কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম -মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
কোমর ব্যথা ট্যাবলেট এর নাম এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরব। জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। তাহলে কোমর ব্যথা দ্রুত ভালো করা যাবে।
আমাদের মত অনেকেই আছে যাদের প্রচন্ড পরিমাণে কোমর ব্যথা করে। এটি বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। এ কোমর ব্যথা দূর করার জন্য অনেকগুলো করণীয় রয়েছে। যেমন ওষুধের মাধ্যমে কোমর ব্যথার দূর করা যায় বা ট্যাবলেট এর মাধ্যমে কোমর ব্যথা দূর করা যায়। এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে কোমর ব্যাথা দূর করা যায়। এবং ঘরোয়া ভাবে কোমরের ব্যথা দূর করা যায়। সব থেকে বেশি ভালো হয় যদি আপনি ঘরোয়া ভাবে কোমরে ব্যথা দূর করেন। তাই আমরা এখন কোমর ব্যথা ট্যাবলেট এর নাম এবং কোমর ব্যাথার সঠিক ওষুধের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এবং কিভাবে ঘরোয়া ভাবে কোমরে ব্যথা দূর করবেন তাও তুলে ধরবো।
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম।
কোমর ব্যথা ট্যাবলেট এর নাম শুধু বলে দিলেই হবে না । কোমর ব্যথা কি কারনে হচ্ছে এবং এর কারণ কি এটি আমাদেরকে জানা লাগবে। যদি এর কারণ না জানি তাহলে কোন ভাবে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট গ্রহণ করা যাবে না। আর একটি কথা প্রথমে বলতে হয় সেটি হল আমরা চিকিৎসক না । আমরা আপনাকে চিকিৎসা দেব না। আমরা হচ্ছি ব্লগার। আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। কিন্তু আপনাদেরকে খেতে বলবো না। কারণ ওষুধ খেতে গেলে অবশ্যই একটা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
- আইবুপ্রোফেন
- নেপ্রোক্সেন
- মাসেল রিল্যাক্সেন্টস
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ।
প্রিয় পাঠক এখন আমরা মহিলাদের কোমর ব্যাথা কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ অনেক মহিলা রয়েছে তাদের কোমরে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয় এই ব্যথাগুলো কি জন্য হয় এবং কি করলে ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিব। যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন। তাহলে মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ জানতে পারবেন।
- মহিলাদের কোমর ব্যথার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেসব কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে তা হল...।
- মাসিকের সমস্যা এ মাসিকের জন্য বিভিন্ন সময় কোমর ব্যাথা করে থাকে। কারণ মানুষের সময় হরমোন পরিবর্তন হয়। সে হরমোন পরিবর্তন হওয়ার ফলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়।
- কিডনির পাথর হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় কোমর ব্যথা করে থাকে। অর্থাৎ কোমরের প্রচুর পরিমাণে টান লাগে যেগুলো সহ্য করা অসম্ভব মনে হয়ে থাকে ।
- অতিরিক্ত ওজন বহন করার ক্ষেত্রেও কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ যারা অনেক ভারী কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে এই কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
- গর্ভাবস্থায় কোমরে ব্যাথা সৃষ্টি হবে হতে পারে। কারণ পেটের দিকে উঁচু হতে থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে। যার ফলে মেরুদন্ড তে চাপ পড়ে এর ফলে কমর ওপিঠ ব্যথা করতে পারে বা টান লাগতে পারে।
- যদি কোনভাবে কোমরে আঘাত পায় সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হতে পারে। যেমন কোন কিছুর আঘাত অথবা কোন ভারী কাজ ইত্যাদি করা হয়ে থাকে তাহলে কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা। দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকা অথবা দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝুকে ঝুঁকে কাজ করা ক্ষেত্রে কোমরে ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে।
- অস্টিওপোরোসিস এই সমস্যার জন্য কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ অস্টিওপোরোসিস সমস্যা যদি হয় তাহলে হাড় দুর্বল হয় এবং কোমরে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
