রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে - রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে
রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে? এবং রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে? তা আমরা এখন বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। যদি আপনারা সম্পূর্ণ তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন।
রাসায়নিক শক্তি উৎপন্নকারী একটি পদার্থ। যার মধ্য দিয়ে প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়। এমন কি রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমি উরবর হয়। কারণ এর মধ্যে শক্তি রয়েছে। তাই এখন আমরা রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে এবং রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে তা তুলে ধরব। যদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন কথা না বাড়িয়ে রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে জেনে নেওয়া যাক।
রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে ?
রাসায়নিক শক্তি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা থাকা উচিত। কারণ এখন বর্তমানে রাসায়নিকের যুগ এর রাসায়নিকের কারণে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কাজ করা যায়। এমনকি এগুলো বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা এখন রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আরো পড়ুন = মিম নামের অর্থ কি জেনে ণিণ।
রাসায়নিক শক্তি হলো কোন এক ধরনের পদার্থ আরেক পদার্থের সঙ্গে পারস্পরিক আকর্ষণ করে এক নতুন শক্তি তৈরি করা হয় এবং তার দ্বিগুণ হয় তাকে রাসায়নিক শক্তি বলে।
রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে ?
আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে সে সম্পর্কে তারা জানে না কারণ এগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হয়ে থাকে। তাই এগুলো আমাদের জেনে থাকা উচিত। চলুন তাহলে রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে তা আমরা বিস্তারিত জানি।
রাসায়নিক পরিবর্তন হলো যে কোন এক বস্তু অন্য বস্তুর সঙ্গে একসঙ্গে মিশে এক নতুন পদার্থ তৈরি হয় এবং এই নতুন বস্তু সংশ্লেষণ নামে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এই দুইটি বিভিন্ন পদার্থের পরিপূর্ণ হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলা হয়ে থাকে ।
রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে
এখন আমরা জানবো রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে আগে আমরা জানতে পারলাম রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে চলুন তাহলে রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো কাকে বলে তা তুলে ধরি।
রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো কোন বস্তুর সঙ্গে আরেক বস্তু ধাক্কা খেয়ে এক নতুন বস্তু তৈরি হয় এবং প্রত্যেকটি পদার্থের অনু গুলো তাদের নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে এক নতুন ধর্মে পদার্পণ হয় এবং সেই অনুগুলো থেকে অধিক পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয় এবং এই শক্তিকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে
রাসায়নিক বিক্রিয়া কয় প্রকার।
রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো মূলত চার প্রকার যেমন...!
- সম্ভাব্য রাসায়নিক শক্তি
- চলমান রাসায়নিক শক্তি
- আলোক রাসায়নিক শক্তি
- তড়িৎ রাসায়নিক শক্তি
রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য।
এখন আমরা রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য গুলো কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরব। জানতে হলে সঙ্গেই থাকুন।
রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্যর মধ্যে প্রথম হল যে কোন রাসায়নিক পদার্থ ভেঙ্গে সেটি থেকে একটি নতুন অণু তৈরি হয়ে আরেকটি অণু তৈরি হয় ।
- রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাদের গতিপথ পাল্টে যায়।
- যদি রাসায়নিক একবার পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে তাকে আর আগের রূপে নিয়ে আসা যায় না।
- রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় শক্তি অধিক হারে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
রাসায়নিক শক্তির উৎস কয়টি ?
রাসায়নিক শক্তির উৎস মূলত পাঁচটি।যেমন..!
- জীবাশ্ম জ্বালানি
- ব্যাটারি
- বিস্ফোরক
- সৌরশক্তি
- খাদ্য
- সূর্যের আলো
রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে ?
রাসায়নিক বন্ধন বলতে বোঝানো হয়ে থাকে যে কোন পরমানুর ভিতর একটি ইলেকট্রিক সিস্টেম করা থাকে সেই সিস্টেম থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কন্ট্রীক করা যায়। তখনই তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার ।
রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার অনেক পরিমাণে রয়েছে। কারণ আমরা রাসায়নিক শক্তি ছাড়া এখন অচল হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কারণ যেই কাজই করি না কেন সেখানে রাসায়নিক শক্তির কোন না কোন দিক রয়েছে।
- রাসায়নিক শক্তি আমরা যেসব কাজে ব্যবহার করি তার মধ্যে একটি হলো বিদ্যুৎ উৎপন্ন। এবং পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে এর রাসায়নিক শক্তিগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ এগুলো ছাড়া অধিক পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করা যাবে না্।
- যানবাহন চলাচলের জন্য আমরা যে বৈদ্যুতিক ব্যবহার করে থাকি তখন সে বৈদ্যুতিক পদ্ধতিকে রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এর রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ব্যাটারিগুলোতে শক্তি উৎপন্ন করা হয়।
- মানুষের শরীরে তাপ উৎপন্ন করাও এটি একটি রাসায়নিক শক্তির মধ্যে ধরা হয়ে থাকে।
- আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি সেগুলো একটি রাসায়নিক শক্তির উৎস কারণ। এর রাসায়নিক শক্তির ফলে আমাদের দেহের চলাচল করতে ভালো হয়।
- আমরা যেসব ব্যাটারি দিয়ে মোবাইল গাড়ি বাল্ব জ্বালাচ্ছি সেসবের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি রয়েছে।
রাসায়নিক শক্তির গুরুত্ব পূর্ণ দিক।
এখন আমরা রাসায়নিক শক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আপনাদের সামনে উন্মোচন করব। যদি আপনারা গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
- রাসায়নিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো যে জীবনযাত্রা মান উন্নত করা।
- একটি শক্তিশালী সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা।
- অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা।
- কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি করা।
- টেকসই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- এবং পরিবেশের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
রাসায়নিক শক্তির ক্ষতিকর দিক।
এখন আমরা রাসায়নিক শক্তির ১০ টি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব বা তুলে ধরব। যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই থাকতে পারেন আমাদের সঙ্গে তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। চলুন তাহলে রাসায়নিক শক্তির ১০ টি ক্ষতিকর দিক জেনে নেই।
- বায়ু দূষিত করে।
- শাস কষ্ট, হৃদরোগ, ক্যান্সারের ,মত সমস্যা তৈরি করে।
- এসিড বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- পানিতে যদি রাসায়নিক মিশে যায় তাহলে পানি দূষিত করে।
- কোন জলজ প্রাণী যদি সে পানি থাকে তাহলে তার প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়।
- পশুপাখি যদি সেই পানি পান করে তাহলে তাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়।
- মাটি দূষিত হয়।
- মাটির উর্বরতা কমে যায়।
- বিষ ফরক তৈরি করলে দুর্ঘটনা বেশি হয়।
- রাসায়নিক পদার্থ মানব দেহের ক্ষতি করে।
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে এবং রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছি। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনারা কমেন্ট বক্সে এসে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান সময় আমাদেরকে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এখান থেকে উপকৃত হতে পারেন তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।