সর্দির ট্যাবলেট এর নাম স্কয়ার-বাচ্চাদের সর্দির ঔষধ এর নাম
সর্দির ট্যাবলেট এর নাম স্কয়ার - বাচ্চাদের সর্দির ওষুধের নাম সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। যদি আপনারা সর্দি ওষুধের নাম গুলো জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। চলুন সর্দির ওষুধের নাম জেনে নি।
সর্দি মূলত এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি তেমন কিছু না । এটি প্রতিনিয়ত কারো হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। কিন্তু প্রায় কম বেশি সকলের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এবং বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সর্দির সমস্যাটাই বেশি দেখা দেয়। চলুন তাহলে সর্দির ট্যাবলেটের নাম এবং বাচ্চাদের সর্দির ওষুধের নাম জেনে নেয়া যাক।
সর্দি কেন লাগে?
- সর্দি কেন লএগ এটি আমাদের জেনে থাকা উচিত। কারণ সর্দি মূলত বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে যে সর্দির জন্য প্রায় ৯০+ ভাইরাস দায়ী । এই ভাইরাস গুলো যখন সংক্রমণ ছড়ায় তখন সর্দি লাগে । তার মধ্যে একটি ভাইরাসের নাম হলো রাইনো ভাইরাস ।এই ভাইরাসটি কঠিন মারাত্মক । বিশেষ করে সকল বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটি সংক্রমণ করে তাহলে প্রচুর পরিমাণে সর্দি লাগতে পারে।
- এ ভাইরাসটি সংক্রমণ হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে। যেমন হাচি -কাশি স্পর্স ইত্যাদির কারণে এ ভাইরাসটি সংক্রমণ ছড়ায়। এবং যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি পরিমাণে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি কম দেখা দেয়।
- ঠান্ডা জনিত সমস্যার জন্য সর্দি লাগতে পারে। এবং এলার্জি জনিত সমস্যার জন্য সর্দি লাগতে পারে। অর্থাৎ যদি কেউ হঠাৎ করে ফ্রিজের পানি খেয়ে ফেলে তাহলে তার সর্দি হতে পারে। এমনকি যাদের বাতাসে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের সর্দি হতে পারে, সেই বাতাসের সংস্পর্শে এলে।
- আরো অন্যান্য কারণে হতে পারে। যদি আপনার এই সর্দি প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি হয়ে থাকে তাহলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সর্দির ট্যাবলেট এর নাম স্কয়ার
এখন আমরা সর্দির ট্যাবলেটের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যেগুলো খাবার পরে সর্দি দূর হতে পারে। কিন্তু এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। যেভাবে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিবে সেভাবে ওষুধটি ব্যবহার করতে হবে। চলুন তাহলে স্কয়ার কোম্পানির সর্দি ট্যাবলেট এর নাম জেনে নেই।
Carve(75)
Cinaron
Cefotil plu
Cefotil (250)
বাচ্চাদের সর্দি ওষুধের নাম।
বাচ্চাদের সর্দির ওষুধের নাম সম্পর্কে আমরা এখন তুলে ধরব। এবং বাচ্চাদের সর্দির সিরাপ সম্পর্কে তুলে ধরব। যার মধ্য দিয়ে আপনার বাচ্চার সর্দি ভালো করতে পারবেন। চলুন তাহলে কোন কোন সিরাপ এবং কোন কোন ওষুধ খেলে সর্দি ভালো হয় তা জেনে নিই।
বাসক
কিটমার
মধুভাস
টোটি
![]() |
টোটি |
বাচ্চাদের সর্দি ঔষধ এটি মূলত তার বয়সের উপর নির্ভর করবে। এবং তার ওজনের ওপর নির্ভর করবে। তাকে কি ধরনের ওষুধ দেওয়া হবে।
নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট।
বর্তমানে এখন বাজারে বা ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের নাকের সর্দি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। অর্থাৎ যদি আপনার সর্দি লাগে তাহলে সেই অথবা ড্রপ ব্যবহার করলেই সর্দি নিমিসেই দূর হয়ে যায়। চলুন তাহলে নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এর নাম গুলো জেনে নি।
Dslor
O cof
Adovas
Ambrox (75)
Hiestchin
ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম।
ঠান্ডার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম সম্পর্কে আমরা এখন তুলে ধরব। কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয় সেটি হল আমরা যখন তখনই অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেটটি খেয়ে ফেলি। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি আমাদের মধ্যে যেসব ভালো ভাইরাস রয়েছে সেসব ভাইরাসও মারা যায়। অর্থাৎ খারাপ ভাইরাসকে মারতে গিয়ে ভালো ভাইরাস মারা যায় এর ফলে রোগ প্রতিরো ক্ষমতা কমে যায়।
সেফটাম ৫০০ এম জি।
ফোরু ৫০০ এম জি।
ফারবে ৫০০ এম জি।
এখন আমরা বাচ্চাদের সর্দির সিরাপ এর নাম বলব। কারণ বাচ্চারা ওষুধ খেতে পারে না সে ক্ষেত্রে তাদেরকে সিরাপ খাওয়াতে হয়। বাচ্চাদের সর্দিরি সিরাপ গুলো আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন। যেমন
ট্রফেন।শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি কোন বাচ্চা ঠাণ্ডা বা সর্দি লেগে থাকে তাহলে ট্রফেন সিরাপটি ব্যবহার করা হয়।
তুলসি সিরাপ:
তুসকা প্লাস সিরাপ
এই সিরাপ গুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় কি?
বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় কি এটি আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত। আমরা একটি ভুল কাজ করে থাকি সেটি হল বাচ্চা যদি কিছু হয় তাহলে দ্রুত যেকোনো ওষুধ খাওয়াতে থাকে। এটি একদম ভুল কাজ। যদি আপনার সন্তানের সর্দি লাগে তাহলে আপনার আগে প্রাকৃতিকভাবে সর্দি ভালো করার চেষ্টা করবেন। যদি না হয় তাহলে আপনারা একটি ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। চলুন তাহলে বাচ্চাদের সর্দি হলে কি কি করনীয় তা জেনে নিন।
- বাচ্চাদেরকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। এবং এ পানিটি হতে হবে কমপক্ষে 20 মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর খাওয়াতে হবে । এ পানি খাওয়ার ফলে শরীরের মধ্যে যেসব ভাইরাস রয়েছে সেগুলো সর্দির মধ্য দিয়ে দ্রুত বের হয়ে আসবে। এবং সর্দি দ্রুত ভালো হবে।
- হালকা পরিমাণে লবণ জল আপনারা ঠোঁটের মাথায় অথবা সর্দির আশপাশে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে জীবাণুন ধ্বংস হবে এবং সর্দি দ্রুত ভালো হবে।
- একটি বিষয় দিকে খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল মা যেন পানি ব্যাবহার কমিয়ে আনে এবং ফ্রিজের কোন জিনিস না খায়। যদি খায় তাহলে বাচ্চার সর্দি আরও বেড়ে যেতে পারে।
- এবং চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। যদি বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রয়েছে যেগুলো আটক করতে পারবে না।
সর্দি ভালো করার ঘরোয়া চিকিৎসা
সর্দি ভালো করার জন্য যেসব ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে তা আমরা আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরব। যেগুলো আপনারা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
- আমরা গ্রামাঞ্চলে অনেক তুলসী পাতার গাছ দেখে থাকি। সেই তুলসী পাতা যদি ভালোভাবে বেটে তার সঙ্গে কয়েক ফোটা মধু দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানো যায় এক চামচ পরিমাণ করে তাহলে দ্রুত ঠান্ডা সর্দি কাশি ইত্যাদি দূর হবে।
- বাচ্চাকে সকাল সন্ধ্যা গরম সরিষার তেল মাখাতে হবে। অর্থাৎ সেই সরিষার তেলটি কুসুম কুসুম গরম করে নিতে হবে। যেন বাচ্চার কোন সমস্যা না হয়। এগুলো কিছুক্ষণ বুকে মালিশ করা যায় তাহলে সর্দি আস্তে আস্তে দূর হবে। এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হবে।
- আপনার বাচ্চার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে কালোজিরার রস করে খাওয়াতে পারেন। সেটি অল্প পরিসরে ।এবং তার সঙ্গে আদা মিক্স করে খাওয়াতে পারেন।
যদি আপনার এসব উপায়ে কোন কাজ না হয় তাহলে একটি ভালো ঠান্ডা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ।
ঘন ঘন সর্দি লাগা এটি বিভিন্ন সমস্যা লক্ষণ হতে পারে। যেমন এটিই এলার্জির লক্ষণ হতে পারে। কারণ ঠান্ডা জনিত যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের যদি বাতাসের সংস্পর্শে এলার্জি থাকে তাহলে দ্রুত সর্দি লেগে যাবে। এবং ঠান্ডা তে যদি তাদের এলার্জি থাকে তাহলে ঠান্ডা লাগলে দ্রুত সর্দি পড়বে। এবং বিশেষ করে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায় তাহলে দেখা দিতে পারে অর্থাৎ যদি আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায় তখন দ্রুত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করবে।
সর্দির সবচেয়ে ভালো ওষুধ।
সর্দির সবথেকে ভালো ওষুধের নাম হল।
Histacin
Flamex(400)
Mefril
Feto (66)
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেল আমাদের সর্দির ট্যাবলেটের নাম স্কয়ার এবং বাচ্চাদের সর্দির ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। যদি আপনারা এই অনুচ্ছেদটি পড়ে থাকেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আরেকটি কথা সবসময় মনে রাখবেন যে কোন ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই খাবেন না। এবং যে ওষুধটা ভালো হবে সে ওষুধটা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত। যদি আপনি উপকৃত হতে পারেন তারা অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ।