মূল্যায়ন কাকে বলে? - মূল্যায়ন কত প্রকার ও কি কি

 মূল্যায়ন কাকে বলে এবং মূল্যায়ন কত প্রকার ও কি কি? যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলে আপনাকে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে মূল্যায়ন কাকে বলে এবং মূল্যায়ন কত প্রকার তা জানতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

আমাদের সমাজে এখন অনেক বেকার মানুষ ঘুরে। তাদেরকে কোনভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। এমনকি অনেক মানুষ রয়েছে যারা সবদিক দিয়ে যোগ্য কিন্তু তারা সঠিক মূল্যায়ন পায় না। এজন্য যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। তাই আমরা আজ বলবো মূল্যায়ন কাকে বলে এবং মূল্যায়ন কত প্রকার কি কি? জানতে হলে পড়তে হবে তাহলে একটি ভালো জ্ঞান পাবেন।

মূল্যায়ন কাকে বলে ?

  • মূল্যায়ন হলো কোন কিছুর গুণগত পরিমাণগত মাত্রা নির্ধারণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় হলো মূল্যায়ন ।
  • এবং যদি এটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বলতে যাই তাহলে সে ক্ষেত্রে হয় শিক্ষাগত লক্ষ কতটা অর্জন করতে পেরেছেন তা নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় হচ্ছে মূল্যায়ন বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
  • মূল্যায়নের ধরন অনেক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো গঠনমূলক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির পর্যবেক্ষণ করাকে বোঝায়।
  • সাপ্তাহিক মূল্যায়ন অর্থাৎ কোন শিক্ষার্থী শেষে ফলাফল মূল্যায়ন করাকে বুঝায়।
  • অভ্যন্তরী মূল্যায়ন অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে যেসব মূল্যায়ন করা হয় তাকে অভ্যন্তরী মূল্যায়ন বলে।
  • বৈবাহিক মূল্যায়ন এটি মূলত হল যদি আপনি শিক্ষা ছাড়া কোন মানুষের দ্বারা বা কোন কিছুর দ্বারা যদি আপনাকে মূল্যায়ন করা হয় তাহলে তাকে বৈবাহিক মূল্যায়ন বলে।

মূল্যায়ন কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

মূল্যায়ন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ শিক্ষার্থীদের শিখন উন্নত করার জন্য অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত। যদি কোন শিক্ষার্থী কোন কিছু শিখতে চাই এবং সেটিক যদি মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে তার সেই কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে না, বা সেই পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়বে না। তাই শিক্ষার্থীদের শিখন উন্নত করার জন্য মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে উৎসাহিত করে অর্থাৎ উন্নত মানের পাঠদান করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ মূল্যায়ন। মূল্যায়ন ছাড়া কোনভাবে শিক্ষার্থীরা উন্নত মানের পাঠদান কখনোই করতে পারবে না।

শিক্ষাক্রম উন্নত করতে মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরী।

শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করতে মূল্যায়ন প্রয়োজন। কারণ যদি আপনি একটি যোগ্য ব্যক্তিকে তার শিক্ষার মূল্যায়ন না দেন তাহলে কোনভাবেই শিক্ষাক্রম উন্নত দিকে যাবে না। তাই শিক্ষাক্রম উন্নত করতে গেলে একটি ভালো মেধাবী এবং সকলকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করতে হবে।

মূল্যায়ন কত প্রকার ও কি কি ?

শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্যায়ন মূলত দুই প্রকাররে বিভক্ত করা হয়েছে।

  • ধারাবাহিক মূল্যায়ন
  • চূড়ান্ত মূল্যায়ন।

এটি মূলত শিক্ষাকেদের জন্য দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

  • ধারাবাহিক মূল্যায়ন হলো শিক্ষার্থীদের কোন কিছু শেখার অগ্রগতি বা পর্যবেক্ষণ করার আগে মূল্যায়ন বোঝায়।
  • শিক্ষার্থীদের কোন কিছু শেখার জন্য বা তথ্য আদান-প্রদান কিভাবে করে এটা শিখানোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বলে।
  • শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নত করার জন্য ধারাবাহিক মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরী।
  • শিক্ষার্থীদের শিখার মান উন্নত করতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি।

চূড়ান্ত মূল্যায়ন।

  • চূড়ান্ত মূল্যায়ন হলো কোন কিছু শিক্ষার্থীরা শিখেছে এবং সেই শিখা ফলাফল গুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।
  • এবং শিক্ষার্থীরা কি শিখেছে এবং কতটা শিখিয়েছে তা মূল্যায়ন করা।
  • এবং পরবর্তীতে শ্রেণি বা ইস্তান ধাপে ধাপে উপরে নিয়ে যায় হচ্ছে চূড়ান্ত মূল্যায়ন ।

পরিমাপ ও মূল্যায়ন কাকে বলে?

পরিমাপ মূল্যায়ন এ দুটি ভিন্ন ধরনের এবং এটি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জড়িত রয়েছে।

পরিমাপ 

  • কোন কিছুর পরিমাণ করাকে সঠিক পরিমাণ করার প্রক্রিয়াকে মূল পরিমাপ মূল্যায়ন বোঝায়।
  • সংখ্যা মান ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশ করা কে পরিমাপ মূল্যায়ন বোঝায়।

উদাহরণস্বরূপ হল ধরেন একটি শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষায় সে একটি নাম্বার পায় এবং সেটি অংক থেকে সেটি একটি পরিমাপ এবং একজন খেলোয়ার কতক্ষণ দৌড় আছে এ সময়টি নির্ধারণ করা একটি পরিমাপ। এক টি বইয়ের পৃষ্ঠা যদি উল্টানো যায় তাহলে অনেক সংখ্যক পাতা দেখতে পাওয়া যায়। সেটি একটি পরিমাপের মধ্যে পড়ে।

মূল্যায়ন

  • আমরা তো জানি মূল্যায়ন কোন কিছুর মান পরিমাণগত মাত্রায় নির্ধারণ করাকে মূল্যায়ন বোঝায় এবং পরিমাপের ফলাফল গুলো ব্যাখ্যা করে বিশ্লেষণ করে বের করাই হলো মূল্যায়ন।
  • উদাহরণস্বরূপ যদি কোন শিক্ষার্থী সে গণিতে একটি প্রাপ্ত নাম্বার পায় এবং সেই নাম্বার যদি যথাযথভাবে দেওয়া হয় এবং একজন দক্ষ শিক্ষক দ্বারা সেই নাম্বারটি দেওয়া হয় তাহলে তা যথাযথ মূল্যায়ন হবে।

অভ্যন্তরী মূল্যায়ন কাকে বলে ?

অভ্যন্তরী মূল্যায়ন কাকে বলে

অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বলতে আমরা বুঝি কোন শিক্ষক অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃত শ্রেণিকক্ষে নিয়ম ভিত্তিতে শিক্ষাদীদের পড়ালেখা বা তাদের পড়ানোর ও লেখার মান পর্যবেক্ষণ করাই হলো অভ্যন্তরী মূল্যায়ন।

অভ্যন্তরী মূল্যায়ন এর উপকারিতা কি ?

অভ্যন্তরী মূল্যায়নের উপকারিতা কিছু রয়েছে যেমন..

  • শিক্ষার্থীদের শেখার মান কতটা ভালো হয়েছে তা নির্ধারণ করা।
  • এবং শিক্ষার্থীরা কোন দিক থেকে দুর্বল বা কি কারণে দুর্বল পড়ালেখার দিকে তা চিহ্নিত করা।
  • এবং শিক্ষকরা যখন শিক্ষার্থীদের পড়াবে তখন শিক্ষকের পড়ানোর মানটি উন্নত করা।
  • এবং শিক্ষাক্রম আগের থেকে তার মান উন্নত করা।

অভ্যন্তরী মূল্যায়ন এর গুরুত্বপূর্ণ দিক ।

অভ্যন্তরে মূল্যায়নের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। সেই দিকগুলো আপনারা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থেকেন। অভ্যন্তরে মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো দেখে নিন...।

  • শিক্ষার্থীদের কোন কিছু শেখার মান উন্নত করার জন্য সাহায্য করে।
  • এবং শিক্ষকদের পাঠদান করার মান উন্নত করার জন্য অভ্যন্তরে মূল্যায়ন সাহায্য করে।
  • শিক্ষাক্রম এর মান উন্নত করার জন্য অভ্যন্তরী মূল্যায়ন অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
  • শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করার জন্য মূল্যায়ন কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা।

শিক্ষাক্ষেত্রে বা যে কোন ক্ষেত্রে মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। কারণ শিক্ষার্থীদের শেখার মান কতটা উন্নত হয়েছে এবং কার্যকর হয়েছে তা নির্ধারণ করা এটি অপরিহার্য। কোন শিক্ষার্থী যদি কোন কিছু শিখে এবং তা যদি নির্ধারিত ভাবে মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে সেটি অন্যরকম বিষয়ে দাঁড়ায় বা তার শিক্ষার কোন মূল্যায়ন দেওয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান পরীক্ষা করা বা মূল্যায়ন করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় । আমরা এখন মূল্যায়নের কিছু প্রয়োজনীয়তা নিচের দিকে উল্লেখ করব। চলুন তাহলে মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  1. শিক্ষার্থীরা কি শিখছে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা বা মূল্যায়ন করা।
  2. শিক্ষার্থীরা কোন জায়গায় দুর্বল বা কোন কাজে পারছে না তা চিহ্নিত করা।
  3. এবং শিক্ষার্থীদের যে শিক্ষক শেখাবে এবং পাঠদান এর মান উন্নত করা।
  4. শিক্ষকদের শেখানোর দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
  5. এবং একজন শিক্ষককে তার পাঠদানের কার্যক্রম গুলো সুন্দর করা।
  6. এবং যদি একজন শিক্ষক পাঠদানে দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে তার উন্নতমানের শিক্ষা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  1. কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শেখাতে কিনা তা নির্ধারণ করা বা পর্যবেক্ষণ করা।
  2. শিক্ষার্থীরা কি চায় সেটি নির্ধারণ করে তাদের চাহিদা পূরণ করা।
  3. শিক্ষাক্রম আরো উন্নত এবং আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  4. শিক্ষাক্রম সময় সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা নতুন নতুন এবং ভালো ভালো নিয়ম চালু করা।
  5. শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  6. শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত করা।
  7. প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রস্তুত করা।
  8. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো অর্থাৎ একটি শিক্ষার্থীকে কিভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে তা বলে দেওয়া বা শেখানো।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে মূল্যায়ন কাকে বলে এবং মূল্যায়ন কত প্রকার কি তা আপনাদের সামনে উল্লেখ করেছি। এবং মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি এবং অভ্যন্তরী মূল্যায়ন কাকে বলে তা বলেছি । যদি আপনার এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে মূল্যায়ন কাকে বলে এবং মূল্যায়ন কত প্রকার কি তা জানতে পারবেন। এবং মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পারবেন । তাই যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে না পড়ে থাকেন তাহলে আবার পড়তে পারেন। আর ভালো লাগলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।যেন অন্যেরা জানতে পারে ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url