- যাদের গেটে বাত রয়েছে তাদের কোমরে ব্যথা করতে পারে। গেটে বাত বলতে আমরা বুঝি যে মানুষের গিরায় গিরায় যেসব বাত সৃষ্টি হয় তাদেরকেই গেটে বলে।
- কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী মিলনের সময় কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো সম্ভাবনা কম।
মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার।
মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার বিভিন্নভাবে করা সম্ভব। যদি তারা এগুলো সঠিকভাবে মেনে চলে তাহলে মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার দ্রুত করতে পারবে। যদি এই প্রতিকারটি সঙ্গে সঙ্গে না করা যায় তাহলে এটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। তাই মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার জেনে নিন।
- ব্যথা স্থানে হালকা গরম শাক দিতে পারেন এবং তেল মালিশ করতে পারেন।
- বিশ্রাম নিতে পারেন।। যদি আপনারা কোন কাজ করেন তাহলে বিশ্রাম নিবেন।
- কোমর ব্যথা যদি অধিক পরিমাণে হয় তাহলে তার উপর বরফ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মতো রাখবেন।
- একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। যদি কোমর ব্যাথা অতিরিক্ত হয়।
- কোমর ব্যথা না হওয়ার জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেই ব্যায়ামগুলো করতে হবে।
- ভারী কাজ করা যাবে না ।ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কি কারনে ব্যথা করছে তা চিহ্নিত করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করেন। যদি কোন কিছুতে কাজ না হয়।
কোমর ব্যথার সঠিক ওষুধের নাম।
আমরা প্রথমে আপনাকে বলেছি আমরা কোন চিকিৎসক না। কোমর ব্যথার সঠিক ওষুধের নাম আমরা কয়েকটি তুলে ধরব । যেগুলো হালকা ব্যথা হলে মাঝারি ধরনের ব্যাথা হলে সারাতে বেশ কার্যকর। চলুন তাহলে কোমর ব্যাথা সঠিক ওষুধের নাম গুলো জেনে নিই।
- ওভার-দ্য-কাউন্টার
- অ্যাসিটামিনোফেন
- কারিসোপ্রোডোল
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা হয় কেন?
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ সম্পর্কে আমরা তুলে ধরব। যেমন হরমোনের সমস্যা হলে এই কোমর ব্যথা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোন বৃদ্ধি হয় হয় যেমন পজিস্ট্রেশন হরমোন। এ হরমোনটি বৃদ্ধি হওয়ার হলে মেরুদন্ড ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি। যদি আপনার প্রচন্ড পরিমাণে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কোমরের ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এটি কোমরের পরও একটি চাপ সৃষ্টি করে। যার কারণে এই ব্যাথা সৃষ্টি হয়।
- গর্ভাবস্থায় শিশুর অবস্থান কিরূপ আছে সেটি ও নির্ভর করবে কোমর ব্যথা কারণ। গর্ভাবস্থায় যদি শিশুর অবস্থান পরিবর্তন হয় বা পরিবর্তন করে তাহলে সে ক্ষেত্রে কোমরের ওপর একটি চাপ পড়বে অর্থাৎ চাপ সৃষ্টি হবে। সেই চাপের কারণে ব্যাথা তৈরি হতে পারে।
- শারীরিক পরিবর্তনের কারণে গর্ভাবস্থায় কোমরে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থার আগে আপনি ছিলেন 50 কেজি এবং গর্ভাবস্থায় আসার পর আপনি হয়ে গেছেন ৭০ কেজি সেই ক্ষেত্রে এটি একটি কোমরের মেরুদন্ডের উপর একটি চাপ পড়বে। এই চাপের কারণে কোমর ব্যথা সৃষ্টি হবে।
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার লক্ষণ।
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার কিছু লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে। যেমন
- পিঠে টান ধরা পিঠে ব্যথা
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ব্যথা
- দাঁড়ানোর সময় ব্যাথা
- রাতে ঘুমানোর সময় ব্যথা।
মাসিকের সময় কোমর ব্যাথা হয় কেন?
মাসিকের সময় ব্যাথা হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। মাসিকের সময় যে ব্যথা দিয়ে সৃষ্টি হয় তাকে দিস নে নো রিয়া বলে। মাসিকের সময় এই ব্যথাগুলো সকল নারীর ক্ষেত্রে দেখা দেয় এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়ের মধ্যে ধরে।
মাসিকের সময় পোস্টটা গার্ডেন নামক এক ধরনের রাসায়নিক রয়েছে এর কারণে ব্যথা সৃষ্টি হয। এই পোস্টটা গার্ডেন এর কাজ মূলত হল জয়রায়কের সংকুচিত করা অর্থাৎ চিকন করা এবং যখন এই জরায়ুকে চিকন করে তখন কোমর একটি ব্যথা সৃষ্টি হয়।
মাসিকের সময় ব্যাথা হলে করণীয় কি?
আপনারা জানতে চেয়েছেন যে মাসিকের সময় ব্যাথা হলে করণীয় কি? মাসিকের সময় যদি ব্যথা হয় তাহলে বেশ কয়েকটি করনীয় রয়েছে। আপনারা চাইলে এগুলো অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। চলুন তাহলে মাসিকের সময় ব্যাথা হলে করণীয় জেনে নিন।
- হালকা করে তলপেটে গরম সেঁক দিতে হবে।
- ব্যায়াম করতে হবে।
- বিশ্রাম করতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে ।
- সকল ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হব।
এবং এর সাথে কয়েকটি ওষুধ রয়েছে আপনারা চাইলে এই ওষুধগুলো খেতে পারেন। এবং এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে খাওয়া উচিত নয়।
সে ওষুধের নাম হলো
কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ।
কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ এটি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। এটি বিভিন্ন লক্ষণের কারণ হতে পারে যেমন...।
- কোমরের হাড়ের সমস্যার কারণে কোমর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- কিডনির সমস্যার কারণে কোমর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- কিডনিতে পাথর হলে কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
- যদি জরায়ুর কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয়।
- আর্থ্রাইটিস রোগের কারণে কোমর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সকলে জানে আর্থ্রাইটিস এ রোগটি অনেক খারাপ রোগ।
- ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোমরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
- ক্যালসিয়ামের অভাবে কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- আর অন্যান্য কারণে ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে।
- ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কোমর ব্যথা হয়।
আপনারা জানতে চেয়েছেন যে ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কোমর ব্যাথা হয় এর উত্তর হলে হ্যাঁ। যদি আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে আপনার কোমরের ব্যথা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
কোমর ও পিঠ ব্যাথা হলে করণীয় ?
এখন আমরা আলোচনা করব কোমরও পিঠ ব্যথা যদি একসঙ্গে সৃষ্টি হয় তাহলে কি করবেন। আপনারা এর উত্তরই বলবো বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে পারেন। যেমন..।
- প্রথমে আমরা বলতে চাই যে, যদি কোমর ওপিঠ ব্যথা সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই একটি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক খতিয়ে দেখবে আপনার কি সমস্যার জন্য পিঠে এবং কোমরের ব্যাথা সৃষ্টি হয়েছে।
- ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনারা কোমরের ব্যথা দূর করতে পারেন। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত যদি আপনারা ব্যায়াম করেন তাহলে কোমরের ব্যথা দূর হবে।
- কোমরে ব্যথা দূর করার জন্য আপনারা ক্যালসিয়াম খেতে পারেন। কিন্তু ক্যালসিয়াম ওষুধ খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কোমর ব্যাথা করলে ব্যথা নাশক ওষুধ খেতে হবে। এবং এই ব্যাথা ওষুধ নিজে নিজে খাওয়া যাবেনা। একটি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
- এবং পিঠ ও কোমরের ছবি তুলে দেখতে হবে অর্থাৎ এক্সরে করে দেখতে হবে।
কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যদি আপনারা এই উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন তাহলে দ্রুত কোমর ব্যথা ভালো হয়ে যাবে। চলুন তাহলে কোমর ব্যথা ভালো করার উপায় জেনে নেই।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে।
- ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার অধিক পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
- আর্থ্রাইটিস রোগ আছে কিনা তা নির্ণয় করতে হবে। একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
- কোমরে ব্যাথা সৃষ্টি হলে বিশ্রাম নিতে হবে অর্থাৎ ভারী কাজ করা যাবে না।
- ব্যথায় স্থানের উপর হালকা গরম শেক দিতে পারেন।এবং বরফ দিয়ে দিতে পারেন।
- ’একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন
- ওজন বৃদ্ধি হলে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন।
- প্রয়োজনে আপনারা ফিজিও থেরাপি নিতে পারেন।
- এবং ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
