিমাণে স্বাদ। আর সেটা যদি জান্নাতের মাছের কলিজা হয় তাহলে কি পরিমাণ স্বাদ হবে যা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

উপসংহার

আজ আমরা এ আর্টিকেলের মধ্যে জান্নাতের হুরের নাম এবং জান্নাতি হুর দের সাথে কি কি করা যাবে ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এবং আমরা বলেছি যে জান্নাতিদের প্রথম খাবার কি হবে এবং জান্নাতের খাবারের নাম কি এবং জান্নাতে নদীর নাম কি এবং জান্নাতে ফুলের নাম কি এ সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url