যোগ্যতা কাকে বলে? যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য লিখ?

 যোগ্যতা কাকে বলে এবং যোগ্যতা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা যোগ্যতা কাকে বলে এবং যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। তারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে তাহলে তাদের যোগ্যতা কাকে বলে এবং যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য জানতে পারবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য কাকে বলে জেনে নেওয়া যাক।

যোগ্যতা কাকে বলে?

যোগ্যতা বলতে আমরা বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞান দক্ষতা অভিজ্ঞতা সিদ্ধান্ত নেতৃত্ব এবং যোগাযোগ দক্ষতা এবং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝায়। এবং এর মধ্য দিয়ে যোগ্যতা প্রকাশ পায়।

যোগ্যতা হল কোন জিনিস যদি অর্জন করে যেমন জ্ঞান দক্ষতা এবং অন্যান্য ইত্যাদি কিছু এবং সেই দক্ষতা আর জ্ঞানকে যদি কাজে লাগিয়ে কোন কিছু করতে পারেন তাকেই যোগ্যতা বলা হয়।

আরো পড়ুন = মল্যায়ন কাকে বলে এবং কত প্রকার জেনে নিন।

যোগ্যতা হলো একটি নির্দিষ্ট দিক। যদি আপনি সে দিকটি ভালোভাবে ফলো করতে পারেন এবং সেই জ্ঞান দক্ষতা ইত্যাদি কে অর্জন করতে পারেন তাহলে তাকে যোগ্যতা বলা হয় এবং একজন যোগ্য হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের সাধারণ জ্ঞান দৃষ্টিভঙ্গি এবং এগুলো না থাকলে কোনভাবেই যোগ্যতা অর্জন করা যাবে না। তাই যোগ্যতা অর্জন করার জন্য এগুলো আবশ্যক।

শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্যতা কি?

শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্যতা কি এগুলো আমাদের অনেক সময় পরীক্ষায় পড়ে বা কোশ্চেনে পড়ে থাকে। তাই আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্যতা কি তা জানা প্রয়োজন। শিক্ষাক্ষেত্রে যোগ্যতা বলতে বোঝানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী কক্ষ পার হয়ে অর্থাৎ পড়ালেখা করে যে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছেন এবং সেই দক্ষতা  কাজে লাগাতে পারলে তাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে  যোগ্যতা বলা হয়।

যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য কি?

যোগ্যতার বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে বোঝানো যায়। যেমন জ্ঞান দক্ষতা অর্থাৎ যে কাজ করবেন সে কাজের উপর ভালোভাবে ধারণা নেয়া অভিজ্ঞতা, সমস্যার সমাধান, করা এবং যোগাযোগ দক্ষতা স্পষ্টভাবে এবং নেতৃত্ব দেওয়া। যোগ্যতার মধ্যে একটি নেতৃত্ব দেওয়া এটি এটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এটি যোগ্যতার মধ্যেই পড়ে। এবং শিখনশীলতা ও নতুন নতুন কোন কিছু তৈরি করা এবং তার উপরে ভালোভাবে জ্ঞান থাকা একটি যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য বলে মনে করা হয়।

যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য অনেক রয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাদের সামনে বেশ কয়েকটি তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এগুলো ভালোভাবে গুছিয়ে লিখতে পারেন তাহলে ১০ নাম্বারে, ১০ নাম্বারেই পাবেন।আশা করি যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য কি তা জানতে পেরেছেন।

যোগ্যতা কেন প্রয়োজন?

সফল অর্জন করার জন্য যোগ্যতা অতি প্রয়োজন। কারণ একজন সফল ব্যক্তির কোনদিন যোগ্যতা ছাড়া সফল হতে পারবে না। যেমন জ্ঞান দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে সে একজন যোগ্য ব্যক্তি হয়েছে। এবং তার আত্মার প্রতি বিশ্বাস এবং নিজেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবং সম্মান অর্জনের জন্য অতি প্রয়োজন। যদি আপনার যোগ্যতা না থাকে তাহলে কোনভাবেই সম্মান পাবে না। উদাহরণস্বরূপ একজন বিসিএস ক্যাডার তার মূল্য অনেক পরিমানে এবং একজন কনস্টেবল এর মূল্য তেমন কোন নেই তাই সম্মান অর্জনের জন্য যোগ্যতা অতি প্রয়োজন। এবং দক্ষ সমাজ গঠনের জন্য যোগ্যতা অতি প্রয়োজন বলে মনে করা হয়।

যোগ্যতার ১০ টি প্রয়োজনীয়তা।

  • সম্মান অর্জনের জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন ।
  • সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন ।
  • দক্ষ সমাজ গঠনের জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন ।
  • দেশের অর্থনীতি উন্নতি করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন ।
  • জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন।
  • নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন।
  •  অভিজ্ঞ হওয়ার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন।
  •  সফলতা অর্জনের জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন।
  •  নিজের প্রতি বিশ্বাস অর্জনের জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন ।
  • জীবনযাত্রার মান ভালো করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন।

যোগ্যতা কত প্রকার?

যোগ্যতা কত প্রকার সেটি বলা অসম্ভব। কারণ একটি নির্ধারিত শ্রেণীবদ্ধ না হলে কোন ভাবে যোগ্যতা কত প্রকার বলা যাবে না। যোগ্যতা হল..

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা 
  • পেশাগত যোগ্যতা
  •  ক্যারিয়ার গত যোগ্যতা 
  • মানুষের যোগ্যতা 
  • সামাজিক যোগ্যতা 
  • আবেগীয় যোগ্যতা
  •  বয়স যোগ্যতা 
  • নেতৃত্ব যোগ্যতা 
  • সামাজিক যোগ্যতা 
  • মানসিক যোগ্যতা 

আর ইত্যাদি ধরনের যোগ্যতা রয়েছে। তাই যোগ্যতা কত প্রকার সেটি বলা অসম্ভব বলে মনে করা হয়।

যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম কাকে বলে?

যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম কাকে বলে তা আমাদের জেনে থাকা উচিত। শিক্ষা করা হল কোন শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীরা কি শিখবে এবং কি শিখাবে এবং এর প্রশ্ন খুঁজে বের করা হলো যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম।

যেমন একজন শিক্ষার্থীর লক্ষ্য স্পষ্ট নির্ধারণ করা উচিত এবং যোগ্যতা নির্ধারণ করা উচিত। যোগ্যতা নির্ধারণ করার জন্য আপনাদেরকে জ্ঞান দক্ষতা আচার-আচরণ গুলো ঠিক করতে হবে এবং মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের পড়ার একটি মূল্যায়ন করতে হবে। বাস্তব জীবনের সাথে কিছু মিল রেখে বাস্তব জ্ঞান প্রয়োগ করতে হবে। যেন শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।


এবং শিক্ষার্থীদের শিখাতে হবে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি কিভাবে করতে হয় এবং শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়বস্তু শিখাতে হবে। যদি এগুলো ঠিকভাবে করা হয় তখনই তাকে যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম বলে।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে যোগ্যতা কাকে বলে এবং যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য এবং যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা ক্রোম কাকে বলে সে সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরেছি। এবং তার সঙ্গে যোগ্যতা কত প্রকার তা তুলে ধরেছি। এবং যোগ্যতা কেন প্রয়োজন এটা আপনাদের সামনে উল্লেখ করেছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন। আর যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । কারণ আপনি যদি উপকৃত হতে পারেন তাহলে তার উপকার করেন এতে করে আপনার যোগ্যতার একটি ধাপ অবলম্বন করা হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url