কোমর ব্যথার ওষুধের নাম।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোমর ব্যথার ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা চাইলেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারব না। কারণ সেগুলো ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ কি কারনে আপনার কোমর ব্যথা হয়েছে বা কি জন্য আপনার কোমর ব্যাথা সৃষ্টি হয়েছে এগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। আপনি কি ধরনের ওষুধ খাবেন এবং আমরা কিছু কোমর ব্যথার ওষুধের নাম বলব যেগুলো হালকা পরিসরে বা মাঝারি পরিষদের কোমরে ব্যথা দূর করতে পারে। চলুন কমর ব্যাথার ওষুধের নাম জেনে নিন
- অ্যাসপিরিন
- মেটোট্রিক্সেট
কোমর ব্যথার জন্য কোন ডাক্তার দেখাবো।
আপনার এই প্রশ্নটি একদম সুন্দর একটি প্রশ্ন। কোমর ব্যথার জন্য আপনি কি ডাক্তার দেখাবেন তা অবশ্যই জানা উচিত। যদি একজন গনিত টিচার হয় তাকে যদি ইংলিশ ক্লাস দিতে বলে সে কখনোই পারবে না। অথবা ইংলিশ টিচার গণিত ক্লাস নিতে পারবেনা। সে রকমই ডাক্তার যদি ডাক্তার হয় গাইনি ডাক্তার তাহলে কোন ভাবে সে হাড়ের চিকিৎসা করতে পারবে না। এবং যদি হাড়ের চিকিৎসক হয় তাহলে কোন ভাবেই গাইনি চিকিৎসা করতে পারবে না। তাই কোমর ব্যথা যদি সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি হাড়ের ডাক্তারের কাছে যোগাযোগ করবেন। কারণ হাড়ের ডাক্তার এটা সকল ধরনের ব্যথা দূর করতে বা হাড়ের সমস্যা থাকলে তা দেখে ওষুধ দিবে।
কোমর ব্যাথার এ্যালোপ্যাথিক ট্যাবলেট এর নাম।
এখন আমরা কোমর ব্যাথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো। কারণ এলোপ্যাথিক থেকে ওষুধটি প্রায় কমবেশি অনেকেই খেয়ে থাকে। যার কারণে তারা আরাম পেয়ে আবার এই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধটি নিতে চাই। তাই আমি কিছু কোমর ব্যথার অ্যালপ্যাথিক ওষুধের বা ট্যাবলেট নাম বলবো।
- Sonap ( 500mg)
- Diproxen (500mg)
কোমর ব্যথা সব থেকে ভালো ওষুধের নাম।
কোমার ব্যথার ওষুধ সম্পর্কে আমরা সকল ধরনের তথ্য তুলে ধরেছি। আমরা এখন কোমর ব্যথা সব থেকে ভালো যে ওষুধটি রয়েছে সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। চাইলে আপনারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কোমর ব্যাথা সবথেকে ভালো ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। চলুন কোমর ব্যাথা সব থেকে ভালো ওষুধের নাম জেনে নিন।
- Ecless(500 mg
- Napro A (500 mg
কোন ট্যাবলেট খেলে কোমর ব্যথা কমে ?
কোমর ব্যাথার বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে। ভিটামিন ডি যুক্ত ট্যাবলেট গুলো খাবার ফলে কোমর ব্যথা কমে যেতে থাকে। সেইসব ট্যাবলেটের নাম গুলো আমরা এখন কিছু তুলে ধরব। জানতে হলে অবশ্যই দেখুন। কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম হল
Dicopin 50 Mg
কোমর ব্যথার ইনজেকশন এর নাম।
এখন আমরা কিছু কোমর ব্যথার ইনজেকশন এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। কারণ অনেকেরই আছে যাদের কোমর ব্যথার ওষুধে কোন কাজ হয় না বা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বা প্রাকৃতিক উপায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা একটি কথা বলতে চাই ইংজেকসন সেম এটি সবাই ব্যবহার করে না। অর্থাৎ ডাক্তারেরাও সব ক্ষেত্রে দেয় না। যাদের জটিল সমস্যা হয় তাদেরকে দিয়ে থাকে। তাই এই ইনজেকশন ব্যবহার না করাই ভালো এবং যদি ব্যবহার করতে হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং চিকিৎসক আপনাকে কি ধরনের ইনজেকশন দিবে সেই ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন।
- Dicopin 50 Mg
কোমর ব্যথার জন্য বেল্ট।
কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ কমরে কিছু বেল্ট পাওয়া যায় এ বেল্টগুলো ব্যবহারের ফলে কোমরে ব্যথা আস্তে আস্থে কমে যেতে থাকে ।তাই বাজার বিভিন্ন ধরনের কোমর ব্যথার জন্য বেল্ট পাওয়া যায়। সেল বেল্টগুলো ব্যবহার করা যাবে এবং এই বেল্টের ছবি আমরা নিচে উল্লেখ করে দিব।
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম -মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি । যদি আপনার এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে এসব ধরনের তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। এ আর্টিকেল টি যদি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন তাহলে অন্যরা উপকৃত হবে। এবং জানতে পারবে ধন্যবাদ।